বেঙ্গালুরু, 24 অগস্ট: ছাড়া পেলেন পকসো মামলায় অভিযুক্ত ৷ কর্নাটক হাইকোর্ট 23 বছর বয়সি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো মামলা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে ৷ এই ব্যতিক্রমী পদক্ষেপের কারণ, ওই ব্যক্তি, নাবালিকার বয়স 18 হওয়ার পর তাঁকে বিয়ে করে নেন ৷ সেশন কোর্টে মামলা চলাকালীন মেয়েটি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় (HC quashes POCSO rape charges) ৷
2019 সালের মার্চ মাসে নাবালিকার বাবা থানায় মেয়ের নামে মিসিং ডায়েরি করেন । পরে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তাঁর মেয়ের সন্ধান মেলে ৷ নাবালক মেয়ে এবং সাবালক তরুণ দু'জনে জানায়, তারা নিজেদের ইচ্ছায় একসঙ্গে ছিল ৷ যদিও মেয়েটির বয়স তখন 17 ৷ তাই অভিযুক্ত তরুণের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের করা হয় ৷ সে দেড় বছর জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয় ৷ ছাড়া পেয়ে 2020 সালের নভেম্বর মাসে অর্থাৎ ঘটনার এক বছর আট মাস পর দু'জনে বিয়ে করেন ৷ এক বছর বাদে জন্ম হয় তাদের কন্যা সন্তানের ৷
আরও পড়ুন: নাবালিকা সৎ মেয়েকে ধর্ষণ বাবার,পকসো আইনে 20 বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত
আদালত এই রায়ে জানায়, এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করা কঠিন ৷ নির্যাতিতা যদি বিচারপর্বের শেষ মুহূর্তেও এর বিরোধিতা করতেন তাহলে অভিযুক্ত কোনও ভাবেই মুক্ত হতে পারতেন না ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে সমাপ্তিটা যন্ত্রণাদায়ক নয় ৷
সরকারি কৌঁসুলীর বিরোধিতাকে বাতিল করে আদালত জানায়, দু'পক্ষের সম্মতিকে গ্রহণ করে বিচার বন্ধ করাই শ্রেয় ৷ এই দম্পতির জন্য আদালত তার দরজাটা বন্ধ করে দিলে তাঁদের বিয়ে থেকে শুরু করে সন্তানকে বড়ো করে তোলার পুরো প্রক্রিয়াটাই ভেস্তে যাবে ৷ সেটা বিচারব্যবস্থার কাম্য নয় ৷ সম্প্রতি একটি বিচারে এমনটাই জানিয়েছেন কনাটর্ক হাইকোর্টের বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন (Justice M Nagaprasanna) ৷
আরও পড়ুন: জেলা থেকে পকসো রিপোর্ট যাচ্ছে না কমিশনে, ক্ষোভ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের