নয়াদিল্লি, 17 ডিসেম্বর : ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান অতিসক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি (French Defence Minister Florence Parly commets on China's aggressiveness in Indo-Pacific region and South China Sea) ৷ শুক্রবার ভারত সফরে (French Defence Minister's India Visit) এসে তিনি বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে চিনের দাপট দিন দিন বাড়ছে ৷ বাকিরাও যাতে ওই এলাকায় স্বাধীনভাবে সমুদ্র সফর অব্যাহত রাখতে পারে এবং আন্তর্জাতিক আইন যাতে কোনওভাবেই লঙ্ঘিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে ৷’’
আরও পড়ুন : Rahul Gandhi on Chinese Occupation : এবার চিনা দখলদারির সত্যতাও মেনে নেওয়া উচিত কেন্দ্রের, দাবি রাহুলের
এদিন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ফ্লোরেন্স (French Defence Minister Florence Parly meeting with Indian Defence Minister Rajnath Sing) ৷ আলোচনায় উঠে আসে আফগানিস্তান প্রসঙ্গ ৷ তাতে ফ্লোরেন্স বলেন, সবাইকে একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে হবে ৷ ভারত ও ফ্রান্স কীভাবে সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে, তারও উল্লেখ করেন ফরাসী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ৷
চিন একটি বিশাল রাষ্ট্র ৷ তাই জলবায়ুর পরিবর্তন রোখা-সহ বিভিন্ন ইস্য়ুতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করেন ফ্লোরেন্স ৷ এরপরই চিনের বেশ কিছু ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি ৷ বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে চিনেরও অংশীদারিত্ব রয়েছে ৷ কিন্তু, সংশ্লিষ্ট এলাকায় চিন ক্রমশ আগ্রাসী হয়ে উঠছে ৷ বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগরে তাদের অতিসক্রিয়তা ভীষণভাবে লক্ষ্যণীয় ৷’’
আরও পড়ুন : India-China Relation : সম্পর্কের অবনতিতে চিনকেই দায়ী করলেন জয়শঙ্কর
চিনের এই অতিসক্রিয়তা ভারত ও ফ্রান্স, দুই দেশের কাছেই যে চিন্তার বিষয়, সেই বার্তাও দিয়েছেন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বেশ কিছু ক্ষেত্রে ফ্রান্স ও ভারতের ভাবনা-চিন্তা সমান ৷ আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন ও নৌচলাচলের স্বাধীনতাই এর সবটুকু নয় ৷ এর সঙ্গে আরও অনেক নিয়মকানুন জড়িয়ে রয়েছে ৷ সবথেকে বড় কথা, নৌচলাচলের অধিকার এবং ব্যবসায়িক স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকাটা ভীষণ জরুরি ৷’’ যা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ফ্লোরেন্স ৷