ইম্ফল, 6 অগস্ট: আবারও হিংসার আগুন মণিপুরে ৷ নতুন করে উত্তেজনার খবর মিলল ইম্ফল পশ্চিম জেলায় ৷ সেখানকার 15টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেখা হয়েছে বলে রবিবার আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ ঘটনাটি শনিবার সন্ধ্যায় ল্যাঙ্গোল গেমস গ্রামে ঘটে ৷ সেখানে উত্তেজিত জনতা তাণ্ডব চালায় বলে জানিয়েছে সূত্র ৷
গুলিবিদ্ধ এক: নিরাপত্তা কর্মীরা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এই ঘটনায় গুলিও চলে বলে অভিযোগ ৷ 45 বছর বয়সি এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে । রিজিয়নাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (RIMS) তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে ৷ তাঁর বাম উরুতে বুলেটের ক্ষত রয়েছে ৷ তবে বর্তমানে তিনি বিপন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা ৷ রবিবার সকালে এলাকা কিছুটা শান্ত হলেও বিধিনিষেধ বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা ।
ইম্ফল পূর্বেও অগ্নিসংযোগ: ইম্ফল পূর্ব জেলার চেকন এলাকা থেকেও নতুন করে হিংসা খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ শনিবার সেখানে একটি বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন । আশপাশের তিনটি বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায় ৷ দমকলকর্মীদের প্রচেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে ৷
আরও পড়ুন: অশান্ত মণিপুরে এবার জঙ্গি হামলা ! ঘুমন্ত 3 জনকে গুলির করে খুন
ধর্মঘটে জনজীবন বিপর্যস্ত: 27টি বিধানসভা কেন্দ্রের কোঅর্ডিনেশন কমিটির ডাকা 24 ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটের মধ্যেই হিংসার ঘটনাগুলি ঘটে ৷ জানা গিয়েছে, শনিবার ইম্ফল উপত্যকায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয় এই ধর্মঘটের জেরে ৷ এর আগে, শনিবার ও শুক্রবার মধ্যরাতে বিষ্ণুপুর জেলায় এক বৃদ্ধ ও তাঁর ছেলে-সহ তিনজন নিহত হন । সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বন্দুক ও তলোয়ার নিয়ে কোয়াকতা লামখাই গ্রামে হামলা চালায় এবং নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ ৷ সেই হামলার মুখে পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয় । হামলায় কয়েকজন আহতও হয়েছেন । অসমর্থিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা দুই গ্রামবাসীকেও অপহরণ করেছে ।
উদ্ধার দেহ: হামলার ফলে গ্রামবাসীরা পালিয়ে যায় । পুলিশ অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে এলাকায় গিয়ে দেহ উদ্ধার করে । নিহতরা হলেন ইউমনাম পিশাক মেইতি (67) এবং তাঁর ছেলে ইউমনাম প্রেমকুমার মেইতি (39) এবং প্রতিবেশী ইউমনাম জিতেন মেইতি (46)৷
মে মাসে মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হয় এবং গত তিন মাস ধরে তা অব্যাহত রয়েছে ৷ এতে এখনও পর্যন্ত 160 জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে ।