নয়াদিল্লি, 18 জুলাই : সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন ৷ তার আগে আজ সর্বদল বৈঠকের আহ্বান করেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ৷ সকাল 11 টায় শুরু হয় বৈঠক ৷ ঘণ্টাখানেকের বৈঠকের পর সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি জানান, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে ৷ ভারতীয় গণতন্ত্রের স্তম্ভ হল সংসদ ভবন ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ সেই বিষয়টিই আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন ৷ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংসদে সবসময় গঠনমূলক বিতর্ক হওয়া উচিত ৷ সংসদীয় নিয়ম-রীতি মেনে যে কোনও বিষয় আলোচনার জন্য প্রস্তুত কেন্দ্রীয় সরকার ৷
সংসদে এবারের বাদল অধিবেশনের দিকে নজর রয়েছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক শিবিরের ৷ একদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা সামাল দিতে না দিতেই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা, গঙ্গায় লাশ ভেসে যাওয়া থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যু রয়েছে ৷ কিন্তু এখনও দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ করোনার টিকা পায়নি ৷ তার উপর গলায় কাঁটার মতো বিঁধছে পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি ৷ নজর থাকছে রাকেশ টিকাইত ও অন্যান্য কৃষক নেতাদের আন্দোলনের দিকেও ৷ সবমিলিয়ে কেন্দ্রের জন্য একের পর এক আক্রমণ সাজিয়ে রেখেছে বিরোধী দলগুলি ৷ এই পরিস্থিতিতে আজকের সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর গলায় এই ইতিবাচক বার্তা আদৌ কি বিরোধীদের মন গলাতে পারবে ? সেই দিকেই এখন নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ৷
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে আসন্ন বাদল অধিবেশনে 30 টি বিল সংসদে পাশ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের ৷ আর এদিকে বিরোধীরাও একের পর এক হাতিয়ার তৈরি রেখেছে কেন্দ্রের জন্য ৷ এই পরিস্থিতিতে সুকৌশলে নিজেদের বিলগুলি সংসদে পাশ করিয়ে নেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে মোদি সরকারের জন্য ৷ জাতীয় রাজনীতিকে যাঁরা খুব কাছে থেকে দেখেছেন, তাঁদের মতে সম্ভবত সেই কারণেই আজকের সর্বদল বৈঠকে কিছুটি সুর নরম প্রধানমন্ত্রীর ৷