জাজপুর, 7 জুন: ফের রেল দুর্ঘটনার কবলে সাধারণ মানুষ ৷ এবারও ঘটনাস্থল সেই ওড়িশা ৷ এবার জাজপুর স্টেশনের কাছে মালগাড়িতে কাটা পড়লেন ছ'জন ঠিকা শ্রমিক ৷ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও বেশ কয়েকজন ৷ এক সপ্তাহের মধ্যে পৃথক তিনটি রেলের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবরে রীতিমতো আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ ৷
গত শুক্রবারই মালগাড়ি এবং যশবন্তপুর সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ৷ বালাসোরের বাহানগা স্টেশনের কাছেই কার্যত ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছিল গোটা রেল ট্র্যাক ৷ দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল করমণ্ডলের অধিকাংশ বগি ৷ ক্ষতিগ্রস্থ হয় যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের বগিও ৷ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় 278 জন যাত্রীর ৷ গুরুতর আহত হয়েছেন দুটি ট্রেনে সফররত হাজারের উপরে যাত্রী ৷ এরপর প্রায় পাঁচদিন পর স্বাভাবিক হয়েছে রেল পরিষেবা ৷ এদিনই হাওড়া-শালিমার থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ৷ আর তার মাঝেই ফের বিপত্তি ৷ এবার ট্রেনে কাটা পড়লেন 6 জন ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি থেকে বাঁচতে একটি থেমে থাকা মালগাড়ির নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েকজন রেলের ঠিকা শ্রমিক ৷ আচমকা ট্রেন চলতে থাকায় ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয় ৷
রেল সূত্রে খবর, জাজপুর রোড রেল স্টেশনের চুনভাটি প্লটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল একটি মালগাড়ি। আর ভারী বৃষ্টির কারণে সেই ট্রেনের নীচেই কয়েকজন শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছিলেন ৷ আচমকাই ট্রেনের ইঞ্জিন চালু হয়ে যায় ৷ ঘুরতে শুরু করে ট্রেনের চাকাও ৷ কিন্তু গাড়ির নীচে ঘুমিয়ে থাকা শ্রমিকরা তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ৷ ফলে ঘুমিয়ে থাকা শ্রমিকদের উপর দিয়েই চলে যায় ট্রেনটি ৷ ঘটনাস্থলেই চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ৷ পাশাপাশি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আরও দু'জনের মৃত্যু হয় ৷ একজল শ্রমিক এখনও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার দিন বাতিল করেছিলেন টিকিট, বুধে করমণ্ডলে চেপে শিউড়ে উঠছেন সুজয়
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতেই দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েক জন রেলের ঠিকা শ্রমিকরা। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওড়িশার জাজপুর রোড রেলওয়ে স্টেশনে পণ্যবাহী ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর ফের দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি ৷ অন্যদিকে, অসমের কামরূপ জেলায় লাইনট্যুত হয়ে যায় একটি মালগাড়ি ৷ প্রায় 15টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে কার্যত দুমড়ে মুচড়ে যায় ৷ উপড়ে যায় রেল ট্র্যাকও ৷