সুরাত, 23 জুন: নারকীয় ঘটনার সাক্ষী গুজরাত। রাস্তার ধারে বাবা-মায়ের পাশে শুয়ে থাকা 4 বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ । হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে নির্যাতিতা। জানা গিয়েছে,শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অচৈতন্য রয়েছে নির্যাতিতা। এদিকে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। জানা গিয়েছে, পরিবারের বাকিদের সঙ্গে রাস্তার ধারে শুয়ে ছিল নির্যাতিতা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সুযোগ বুঝে তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। চরম নির্যাতনের পর কোনওরকমে পরিবারের কাছে ফিরে আসে নির্যাতিতা। বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, রাত 2 টো নাগাদ মেয়ে তাঁর কাছে জল চান। জল দিতে গিয়ে তিনি দেখেন,ছোট্ট শরীরটা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আর দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নির্যাতিতাকে। শুধু তাই নয়, সেই সময় নির্যাতিতা ভালো করে কথা বলার অবস্থাতেও ছিল না বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ছেলের খুনের প্রতিশোধ নিতে দু’জনকে হত্যায় অভিযুক্ত অন্ধ্রের মহিলা
খবর যায় পুলিশেও। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে সুরাতের ইছাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ । এদিকে আপাতত সুরাতেরই একটি হাসপাতালে নির্যাতিতার চিকিৎসা চলছে । হাসপাতাল জানিয়েছে, তার গোপনাঙ্গ থেকে শুরু করে মুখ-সহ একাধিক জায়গায় চোট লেগেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এনেছে নির্যাতিতার পরিবার আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে বহু বছর ধরে সুরাতে আছে। রাত 9টা নাগাদ পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। এরপরই কোনও একটা সময় এই নারকীয় ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান পুলিশের। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।