নয়াদিল্লি, 30 অক্টোবর: ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের (China) দাদাগিরি বন্ধ করতে ভারত-সহ বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির যৌথ হস্তক্ষেপের পক্ষে সওয়াল করলেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত ফিলিপ অ্য়াকারম্য়ান (Philipp Ackermann) ৷ তিনি বলেন, ভারত এবং সেই সমস্ত দেশ, যারা একটি 'বড় ও শক্তিশালী দেশের' ওজন অনুভব করতে পারছে, তাদের এবার একসঙ্গে বসে আলোচনা করা উচিত ৷ আলোচনার মাধ্যমেই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চিনকে রোখার পরিকল্পনা স্থির করতে হবে ৷ কারণ, যত দিন যাচ্ছে, ততই এইসমস্ত এলাকায় আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে চিন ৷
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা যাতে একটি মুক্তাঞ্চল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং এই এলাকা দিয়ে বিশ্বের সব দেশই নিজেদের বাণিজ্য-সহ অন্যান্য কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ভারতের নেতৃত্বেই বাকি বিশ্বকে পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে ৷ জার্মান রাষ্ট্রদূত অন্তত এমনটাই মনে করেন ৷ এমনকী, এই লড়াইয়ে ভারত যাতে অন্যান্য দেশের পথপ্রদর্শক হিসাবে কাজ করে, সেই আবেদনও করেছেন ফিলিপ ৷
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানের উচিত আলোচনায় বসে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা, মত চিনের
ভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফিলিপ বলেন, "ভারতের সীমান্ত সমস্যা অমীমাংসিত হয়ে রয়েছে ৷ এই ঘটনা ভারতের উপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে এবং এর মোকাবিলা করা যে সহজ নয়, তা একেবারেই স্পষ্ট ৷ আমার মনে হয়, এই বিরাট এবং শক্তিশালী দেশটির ওজন এই গোটা অঞ্চলই অনুভব করছে ৷" ফিলিপের মতে, 'এই অতিশক্তিশালী প্রতিবেশীর' মোকাবিলা করতে এই অঞ্চলের সবক'টি দেশের একসঙ্গে বসে আলোচনা করা উচিত ৷ প্রসঙ্গত, জার্মান রাষ্ট্রদূতকে চিনা আগ্রাসন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল ৷ তারই জবাবে এই কথা বলেন ফিলিপ অ্যাকারম্য়ান ৷
সাম্প্রতিক অতীতে চিনের সঙ্গে বারবার সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে ভারত ৷ বাকি বিশ্বও এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল ৷ সেই প্রসঙ্গে ফিলিপ বলেন, "আমি অবশ্যই বলব যে আমি এখানে থেকে সবটাই দেখতে পাচ্ছি ৷ আপনিও সেই চাপ অনুভব করতে পারবেন ৷ এটা এমন কোনও ঘটনা নয়, যা আপনি এড়িয়ে চলতে পারেন বা অগ্রাহ্য করতে পারেন ৷"
উল্লেখ্য, 2020 সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর থেকেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি না হলেও কূটনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে ৷ অন্যদিকে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে চিনের বাড়বাড়ন্ত ভাবাচ্ছে পশ্চিমী দুনিয়াকে ৷ এই প্রেক্ষাপটে চিনের মোকাবিলায় ভারতকে (India) কার্যত চালকের আসনে বসার বার্তা দিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ৷