গুয়াহাটি, 29 ডিসেম্বর: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাঁর সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ভগবত গীতার একটি শ্লোক পোস্ট করেন ৷ সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ সেই কারণে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি ৷ জন্মগত বর্ণের উপর নির্ভর করেই মানুষের পেশা ঠিক হয়, সংশ্লিষ্ট পোস্টেই সেটাই ছিল ৷ পুরো ঘটনার দায় তিনি তাঁর সোশাল মিডিয়ার উপরই চাপিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি বিষয়টি নজরে পড়তেই তিনি পোস্টটি ডিলিট করে দেন ৷
সোশাল মিডিয়া এক্স-এ অসমের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "আমি আমার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে প্রতিদিন সকালে ভগবত গীতার একটি করে শ্লোক আপলোড করি । আজ পর্যন্ত আমি 668টি শ্লোক পোস্ট করেছি । সম্প্রতি আমার দলের একজন সদস্য একটি ভুল অনুবাদ-সহ অধ্যায় 18-র শ্লোক 44 থেকে একটি অংশ পোস্ট করেন ৷ সেখানে ভুল ব্যাখ্যা রয়েছে, দেখার সঙ্গে সঙ্গেই আমি পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছি । মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের নেতৃত্বে সংস্কার আন্দোলনের জন্য অসম একটি বর্ণহীন সমাজের একটি নিখুঁত চিত্রকে প্রতিফলিত করে ৷ তাই ডিলিট করে ফেলা পোস্টে কারও মনে আঘাত লাগলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী ৷"
-
As a routine I upload one sloka of Bhagavad Gita every morning on my social media handles. Till date, I have posted 668 slokas.
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) December 28, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
Recently one of my team members posted a sloka from Chapter 18 verse 44 with an incorrect translation.
As soon as I noticed the mistake, I promptly…
">As a routine I upload one sloka of Bhagavad Gita every morning on my social media handles. Till date, I have posted 668 slokas.
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) December 28, 2023
Recently one of my team members posted a sloka from Chapter 18 verse 44 with an incorrect translation.
As soon as I noticed the mistake, I promptly…As a routine I upload one sloka of Bhagavad Gita every morning on my social media handles. Till date, I have posted 668 slokas.
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) December 28, 2023
Recently one of my team members posted a sloka from Chapter 18 verse 44 with an incorrect translation.
As soon as I noticed the mistake, I promptly…
যে পোস্টটি হিমন্ত ডিলিট করেছেন, সেখানে একটি ছবিতে লেখা ছিল, "কৃষি, গরু পালন, বাণিজ্য - এইগুলি বৈশ্যদের স্বাভাবিক কাজ এবং ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য এই তিন বর্ণের সেবা করা শূদ্রের স্বাভাবিক কাজ ।" এই পোস্ট সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায় ৷ বিরোধীদের সমালোচনায় সিদ্ধহস্ত হিমন্তকে সুযোগ পেয়ে চেপে ধরতে একটুও দেরি করেনি বিপক্ষ৷ হিমন্তর বিরুদ্ধে জাতপাতের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে সরব হয় সিপিএম ৷
ওই পোস্টের পর সোশাল মিডিয়ায় অনেকে আবার হিমন্তর সমর্থনে সরব হয়েছিলেন ৷ একজন লিখেছিলেন, "অধ্যায় 18-র শ্লোক 41-এর অনুবাদে বলা হয়েছে যে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্রদের কর্তব্য-তাঁদের গুণাবলী অনুসারে বণ্টন করা হয় (এবং তা জন্মগতভাবে হয় না) ৷" অন্য একজন সমর্থক লেখেন, ভুল চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ডিলিট করা এবং ক্ষমা চেয়ে হিমন্ত ভালো নজির তৈরি করলেন ৷
তবে অনেকে সোশাল মিডিয়াতেই হিমন্তর সমালোচনায় সরব হবেন ৷ এক্স-এর একজন ইউজার লেখেন, "যাই হোক না কেন সংঘীরা এইভাবে মনুস্মৃতি বাস্তবায়ন শুরু করবে । বিভ্রান্তি তৈরি করা চালিয়ে যান ও উদ্দেশ্য সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমা চাওয়া চালিয়ে যান, অর্থাৎ সমাজ পরিষ্কারভাবে চারটি বর্ণে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে ৷"
অন্য একজন জানতে চেয়েছেন এটা সত্য কি না ! তিনি লিখেছেন, "এটি কি সত্য ? ভগবত গীতা বলে যে প্রতিটি বর্ণে জন্মগ্রহণকারীর স্বভাবগতভাবে কিছু বৈশিষ্ট্য থাকবে । তাই তাদের সেই বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করে কাজ বরাদ্দ করা হয়েছে । এটি বলে যে শূদ্র বর্ণে জন্মগ্রহণকারীরা কেবল অন্যদের সেবা করার চরিত্র পাবে ৷"
আরও পড়ুন: