চণ্ডীগড়, 30 নভেম্বর: 'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে বাথরুমে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে ছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিয়ো বানানোর অভিযোগ ৷ চণ্ডীগড়ের 22 নম্বর সেক্টরে একটি মহিলা পিজিতে চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ও তার প্রেমিক ৷ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই আবাসিকদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ৷ অভিযোগের তির আবাসিক এক মহিলার বিরুদ্ধে ৷ অভিযুক্ত তরুণী উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের বাসিন্দা।
ঠিক কী ঘটেছে : তথ্য অনুযায়ী, চণ্ডীগড়ের 22 নম্বর সেক্টরে একটি মহিলা পিজি আছে ৷ সেখানে বেশ কয়েকজন মহিলা আবাসিক থাকেন ৷ তাদের মধ্যে থেকেই এক মহিলা পিজির বাথরুমে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে দেয় ৷ তাকে এই কাজে সহযোগিতা করে আরও 8 আবাসিক ৷ যারা ওই পিজিতেই থাকে বলে জানা গিয়েছে ৷ এই পিজির এক আবাসিকের নজরে আসে বাথরুমের ক্যামেরাটি ৷ সেই পিজি মালিকে সমস্ত বিষয়টি জানায় ৷ মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত আবাসিক ও তার প্রেমিককে গ্রেফাতার করেছে পুলিশ ৷
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলা তাঁর প্রেমিকের কথায় বাথরুমে ক্যামেরা বসিয়েছে ৷ আর এই ক্যামেরায় বন্দি ভিডিয়ো সংগ্রহ করে মহিলা আবাসিকদের অশ্লীল ভিডিয়ো বানাতো সে ৷ অভিযুক্ত আবাসিক ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে চন্ডীগড় থানার পুলিশ ৷ মোবাইল ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষার জন্য সিএফএসএল ল্যাবে পাঠিয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে চণ্ডীগড় পুলিশের ডিএসপি রাম গোপাল বলেছেন, "বাথরুমে ওয়েবক্যাম বসানো সম্পর্কিত একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে, আমরা ওয়েবক্যামটি উদ্ধার করেছি । ক্যামেরাটি কোথা থেকে কেনা হয়েছে তা আমরা খুঁজে পেয়েছি । অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে । গ্রেফতারের পর দু’জনেই জামিন পেয়েছেন । ক্যামেরা ও মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করে এফএসএল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে । রিপোর্ট এলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
ঠিক কী ঘটেছে: পিজির মালিক যশপাল বাজাজের মতে, একজন আবাসিকের নজরে প্রথম কালো রঙের ডিভাইসটি চোখে পড়ে ৷ তারপরই চণ্ডীগড় পুলিশকে বিষয়টি জানান হয়। অভিযোগের পরে, পুলিশ আসে ৷ জিজ্ঞাসাবাদের পরই অভিযুক্ত স্বীকার করে নেয় সে ক্যামেরাটি ইনস্টল করেছে। জানায়, 'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবিটি দেখে সে এমন ধারণা পেয়েছে। টাকার বিনিময়ে এই কাজ করেছে ৷
আরও পড়ুন: