নয়াদিল্লি, 25 অক্টোবর: শুধুমাত্র স্ত্রী স্নাতক হওয়ার কারণে, তাঁকে কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না ৷ এমনকি এটাও অনুমান করার কোনও কারণ নেই, যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণের দাবি করার জন্য চাকরি করছেন না ৷ আজ একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট ৷ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ, এক ব্যক্তির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে ৷ যেখানে ওই ব্যক্তি এই মর্মে মামলা করেছেন, তাঁর স্ত্রী বিএসসি ডিগ্রি রয়েছে ৷ ফলে তাঁর স্ত্রীকে প্রতি মাসে অন্তর্বর্তীকালীন যে মাসিক 25,000 টাকা দেন ৷ তা কমিয়ে প্রতি মাসে 15,000 টাকা টাকা করা হোক ৷
বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইতের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ, এ দিন তার রায়ের ঘোষণার সময় মন্তব্য করে, ‘‘এখানে অস্বীকার করার কিছুই নেই যে মামলাকারীর স্ত্রী স্নাতক পাশ ৷ কিন্তু, তিনি কখনই লাভজনক কোনও চাকরি আগে করেননি ৷ তাই পারিবারিক আদালতের নির্ধারিত অন্তর্বর্তীকালীন খরচের পরিমাণে হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ নেই ৷’’
বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি নিনা বনসল কৃষ্ণের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের রায়ে জানান, ‘‘কোনও হস্তক্ষেপ এক্ষেত্রে করা হবে না ৷ শুধুমাত্র স্ত্রীর স্নাতকের শংসাপত্র রয়েছে বলেই, তাঁকে চাকরি করতে বাধ্য করা যায় না ৷ আর এর অর্থ কখনই এটা নয় যে, তিনি স্বামীর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন খরচ আদায় করবেন বলে ইচ্ছাকৃতভাবে চাকরি করছেন না ৷’’ এমনকি মহিলাও পারিবারিক আদালতের নির্ধারিত 25 হাজার টাকার অন্তর্বর্তী খরচের পরিমাণ বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন ৷
আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃত স্বামী-স্ত্রী উভয়ের যৌন সম্পর্কে না যাওয়া 'নিষ্ঠুরতা', বার্তা দিল্লি হাইকোর্টের
এ দিন দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মহিলার সেই আবেদনও খারিজ করে দেন ৷ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, আবেদনকারী তাঁর অন্তর্বর্তী খরচ বাড়ানোর কোনও সঠিক এবং যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে পারেননি ৷ পারিবারিক আদালতের তরফে যে মাসিক অন্তর্বর্তী খরচের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা মহিলা এবং তাঁর ছেলের খরচ চালানোর পক্ষে যথেষ্ট ৷