নয়াদিল্লি, 9 অক্টোবর: পশ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ায় ভারতে তৈরি কাশির ওষুধ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা কয়েকদিন আগেই সামনে এসেছে ৷ এবার সেই সংক্রান্ত আরও একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এল ৷ জানা গিয়েছে, 2019-21 সালের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার পর মোট 462 ওষুধকে ভেজাল বা ক্ষতিকারক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে (462 Medicine Samples Declared Spurious) ৷ গ্রেফতার হয়েছেন মোট 384 জন (Health Hazard) ৷
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রে খবর, 2019-20 সালের মধ্য মোট 81 হাজার 329টি ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল পরীক্ষার জন্য ৷ যার মধ্যে 2497টি ওষুধের গুণগত মান ঠিক ছিল না বলে উল্লেখ করা হয়েছিল রিপোর্টে ৷ আর 199টি ওষুধ ভেজাল বলে চিহ্নিত করেছিল ডিসিজিআই (DCGI) ৷ একইভাবে, 2020-21 সালের মধ্যে মোট 84 হাজার 874টি ওষুধ নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করেছিল ভারতীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল ৷ সেই নমুনার মধ্যে থেকে2 হাজার 652টি ওষুধের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ছিল ৷ আর 263 ওষুধ ক্ষতিকারক ছিল ৷ 2019-20 ও 2020-21 সালের মধ্যে 220 জন এবং 164 জনকে এর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সুরক্ষা বাড়াতে সরকার আইনের ধারাগুলিকে শক্তিশালী করছে ৷ পাশাপাশি, ওষুধ প্রস্তুতকারক এবং নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের জন্য কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করছে ৷ সংসদের তরফে সম্প্রতি এ নিয়ে দেওয়া জবাবে জানানো হয়েছে, 2019 সাল থেকে ওষুধের গুণগত মান যাতে ঠিক থাকে, তার জন্য ভারত সরকার একাধিক বিধিনিষেধ লাগু করেছে ৷ যেখানে 1945 সালের ড্রাগ আইন সংশোধন করা হয়েছে ৷ যেখানে ভারতের প্রতিটি সক্রিয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা, যারা দেশে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ ওষুধ বিক্রি ও রফতানি করছে, তাদের ওষুধের লেবেলে কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোড বাধ্যতামূলকভাবে রাখতে হবে ৷
আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে আফ্রিকায় শিশুমৃত্যু! নমুনা গেল ডিসিজিআই’র ল্যাবে
শুধু তাই নয়, সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ওষুধের লেবেলে উল্লেখ রাখতে হবে, কবে ওই ওষুধ তৈরির সামগ্রী স্টোর করা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে ওষুধে ইউনিক প্রোডাক্ট আইডেন্টিফিকেশন কোড, ব্যাচ নম্বর, ওষুধ তৈরির দিন এবং সেটি কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার যোগ্য তাও লেবে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে সংশোধিত ড্রাগ আইনে ৷ পাশাপাশি, যে সংস্থা ওই ড্রাগ বা ওষুধ বিক্রি বা বিতরণ করছে, তারা ওষুধের গুণগত মান এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ সংক্রান্ত তথ্যের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে বলে সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে ৷