মাঝিয়ান (ঝাড়খণ্ড), 11 জুন: "এ কোন সকাল রাতের থেকেও অন্ধকার..." বাংলা গানের এই লাইনটা মাঝেমধ্যেই ভাবায়! রবিবারের সকালে নতুন করে এমনই ভাবনায় ডুবল দেশ ৷ চিকিৎসা থেকে স্বাস্থ্য় ব্যবস্থার গাফিলতি ঠিক কতটা নির্মম হতে তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ঝাড়খণ্ড ৷ মাঝিয়ানে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক গর্ভবতী নারী মৃত সন্তানের জন্ম দেন ৷ পরিবারের লোকজন শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করতে গিয়েছিলেন ৷ ওইটুকু সময়ের মধ্যেই হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা আবর্জনার সঙ্গে সদ্যোজাতকে পুড়িয়ে ফেললেন ! এই ঘটনায় নিন্দায় ঝড় নানা মহলে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মাঝিয়ানের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শনিবার প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে ভরতি হন মধুদেবী । তিনি মাঝিয়ানের বাসিন্দা ৷ সেখানেই তিনি সন্তানের জন্ম দেন ৷ কিন্তু ভাগ্যের ফেরে সেই সন্তানের দেহে প্রাণ ছিল না ৷ খবর জানাজানি হতেই স্বভাবতই ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা ৷ সদ্যোজাতর শেষকৃত্যের জন্য বাজার থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন পরিজনরা ৷ সেই হাসপাতালেই মৃত সন্তানকে তাঁরা রেখে গিয়েছিলেন ৷ ফিরে এসে তাঁরা যা দেখলেন তাতে হতভম্ব হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না ৷ পরিজনরা দেখলেন হাসপাতালের বাইরের একটি জায়গায় আবর্জনা পুড়ছে ৷ সেখানেই ফেলে দেওয়া জিনিসের সঙ্গে পুড়ছে সদ্যোজাতর দেহ ৷ বিষয়টি ঠিক কী তা বোঝার আগেই শরীরের প্রায় অনেকটাই পুড়ে গিয়েছিল ৷
আরও পড়ুন: মাসির বাড়িতে দাদার লাগাতার ধর্ষণের শিকার! মৃত্যু মগরাহাটের নাবালিকার
সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় ৷ স্বভাবতাই হাসপাতাল চত্বরে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ৷ দায়িত্বে থাকা মার্স নাকি অন্যকোনও স্বাস্থ্যকর্মীর গাফিলতিতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট নয় ৷ মর্মান্তিক এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি ৷ তবে সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতর পুরো ঘটনাটিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ৷ পাশাপাশি, এই ঘটনায় স্থানীয় মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ গোবিন্দ শেঠ বলেন, "নবজাতকের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা উচিত ছিল, এই ঘটনা অত্য়ন্ত লজ্জাজনক। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"