হায়দরাবাদ, 1 ডিসেম্বর: করোনার পরে অনেকেই স্বাস্থ্য বীমার (Health Insurance) গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন । কিন্তু এখনও কিছু প্রচলিত ধারনা রয়ে গিয়েছে । কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বাস্থ্য বীমা নিয়ে লাভ নেই । আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত । জেনে রাখুন বীমা শুধুমাত্র অসুস্থতার সময় নয়, যে কোনও দুর্ঘটনার সময়ও আপনার কাজে আসে ।
অনেকে মনে করেন যে প্রিমিয়াম দেওয়া একটি অপচয় যতক্ষন না কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হচ্ছে । কিন্তু প্রত্যেকেরই স্বাস্থ্য বীমা থাকা উচিত এবং এটি তাড়াতাড়ি করা উচিত । কেউ এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চাইবে না যে তাঁকে বীমা দাবি করতে হয় ৷ তবে পরিস্থিতি সেরকম হলে বীমার সাহায্য নেওয়ার অবস্থায় থাকা উচিত । তাই অপ্রয়োজনীয় আর্থিক সংকট যথাযথ পরিশ্রমের সঙ্গে এড়ানো উচিত ।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, হাসপাতালে ভর্তির সময় একটি স্বাস্থ্য বীমা সংস্থা কতটা সুবিধা দেবে তা পরীক্ষা করা । কম-পেইড প্রিমিয়াম কভারে কিছু শর্ত থাকবে, উপ-সীমা ও সহ-বেতন ইত্যাদি । ফলে হাসপাতালের খরচের কিছু অংশ বীমা সংস্থা থেকে দিতে হবে । এই কারণেই একজনের উপযুক্ত স্বাস্থ্য বীমা করা উচিত ৷ যার ফলে হাসপাতাল খরচ অতিরিক্ত বোঝা মনে হবে না ।
স্বাস্থ্য বীমা অন্যান্য জীবন বীমার মতো নয় । টার্ম লাইফ কভার কম প্রিমিয়াম সহ উচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করে । একই নীতি স্বাস্থ্য কভারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে নাও পারে । উপযুক্ত স্বাস্থ্য বীমা না-নিলে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হতে পারে । তাহলে সেটা বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়াবে । এমনকী প্রিমিয়ামের উপর ভিত্তি করে কোনও দু'টি কোম্পানির পলিসি তুলনা করা যায় না ।
আজকে মানুষের জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে ৷ সকলেই সফল হওয়ার জন্য ঘন ঘন চাকরি পরিবর্তন করছে । কেউ কেউ আছেন যারা তাদের বর্তমান পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন এবং তাদের আগ্রহ ও পছন্দের জীবনধারার সঙ্গে মানানসই চাকরি পছন্দ করছেন । এই ধরনের ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলকভাবে তাদের কোম্পানির দ্বারা প্রদত্ত গ্রুপ বীমা পলিসি ছাড়াও পৃথক স্বাস্থ্য কভারের আওতায় থাকা উচিত ।
এখন কোম্পানিগুলি পলিসি অফার করছে যা 60টিরও বেশি গুরুতর অসুস্থতাকে কভার করে । এগুলি ক্যানসার, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ব্যর্থতা, অঙ্গ প্রতিস্থাপন, প্যারালাইসিস ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । কিছু পলিসি 1 কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে । সাধারণত, স্বাস্থ্য নীতি বা পলিসি মাত্র 8 থেকে 20টি রোগ কভার করে । পলিসির টাকা হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসার খরচের জন্য দেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন: অর্থবর্ষ শেষের আগে বাড়ছে করের বোঝা ? ভেবেচিন্তে করুন বিনিয়োগ
একটি পলিসি নেওয়ার আগে তাই একজনকে নিয়ম ও শর্তাবলী, ছাড় এবং পারিপার্শ্বিক সীমাগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা উচিত । এই বিষয়ে কোনও বিভ্রান্তি থাকলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা ভালো । পারিবারিক চিকিৎসককেও এ বিষয়ে জানিয়ে রাখা উচিত । একজন রোগী অসুস্থ হওয়ার পর 30 থেকে 90 দিন বেঁচে থাকলেই ক্ষতিপূরণ দেবে ৷ এমন অবস্থায় সতর্ক থাকা উচিত ।