মোরাদাবাদ, 19 জানুয়ারি: বোরখা পরে কলেজে গিয়েছিলেন ছাত্রীরা ৷ কিন্তু তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হল না ৷ ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের ৷ এখানে একটি কলেজের ছাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম আছে ৷ কিন্তু তা মানেননি ওই ছাত্রীরা (Muslim Students in burqa denied entry into College) ৷
পড়ুয়াদের অভিযোগ, বোরখা পরে আসায় কর্তৃপক্ষ তাঁদের কলেজে ঢুকতে দেননি ৷ প্রবেশপথে তাঁদের বোরখা খুলে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে ৷ এ নিয়ে পড়ুয়া, সমাজবাদী ছাত্রসভার কর্মী এবং এক অধ্যাপকের মধ্যে বচসা বাধে ৷ ওই অধ্যাপক ছাত্রীদের নির্ধারিত নিয়ম মেনে কলেজের পোশাক পরে আসা নিয়ে অনড় ছিলেন ৷ এই ভিডিয়োটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ৷ ইতিমধ্যে, কলেজের অধ্যাপক ডঃ এপি সিং জানান, তাঁরা এই কলেজের ছাত্রীদের জন্য একটি পোশাকবিধি (Uniform Dress Code) কার্যকর করেছেন ৷ যে কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে, তাঁকে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷
কর্নাটকের একটি কলেজে হিজাব পরে ঢোকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ৷ এ নিয়ে প্রতিবাদে নামেন ছাত্রীরা ৷ উদুপি জেলার সরকারি পিইউ গার্লস কলেজের ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, হিজাব পরে আসায় তাঁদের কলেজে ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ অনেকে এও অভিযোগ করেন, হিজাব পরেছেন বলে তাঁদের কলেজে ঢুকতেও দেওয়া হয়নি ৷ এই ঘটনার পর বিভিন্ন কলেজ থেকে বিজয়াপুরায় শান্তেশ্বর এডুকেশন ট্রাস্টের বহু পড়ুয়া গেরুয়া চাদর গায়ে দিয়ে আসেন ৷ সেই সময় উদুপির বহু কলেজে এই ছবি দেখা গিয়েছিল ৷
আরও পড়ুন: মুসলিম ছাত্রীদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নিয়েছে হিজাব না-পরার ফতোয়া ! দাবি রিপোর্টে
প্রি-ইউনিভার্সিটি এডুকেশন বোর্ড একটি সার্কুলার জারি করে বলেছিল ছাত্রীরা শুধুমাত্র স্কুল প্রশাসনের অনুমোদিত ইউনিফর্ম পরতে পারবেন ৷ এর পাশাপাশি জানানো হয়েছিল, কোনও ধরনের ধর্মীয় আচার পালনের অনুমতি মিলবে না কলেজে ৷ এরপর হিজাব বিতর্কের জল গড়ায় আদালতে ৷ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়ে কর্ণাটক হাইকোর্টে ৷ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ পর্যবেক্ষণে কর্ণাটক হাইকোর্ট জানায়, হিজাব পরাটা ইসলাম ধর্মের কোনও অবশ্য পালনীয় আচার নয় ৷ যদিও এখানেই থেমে থাকেনি হিজাব বিতর্ক ৷ কলেজে পড়ুয়ারা হিজাব পরতে পারবে কি না, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আবেদনকারীরা ৷
আরও পড়ুন: হিজাবহীন মহিলাকে পরিষেবা, ইরানে চাকরি গেল ব্যাংক ম্য়ানেজারের