ETV Bharat / bharat

Gujarat HC on Rahul Plea: মানহানির মামলায় রাহুলের সাজায় স্থগিতাদেশ দিল না গুজরাত হাইকোর্ট, রায় সংরক্ষিত রাখল আদালত - মানহানির মামলা

রাহুল গান্ধিকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিল না গুজরাত হাইকোর্ট ৷ আদালতের গ্রীষ্মাবকাশের পর জানা যাবে রায় ৷

Gujarat HC on Rahul Plea
Gujarat HC on Rahul Plea
author img

By

Published : May 2, 2023, 7:41 PM IST

আমেদাবাদ (গুজরাত), 2 মে: মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দু’বছরের কারাদণ্ড হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির ৷ গুজরাতের সুরাত আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সেখানকার সেশন কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি ৷ কিন্তু সুরাত সেশন কোর্ট রাহুলের সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে ৷ তার পর এই নিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ৷ মঙ্গলবার গুজরাত হাইকোর্টও এই নিয়ে রাহুলকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করল ৷

রাহুল গান্ধির তরফে সুরাত আদালতের তরফে দেওয়া রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা করা হয় গুজরাতের উচ্চ আদালতে ৷ মঙ্গলবার ওই আদালতের বিচারপতি হেমন্ত প্রছকের এজলাসে ৷ সেখানে বিচারপতি রাহুলকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করেন ৷ আর জানিয়ে দেন যে রায় রিজার্ভ রাখা হল ৷ ছুটির পর এই নিয়ে তিনি রায় দেবেন ৷ তাছাড়া এই মামলায় রাহুলের বিরোধীপক্ষ পূর্ণেশ মোদির আইনজীবীকে এই সংক্রান্ত অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ারও অনুমতি দিয়েছে আদালত ৷

2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় রাহুল গান্ধি কর্ণাটকে প্রচারে গিয়ে মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ৷ এর পর গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন ৷ গত 23 মার্চ সুরাতের আদালতে সেই মামলার রায় বের হয় ৷ রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ৷ তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত ৷ একই সঙ্গে তিনি যাতে উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারেন, সেই কারণে তাঁকে একমাসের সময়ও দেওয়া হয় ৷

সেই মর্মেই তিনি জামিন পান ৷ কিন্তু সুরাত আদালতের ওই রায় জাতীয় রাজনীতিতে হইচই ফেলে দেয় ৷ বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগে সরব হয় কংগ্রেস ৷ যেহেতু দু’বছরের কারাদণ্ড হয়েছে রাহুলের, তাই সাংসদ পদও খারিজ হয়ে যায় ৷ খালি করতে হয় সাংসদ হিসেবে পাওয়া নয়াদিল্লির 24 আকবর লেনের বাংলোও ৷ রাহুলের অভিযোগ, তিনি আদানি ও মোদির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, তাই তাঁকে এই মূল্য চোকাতে হল ৷

এই ইস্যুতে রাজনৈতিক লড়াই চালানোর পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস ৷ সুপ্রিম কোর্টে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয় ৷ কিন্তু সেই মামলা শীর্ষ আদালত খারিজ করে দেয় ৷ সেদিনই রাহুলের সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে সুরাতের আদালত ৷ তার পর রাহুলের তরফে মামলা করা হয় গুজরাত হাইকোর্টে ৷ গত 29 এপ্রিল এই মামলার শুনানিতে রাহুলের তরফে আইনজীবী দাবি করেন যে হঠাৎ করে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রে প্রভাব পড়েছে ৷ সেখানকার মানুষ অসুবিধায় পড়েছেন ৷

সেদিনের পর আবার আজ, মঙ্গলবার শুনানি ৷ কিন্তু এদিনও সুরাতের আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ পেলেন না তিনি ৷ এখন দেখার আদালতের গ্রীষ্মাবকাশের পর যেদিন এই মামলার শুনানি হবে, সেদিন আদালত কী রায় দেয় !

আরও পড়ুন: রেহাই পেলেন না রাহুল! সুরাতের আদালতে সাজা বহাল

আমেদাবাদ (গুজরাত), 2 মে: মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দু’বছরের কারাদণ্ড হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির ৷ গুজরাতের সুরাত আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সেখানকার সেশন কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি ৷ কিন্তু সুরাত সেশন কোর্ট রাহুলের সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে ৷ তার পর এই নিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ৷ মঙ্গলবার গুজরাত হাইকোর্টও এই নিয়ে রাহুলকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করল ৷

রাহুল গান্ধির তরফে সুরাত আদালতের তরফে দেওয়া রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা করা হয় গুজরাতের উচ্চ আদালতে ৷ মঙ্গলবার ওই আদালতের বিচারপতি হেমন্ত প্রছকের এজলাসে ৷ সেখানে বিচারপতি রাহুলকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করেন ৷ আর জানিয়ে দেন যে রায় রিজার্ভ রাখা হল ৷ ছুটির পর এই নিয়ে তিনি রায় দেবেন ৷ তাছাড়া এই মামলায় রাহুলের বিরোধীপক্ষ পূর্ণেশ মোদির আইনজীবীকে এই সংক্রান্ত অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ারও অনুমতি দিয়েছে আদালত ৷

2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় রাহুল গান্ধি কর্ণাটকে প্রচারে গিয়ে মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ৷ এর পর গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন ৷ গত 23 মার্চ সুরাতের আদালতে সেই মামলার রায় বের হয় ৷ রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ৷ তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত ৷ একই সঙ্গে তিনি যাতে উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারেন, সেই কারণে তাঁকে একমাসের সময়ও দেওয়া হয় ৷

সেই মর্মেই তিনি জামিন পান ৷ কিন্তু সুরাত আদালতের ওই রায় জাতীয় রাজনীতিতে হইচই ফেলে দেয় ৷ বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগে সরব হয় কংগ্রেস ৷ যেহেতু দু’বছরের কারাদণ্ড হয়েছে রাহুলের, তাই সাংসদ পদও খারিজ হয়ে যায় ৷ খালি করতে হয় সাংসদ হিসেবে পাওয়া নয়াদিল্লির 24 আকবর লেনের বাংলোও ৷ রাহুলের অভিযোগ, তিনি আদানি ও মোদির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, তাই তাঁকে এই মূল্য চোকাতে হল ৷

এই ইস্যুতে রাজনৈতিক লড়াই চালানোর পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস ৷ সুপ্রিম কোর্টে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয় ৷ কিন্তু সেই মামলা শীর্ষ আদালত খারিজ করে দেয় ৷ সেদিনই রাহুলের সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে সুরাতের আদালত ৷ তার পর রাহুলের তরফে মামলা করা হয় গুজরাত হাইকোর্টে ৷ গত 29 এপ্রিল এই মামলার শুনানিতে রাহুলের তরফে আইনজীবী দাবি করেন যে হঠাৎ করে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রে প্রভাব পড়েছে ৷ সেখানকার মানুষ অসুবিধায় পড়েছেন ৷

সেদিনের পর আবার আজ, মঙ্গলবার শুনানি ৷ কিন্তু এদিনও সুরাতের আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ পেলেন না তিনি ৷ এখন দেখার আদালতের গ্রীষ্মাবকাশের পর যেদিন এই মামলার শুনানি হবে, সেদিন আদালত কী রায় দেয় !

আরও পড়ুন: রেহাই পেলেন না রাহুল! সুরাতের আদালতে সাজা বহাল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.