লখনউ, 7 জুন: ফের ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশ ৷ লখনউ-এর সিভিল কোর্টের ভিতরেই গুলিতে প্রয়াত মুখতার আনসারির ঘনিষ্ঠ সহযোগী সঞ্জীব মহেশ্বরী ওরফে জিভা । প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সঞ্জীবকে লখনউ সিভিল কোর্টের ভিতরে গুলি করে এক দুষ্কৃতী । আইনজীবীর পোশাক পরেই গুলি চালায় সে ৷ দ্বিবেদী হত্যা মামলার অভিযুক্ত ছিলেন জিভা । ওই গুলি হামলায় এক শিশু ও এক পুলিশও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ।
হামলাকারীরা আইনজীবীর ছদ্মবেশে আদালতে প্রবেশ করেছিল । তারা সঞ্জীবকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে ৷ ঘটনাস্থলেই মারা যায় আনসারি-ঘনিষ্ট ওই গ্যাংস্টার । ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য বলেন, "আমার কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই ৷ তবে কেউ যদি এই ধরনের খুনের সঙ্গে জড়িত থাকে তবে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ৷ তাদের কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না ৷"
মুখতার আনসারি ও মুন্না বজরঙ্গী গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সঞ্জীব মহেশ্বরী ওরফে জিভা । 2018 সালে বাগপত জেলে খুন হন বজরঙ্গী । জিভা বিজেপি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী ব্রহ্মদত্ত দ্বিবেদীর হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত ৷ 1997 সালের 10 ফেব্রুয়ারি ফারুকাবাদের লোহাই রোডে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল । 2003 সালে, সিবিআই আদালত সঞ্জীব মহেশ্বরী এবং প্রাক্তন বিধায়ক বিজয় সিংকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল ।
আরও পড়ুন: শত্রুপক্ষের হামলায় তিহাড় জেলে মৃত্যু গ্যাংস্টার তিল্লুর
অন্যদিকে, সপ্তাহের শুরুতেই গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারিকে কংগ্রেস নেতা অবধেশ রাই হত্যার ঘটনায় বারাণসীর একটি আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেয় । 1991 সালের ওই খুনের ঘটনায় সাজা শুনিয়েছে আদালত ৷
প্রসঙ্গত, দু'মাস আগেই বিচারাধীন বন্দিকে কোর্ট চত্বরে গুলি করে খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল ৷ ওই বন্দিকে বিচারের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল বিহারের সাহারসা কোর্টে ৷ বাইকে করে এক আততায়ী এসে ওই যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৷ এপ্রিলের শেষদিকে রাজধানী দিল্লির সাকেত আদালত চত্বরেও একই ঘটনা ঘটে ৷ আইনজীবীর পোশাক পরা এক ব্যক্তি মহিলা আইনজীবীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান ৷ কামেশ্বর প্রসাদ সিং বলে ওই আইনজীবী ওই মহিলাকে লক্ষ্য করে 4টি গুলি করেন ৷ তার কিছু দিন আগেই কামেশ্বরকে সাসপেন্ড করে সাকেত বার অ্যাসোসিয়েশন ।