নয়াদিল্লি, 9 সেপ্টেম্বর: ভারতের সভাপতিত্বে শনিবার শক্তিশালী জি20 গ্রুপ সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একইসঙ্গে, সন্ত্রাসবাদের নিরাপদ আশ্রয় ধ্বংস করা, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে তাদের কোণঠাসা করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সবক'টি দেশ।
জি20 রাষ্ট্রনেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথ বিবৃতি প্রকাশের কথা ঘোষণা করেন। আর সেই বিবৃতিতেই বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের সমস্ত কাজ অপরাধমূলক এবং অযৌক্তিক। তাদের প্রেরণা যেখানে, যখন বা যেই হোক না কেন, তাও অপরাধ হিসাবেই গণ্য হবে। একই সঙ্গে, জি20 নেতৃত্ব ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) এবং এফএটিএফ-স্টাইলের আঞ্চলিক সংস্থাগুলির ক্রমবর্ধমান সম্পদের চাহিদাকে সমর্থন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
'জি20 নয়াদিল্লি'-র যৌথ বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, "আমরা সন্ত্রাসবাদ এবং তার সব ধরনের প্রকাশের নিন্দা করছি । যার মধ্যে জেনোফোবিয়া, বর্ণবাদ এবং অন্যান্য একাধিক অসহিষ্ণুতার ভিত্তিতে কিংবা ধর্ম অথবা বিশ্বাসের নামেও ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসের নিন্দা করা হচ্ছে । আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এই সন্ত্রাসবাদ গুরুতর হুমকি ।” জি20 নেতারা দুর্বল পরিকাঠামো, জ্বালানি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের বিরুদ্ধে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন।
কার্যকরী সন্ত্রাস দমন ব্যবস্থা, সন্ত্রাসবাদের শিকারদের সমর্থন এবং মানবাধিকার সুরক্ষা এবং পারস্পরিক শক্তিশালীকরণের দিকে লক্ষ্য রাখার কথাও বলেছেন নেতারা। ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, "আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি কার্যকরভাবে সন্ত্রাসবাদকে মোকাবিলা করতে পারে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কার্যকারিতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা জোরদার করা উচিত যাতে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে নিরাপদ আশ্রয়, আঘাতের স্বাধীনতা, আন্দোলন এবং নিয়োগের পাশাপাশি আর্থিক এবং রাজনৈতিকভাবে যাবতীয় সমর্থন ও সুবিধাকে প্রত্য়াখ্য়ান করা যায়। আমরা অবৈধ পাচার, অস্ত্রের ব্যাপক বিস্তৃতি এবং ব্যবহার সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করি। এর রফতানি, আমদানি নিয়ন্ত্রণ-সহ যাবতীয় সন্ত্রাসী ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও গুরুত্বপূর্ণ ।"
আরও পড়ুন: জি20'র যৌথ ঘোষণাপত্রে সহমত রাষ্ট্রনেতারা, বড় কূটনৈতিক সাফল্য ভারতের
জি20 শীর্ষ সম্মেলনের পর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, "জি20 নেতারা সন্ত্রাসবাদ এবং অর্থ পাচারের বিরুদ্ধেও বক্তব্য রেখেছেন। নেতারা নিন্দার পাশাপাশি স্বীকৃতি দিয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুতর হুমকিগুলির মধ্যে একটি।" জি20 ঘোষণায় বলা হয়েছে, "জি20 সদস্য দেশগুলি এফএটিএফ স্ট্যান্ডার্ডগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভার্চুয়াল সম্পদের সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকিগুলি প্রশমিত করার জন্য কার্যকর নিয়ন্ত্রক এবং তদারকি কাঠামোর বিকাশ ও বাস্তবায়নের গুরুত্বও নিয়েও আলোচনা হয়েছে । বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদের পক্ষে অর্থ প্রদান, টাকা পাচারও ঝুঁকির সমান ।"