বেঙ্গালুরু (কর্ণাটক), 29 অক্টোবর: 'যৌন নিগ্রহের শিকার' নাবালিকা প্রাপ্তবয়স্ক হলেই তাকে বিয়ে করতে হবে ৷ এই শর্তে অভিযুক্ত যুবকের জামিন মঞ্জুর (Bail to POCSO Accused) করল কর্নাটক হাইকোর্ট (High Court of Karnataka) ৷ একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, এই বিয়ে হতে হবে আইনসম্মত । অভিযুক্ত যুবককে বিয়ের শংসাপত্র আদালতে জমাও দিতে হবে ৷
সংশ্লিষ্ট মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি রাজেন্দ্র বদামিকরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ৷ মামলা প্রসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, "যৌন নিগ্রহের 'শিকার' মেয়েটি প্রাপ্রবয়স্ক হলেই ঘটনায় অভিযুক্ত এই 22 বছরের যুবককে তাকে বিয়ে করতে হবে ৷ এই বিয়ে সরকারিভাবে নথিভুক্ত করতে হবে এবং সেই নথি আদালতে জমা দিতে হবে ৷"
আরও পড়ুন: বিহারের রোহতাসে নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন, গ্রেপ্তার 1
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরীর বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে রামনগর থানার পুলিশ ৷ ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে মামলা রুজু করা হয় ৷ তবে, এরপর নিজের বয়ানে ওই কিশোরী জানায়, তাকে নিগ্রহ করা হয়নি ৷ বরং তার সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলেই জানিয়েছে সে ৷ মেয়েটির দাবি, সে স্বেচ্ছায় প্রেমিকের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে ৷ এক্ষেত্রে কিশোরীর বয়ান সত্ত্বেও যেহেতু সে নাবালিকা, তাই তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যেকোনও প্রাপ্তবয়স্কের জন্যই আইনত অপরাধ বলে গণ্য করা হবে ৷ কারণ, যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে নাবালক বা নাবালিকার সম্মতি আইনত গ্রাহ্য হতে পারে না ৷ এই পরিস্থিতিতে আদালত মেয়েটির কাউন্সেলিংয়ের নির্দেশ দিয়েছে ৷ একইসঙ্গে, ভবিষ্যতে মেয়েটিকে বিয়ে করার শর্তে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হয়েছে ৷
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক এবং 'আক্রান্ত' কিশোরী পরস্পরের আত্মীয় ৷ সেই আত্মীয়তা থেকেই তাদের বন্ধুত্ব এবং প্রেম ৷ তারই ফলশ্রুতিতে গর্ভবতী হয় নাবালিকা । নির্দিষ্ট অভিযোগের অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ নিম্ন আদালতে বেশ কয়েকবার ওই যুবকের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় ৷ আদালত তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় ৷ এরপর অভিযুক্ত যুবকের আইনজীবী উচ্চ আদালতের (Karnataka HC) দ্বারস্থ হন এবং ফের জামিনের আবেদন করেন ৷