নয়াদিল্লি, 21 সেপ্টেম্বর: মুম্বই থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণে মাদক ৷ দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল বুধবার জানিয়েছে, একটি কন্টেনারে প্রায় 22 টন লাইকোরিসে হেরোইনের প্রলেপ দেওয়া ছিল ৷ আন্তর্জাতিক বাজারে এই বাজেয়াপ্ত করা হেরোইনের মূল্য 1 হাজার 725 কোটি টাকা, জানিয়েছে পুলিশ (Heroin worth crores seized from Nava Sheva Port Mumbai) ৷
এর আগে মাসের প্রথম দিকে মাদক উদ্ধারে যৌথ অভিযান (Joint Operation) চালিয়ে বড় সাফল্য পেয়েছে গুজরাত এটিএস (Gujarat ATS) ৷ কলকাতা বন্দর (Kolkata Port) থেকে উদ্ধার হয় প্রায় 200 কোটি টাকার মাদক (Heroin Seized) ৷ গুজরাত পুলিশের (Gujarat Police) সন্ত্রাসবিরোধী শাখা (Anti Terrorist Squad) বা এটিএস (ATS), ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (Directorate of Revenue Intelligence), পঞ্জাব পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশ কলকাতা বন্দরে যৌথ অভিযান চালায় ৷ সেই সময়ে একটি কন্টেনার থেকে প্রায় 40 কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয় ৷ সূত্রের খবর, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দুবাই থেকে এই মাদক আমদানি করা হয়েছিল ৷
9 সেপ্টেম্বর, শুক্রবার হঠাৎ কলকাতা বন্দরে অভিযান চালায় গুজরাত পুলিশের এটিএস ৷ তাদের কাছে মাদক আসার গোপন খবর ছিল ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, এই অভিযানে গুজরাত এটিএস-এর সঙ্গে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের গোয়েন্দারাও ছিলেন ৷ পরে জানা যায়, পঞ্জাব ও দিল্লি পুলিশের একটি অংশও এই অভিযানে ছিল ৷ সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, এদিন একইসঙ্গে কলকাতা বন্দরের 16 এবং 6 নম্বর গেটে যৌথ অভিযান চালানো হয় ৷
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে উদ্ধার 1 কোটির মাদক, গ্রেফতার দুই মহিলা
সেই সময়েই একটি জাহাজের অবস্থান দেখে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের ৷ তাঁরা প্রথমেই ওই জাহাজটিকে আটক করেন ৷ ওই জাহাজেই বেশ কয়েকটি গিয়ার বক্সের কন্টেনার ছিল ৷ সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ সেই কন্টেনারগুলি খুলতেই বেরিয়ে আসে হেরোইনের প্যাকেট ৷ স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উদ্ধার মাদকের পরিমাণ অন্তত 40 কিলোগ্রাম ৷ যদিও এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কলকাতা বন্দর এলাকার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, এই অভিযান সম্পর্কে গুজরাত পুলিশের তরফ থেকে তাঁদের কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি ৷ বস্তুত, কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই করেনি গুজরাত পুলিশের এটিএস বা অন্য়রা ৷ তবে, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কলকাতা পুলিশের ওই আধিকারিক ৷
গুজরাত পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, মাদক মজুতের তথ্য প্রথম তাদের হাতেই এসেছিল ৷ পরে পঞ্জাব পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশের সঙ্গেও এই বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় ৷ কলকাতা বন্দর সূত্রের খবর, সন্দেহভাজন জাহাজটির সঙ্গে দুবাইয়ের সংযোগ রয়েছে ৷ সেটি এসেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে ৷ তবে, লালবাজারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ৷
আরও পড়ুন: খুফিয়া রেভ পার্টির খবর রাখতে হবে, গোয়েন্দাদের নির্দেশ বিনীত গোয়েলের