ETV Bharat / bharat

Gujarat High Court: প্রমাণ যথাযথ মূল্যায়ন না-করে রায় ঘোষণা অন্যায়, যৌন নিপীড়ন মামলায় জানাল গুজরাত হাইকোর্ট - ধর্ষণের অভিযোগ

প্রমাণের সত্যতা মূল্যায়ন না করে রায় ঘোষণা অন্যায় ৷ একটি যৌন নিপীড়নের মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি ৷ যে মামলার প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলা মামলাগুলির তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে ৷

Gujarat High Court ETV BHARAT
Gujarat High Court
author img

By

Published : Jul 15, 2023, 10:06 PM IST

আমেদাবাদ, 15 জুলাই: পেশ করা প্রমাণের সত্যতা মূল্যায়ন না-করে রায় ঘোষণা অন্যায় ৷ গুজরাত হাইকোর্ট 14 বছর পুরনো একটি যৌন নিপীড়নের মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করেছে ৷ আমরেলির ওই ঘটনায় প্রায় 13 বছর সংশোধনাগারে বন্দি দুই ব্যক্তিকে নির্দোষ ঘোষণা করে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ রায় দিতে গিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি এএস সুপাইয়া মন্তব্য করেন, ‘‘কোনও নিরাপরাধ ব্যক্তিকে প্রমাণ ছাড়া দীর্ঘদিন সংশোধনাগারে বন্দি রাখা অন্যায় ৷’’ পাশাপাশি, গুজরাতের বিভিন্ন আদালতে দীর্ঘদিন ধরে চলা এই ধরনের মামলার তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট ৷

উল্লেখ্য, 2009 সালে একটি যৌন নিপীড়নের মামলায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ সেই মামলায় নিম্ন আদালত অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে 10 বছরের বেশি সাজা ঘোষণা করে ৷ এমনটাই জানিয়েছেন অভিযুক্তদের আইনজীবী হার্দিক রাওয়াল ৷ যে রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন ওই দুই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ৷ কিন্তু, মামলাটি দীর্ঘদিন আদালতে শুনানির জন্য পড়েছিল ৷ সম্প্রতি সেই মামলার শুনানিতে পুলিশের পেশ করা প্রমাণাদি ও সাক্ষীদের বয়ান নিয়ে ফের সওয়াল জবাব হয় ৷

সেই সওয়াল জবাব শেষে এ দিন রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি এএস সুপাইয়া মন্তব্য করেন, ‘‘যে প্রমাণ ও সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে নিম্ন আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করেছিল, তা আইনতভাবে তা মূল্যায়ন করা হয়নি নয় ৷ শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে তাঁদের সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ এটা পুরোপুরি অন্যায় ৷’’ এর পরেই দুই ব্যক্তিকে নির্দোষ ঘোষণা করে, তাঁদের মুক্তির নির্দেশ দেন বিচারপতি ৷

আরও পড়ুন: 45 বছরের পুরনো মামলায় ক্ষমা চাইলেন গুজরাতের আনন্দ জেলার দায়রা আদালতের 9 বিচারক

পাশাপাশি, নিম্ন আদালতগুলির উদ্দেশ্যে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ মূল্যায়ন করে শাস্তি দিতে হবে ৷ সন্দেহের ভিত্তিতে কোনও অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়া যাবে না ৷ এমতাবস্থায় কিছু মানুষ নির্দোষ হয়েও কারাগারে সাজা ভোগ করছেন ৷’’ পাশাপাশি এ ধরনের মামলাগুলি নিয়ে পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ সেই সঙ্গে গুজরাত হাইকোর্ট সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট চেয়েছে ৷ যেখানে বহু বছর ধরে বিচারাধীন অবস্থায় থাকা মামলাগুলির একটি তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে সরকারকে ৷

আমেদাবাদ, 15 জুলাই: পেশ করা প্রমাণের সত্যতা মূল্যায়ন না-করে রায় ঘোষণা অন্যায় ৷ গুজরাত হাইকোর্ট 14 বছর পুরনো একটি যৌন নিপীড়নের মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করেছে ৷ আমরেলির ওই ঘটনায় প্রায় 13 বছর সংশোধনাগারে বন্দি দুই ব্যক্তিকে নির্দোষ ঘোষণা করে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ রায় দিতে গিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি এএস সুপাইয়া মন্তব্য করেন, ‘‘কোনও নিরাপরাধ ব্যক্তিকে প্রমাণ ছাড়া দীর্ঘদিন সংশোধনাগারে বন্দি রাখা অন্যায় ৷’’ পাশাপাশি, গুজরাতের বিভিন্ন আদালতে দীর্ঘদিন ধরে চলা এই ধরনের মামলার তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট ৷

উল্লেখ্য, 2009 সালে একটি যৌন নিপীড়নের মামলায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ সেই মামলায় নিম্ন আদালত অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে 10 বছরের বেশি সাজা ঘোষণা করে ৷ এমনটাই জানিয়েছেন অভিযুক্তদের আইনজীবী হার্দিক রাওয়াল ৷ যে রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন ওই দুই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ৷ কিন্তু, মামলাটি দীর্ঘদিন আদালতে শুনানির জন্য পড়েছিল ৷ সম্প্রতি সেই মামলার শুনানিতে পুলিশের পেশ করা প্রমাণাদি ও সাক্ষীদের বয়ান নিয়ে ফের সওয়াল জবাব হয় ৷

সেই সওয়াল জবাব শেষে এ দিন রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি এএস সুপাইয়া মন্তব্য করেন, ‘‘যে প্রমাণ ও সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে নিম্ন আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করেছিল, তা আইনতভাবে তা মূল্যায়ন করা হয়নি নয় ৷ শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে তাঁদের সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ এটা পুরোপুরি অন্যায় ৷’’ এর পরেই দুই ব্যক্তিকে নির্দোষ ঘোষণা করে, তাঁদের মুক্তির নির্দেশ দেন বিচারপতি ৷

আরও পড়ুন: 45 বছরের পুরনো মামলায় ক্ষমা চাইলেন গুজরাতের আনন্দ জেলার দায়রা আদালতের 9 বিচারক

পাশাপাশি, নিম্ন আদালতগুলির উদ্দেশ্যে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ মূল্যায়ন করে শাস্তি দিতে হবে ৷ সন্দেহের ভিত্তিতে কোনও অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়া যাবে না ৷ এমতাবস্থায় কিছু মানুষ নির্দোষ হয়েও কারাগারে সাজা ভোগ করছেন ৷’’ পাশাপাশি এ ধরনের মামলাগুলি নিয়ে পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ সেই সঙ্গে গুজরাত হাইকোর্ট সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট চেয়েছে ৷ যেখানে বহু বছর ধরে বিচারাধীন অবস্থায় থাকা মামলাগুলির একটি তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে সরকারকে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.