নয়াদিল্লি, 31 ডিসেম্বর: হাতে সময় আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা ৷ তারপরই বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে (New Year Eve) মাতবে গোটা দেশ ৷ ব্যতিক্রম নয় রাজধানী শহরও ৷ তাই দিল্লিজুড়ে কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত (Heavy Security Deployment in Delhi) করা হয়েছে ৷ সব মিলিয়ে প্রায় 18 হাজার পুলিশকর্মী এদিন রাজধানীর রাস্তায় মোতায়েন থাকবেন ৷ এঁদের মধ্যে জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্য-সহ পুলিশের অন্য়ান্য বিভাগের কর্মীরাও রয়েছেন ৷ শনিবার দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা এই তথ্য দিয়েছেন ৷
সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজধানীর 125টি জায়গা থেকে মদ্যপ চালকদের পাকড়াও করা হয়েছে ৷ তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ তথ্য বলছে, গত বছর বর্ষবরণের রাতে দিল্লিতে ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য মোট 657টি চালান কাটা হয়েছিল ৷ এর মধ্যে মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল 36টি ৷ শনিবার রাত 8টা (আটটা) থেকেই দিল্লির কন্নৌট প্লেসে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে ৷ কেউ মদ্যপ হয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা, তার জানতে প্রয়োজনীয় নাকাচেকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে ৷
আরও পড়ুন: ইংরেজি নববর্ষে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ‘স্পর্শ দর্শনে’ নিষেধাজ্ঞা
বর্ষবরণের রাতে দিল্লির রাস্তার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন বিশেষ নগরপাল (আইন-শৃঙ্খলা) দীপেন্দ্র পাঠক ৷ তিনি জানান, "আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি ৷ শনিবার বর্ষবরণের উৎসবে মাতবে গোটা শহর ৷ তার জেরে যাতে আইন-শৃঙ্খলার কোনও অবনতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাস্তায় 16 হাজার 500 জনেরও বেশি পুলিশকর্মী ও আধিকারিক মোতায়েন থাকবেন ৷ বিভিন্ন জেলা থেকে 20 কোম্পানিরও বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হবে ৷ এবছর, জনবহুল এলাকাগুলিতে সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থাপনাও রাখা হবে ৷ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন স্পেশাল সেলের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে চলবে ৷ আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, দিল্লিবাসী যেন আরও ভালোভাবে বর্ষবরণের উৎসবে সামিল হতে পারেন ৷"
দীপেন্দ্র জানিয়েছেন, বর্ষবরণের রাতে মহিলাদের নিরাপত্তার উপর বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে ৷ শনিবার রাতভর রাস্তায় আড়াই হাজারেরও বেশি মহিলা পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন ৷ দিল্লিতে ঢোকা ও বের হওয়ার সবক'টি রাস্তায় চেক পয়েন্ট থাকবে ৷ সব মিলিয়ে 1 হাজার 600টিরও বেশি এমন চেক পয়েন্ট থাকছে ৷ টহলদারি চালাবে 1 হাজার 200টিরও বেশি টহলদারি ভ্যান এবং 2 হাজার 74টি মোটরবাইক ৷