ETV Bharat / bharat

গীতার শ্লোকের ভুল ব্যাখ্যা করায় ক্ষমা চাইলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা - Himanta Biswa Sarma

Himanta Biswa Sarma: ভগবত গীতার একটি শ্লোকের ভুল ব্যাখ্যা করে পোস্ট করায় বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ৷ সেই পোস্ট তিনি ডিলিট করে দিয়েছেন ৷ তার পর তিনি এই নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি ৷

Himanta Biswa Sarma
Himanta Biswa Sarma
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 29, 2023, 3:33 PM IST

গুয়াহাটি, 29 ডিসেম্বর: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাঁর সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ভগবত গীতার একটি শ্লোক পোস্ট করেন ৷ সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ সেই কারণে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি ৷ জন্মগত বর্ণের উপর নির্ভর করেই মানুষের পেশা ঠিক হয়, সংশ্লিষ্ট পোস্টেই সেটাই ছিল ৷ পুরো ঘটনার দায় তিনি তাঁর সোশাল মিডিয়ার উপরই চাপিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি বিষয়টি নজরে পড়তেই তিনি পোস্টটি ডিলিট করে দেন ৷

সোশাল মিডিয়া এক্স-এ অসমের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "আমি আমার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে প্রতিদিন সকালে ভগবত গীতার একটি করে শ্লোক আপলোড করি । আজ পর্যন্ত আমি 668টি শ্লোক পোস্ট করেছি । সম্প্রতি আমার দলের একজন সদস্য একটি ভুল অনুবাদ-সহ অধ্যায় 18-র শ্লোক 44 থেকে একটি অংশ পোস্ট করেন ৷ সেখানে ভুল ব্যাখ্যা রয়েছে, দেখার সঙ্গে সঙ্গেই আমি পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছি । মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের নেতৃত্বে সংস্কার আন্দোলনের জন্য অসম একটি বর্ণহীন সমাজের একটি নিখুঁত চিত্রকে প্রতিফলিত করে ৷ তাই ডিলিট করে ফেলা পোস্টে কারও মনে আঘাত লাগলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী ৷"

  • As a routine I upload one sloka of Bhagavad Gita every morning on my social media handles. Till date, I have posted 668 slokas.

    Recently one of my team members posted a sloka from Chapter 18 verse 44 with an incorrect translation.

    As soon as I noticed the mistake, I promptly…

    — Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) December 28, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

যে পোস্টটি হিমন্ত ডিলিট করেছেন, সেখানে একটি ছবিতে লেখা ছিল, "কৃষি, গরু পালন, বাণিজ্য - এইগুলি বৈশ্যদের স্বাভাবিক কাজ এবং ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য এই তিন বর্ণের সেবা করা শূদ্রের স্বাভাবিক কাজ ।" এই পোস্ট সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায় ৷ বিরোধীদের সমালোচনায় সিদ্ধহস্ত হিমন্তকে সুযোগ পেয়ে চেপে ধরতে একটুও দেরি করেনি বিপক্ষ৷ হিমন্তর বিরুদ্ধে জাতপাতের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে সরব হয় সিপিএম ৷

ওই পোস্টের পর সোশাল মিডিয়ায় অনেকে আবার হিমন্তর সমর্থনে সরব হয়েছিলেন ৷ একজন লিখেছিলেন, "অধ্যায় 18-র শ্লোক 41-এর অনুবাদে বলা হয়েছে যে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্রদের কর্তব্য-তাঁদের গুণাবলী অনুসারে বণ্টন করা হয় (এবং তা জন্মগতভাবে হয় না) ৷" অন্য একজন সমর্থক লেখেন, ভুল চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ডিলিট করা এবং ক্ষমা চেয়ে হিমন্ত ভালো নজির তৈরি করলেন ৷

তবে অনেকে সোশাল মিডিয়াতেই হিমন্তর সমালোচনায় সরব হবেন ৷ এক্স-এর একজন ইউজার লেখেন, "যাই হোক না কেন সংঘীরা এইভাবে মনুস্মৃতি বাস্তবায়ন শুরু করবে । বিভ্রান্তি তৈরি করা চালিয়ে যান ও উদ্দেশ্য সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমা চাওয়া চালিয়ে যান, অর্থাৎ সমাজ পরিষ্কারভাবে চারটি বর্ণে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে ৷"

অন্য একজন জানতে চেয়েছেন এটা সত্য কি না ! তিনি লিখেছেন, "এটি কি সত্য ? ভগবত গীতা বলে যে প্রতিটি বর্ণে জন্মগ্রহণকারীর স্বভাবগতভাবে কিছু বৈশিষ্ট্য থাকবে । তাই তাদের সেই বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করে কাজ বরাদ্দ করা হয়েছে । এটি বলে যে শূদ্র বর্ণে জন্মগ্রহণকারীরা কেবল অন্যদের সেবা করার চরিত্র পাবে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. ‘চিনকে উত্তর-পূর্ব ভারত বিক্রি করে দিতে চায়’, কংগ্রেসকে নিশানা হিমন্ত বিশ্ব শর্মার
  2. রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য, হিমন্তের বিরুদ্ধে মামলা হায়দরাবাদে
  3. 'সেবা করা শূদ্রের স্বাভাবিক কাজ', অসমের মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক; নিন্দায় সিপিএম

গুয়াহাটি, 29 ডিসেম্বর: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাঁর সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ভগবত গীতার একটি শ্লোক পোস্ট করেন ৷ সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ সেই কারণে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি ৷ জন্মগত বর্ণের উপর নির্ভর করেই মানুষের পেশা ঠিক হয়, সংশ্লিষ্ট পোস্টেই সেটাই ছিল ৷ পুরো ঘটনার দায় তিনি তাঁর সোশাল মিডিয়ার উপরই চাপিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি বিষয়টি নজরে পড়তেই তিনি পোস্টটি ডিলিট করে দেন ৷

সোশাল মিডিয়া এক্স-এ অসমের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "আমি আমার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে প্রতিদিন সকালে ভগবত গীতার একটি করে শ্লোক আপলোড করি । আজ পর্যন্ত আমি 668টি শ্লোক পোস্ট করেছি । সম্প্রতি আমার দলের একজন সদস্য একটি ভুল অনুবাদ-সহ অধ্যায় 18-র শ্লোক 44 থেকে একটি অংশ পোস্ট করেন ৷ সেখানে ভুল ব্যাখ্যা রয়েছে, দেখার সঙ্গে সঙ্গেই আমি পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছি । মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের নেতৃত্বে সংস্কার আন্দোলনের জন্য অসম একটি বর্ণহীন সমাজের একটি নিখুঁত চিত্রকে প্রতিফলিত করে ৷ তাই ডিলিট করে ফেলা পোস্টে কারও মনে আঘাত লাগলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী ৷"

  • As a routine I upload one sloka of Bhagavad Gita every morning on my social media handles. Till date, I have posted 668 slokas.

    Recently one of my team members posted a sloka from Chapter 18 verse 44 with an incorrect translation.

    As soon as I noticed the mistake, I promptly…

    — Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) December 28, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

যে পোস্টটি হিমন্ত ডিলিট করেছেন, সেখানে একটি ছবিতে লেখা ছিল, "কৃষি, গরু পালন, বাণিজ্য - এইগুলি বৈশ্যদের স্বাভাবিক কাজ এবং ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য এই তিন বর্ণের সেবা করা শূদ্রের স্বাভাবিক কাজ ।" এই পোস্ট সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায় ৷ বিরোধীদের সমালোচনায় সিদ্ধহস্ত হিমন্তকে সুযোগ পেয়ে চেপে ধরতে একটুও দেরি করেনি বিপক্ষ৷ হিমন্তর বিরুদ্ধে জাতপাতের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে সরব হয় সিপিএম ৷

ওই পোস্টের পর সোশাল মিডিয়ায় অনেকে আবার হিমন্তর সমর্থনে সরব হয়েছিলেন ৷ একজন লিখেছিলেন, "অধ্যায় 18-র শ্লোক 41-এর অনুবাদে বলা হয়েছে যে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্রদের কর্তব্য-তাঁদের গুণাবলী অনুসারে বণ্টন করা হয় (এবং তা জন্মগতভাবে হয় না) ৷" অন্য একজন সমর্থক লেখেন, ভুল চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ডিলিট করা এবং ক্ষমা চেয়ে হিমন্ত ভালো নজির তৈরি করলেন ৷

তবে অনেকে সোশাল মিডিয়াতেই হিমন্তর সমালোচনায় সরব হবেন ৷ এক্স-এর একজন ইউজার লেখেন, "যাই হোক না কেন সংঘীরা এইভাবে মনুস্মৃতি বাস্তবায়ন শুরু করবে । বিভ্রান্তি তৈরি করা চালিয়ে যান ও উদ্দেশ্য সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমা চাওয়া চালিয়ে যান, অর্থাৎ সমাজ পরিষ্কারভাবে চারটি বর্ণে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে ৷"

অন্য একজন জানতে চেয়েছেন এটা সত্য কি না ! তিনি লিখেছেন, "এটি কি সত্য ? ভগবত গীতা বলে যে প্রতিটি বর্ণে জন্মগ্রহণকারীর স্বভাবগতভাবে কিছু বৈশিষ্ট্য থাকবে । তাই তাদের সেই বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করে কাজ বরাদ্দ করা হয়েছে । এটি বলে যে শূদ্র বর্ণে জন্মগ্রহণকারীরা কেবল অন্যদের সেবা করার চরিত্র পাবে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. ‘চিনকে উত্তর-পূর্ব ভারত বিক্রি করে দিতে চায়’, কংগ্রেসকে নিশানা হিমন্ত বিশ্ব শর্মার
  2. রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য, হিমন্তের বিরুদ্ধে মামলা হায়দরাবাদে
  3. 'সেবা করা শূদ্রের স্বাভাবিক কাজ', অসমের মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক; নিন্দায় সিপিএম
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.