ETV Bharat / bharat

Angul Elephant Attack: আচমকা হাতির হামলা, ওড়িশার আঙ্গুলে মৃত 4

হাতি বোধহয় দলছুট হয়ে গিয়েছিল ৷ তারপর গ্রামের কাছে ঘোরাফেরা করছিল ৷ এর মধ্যে কেউ বা চাষের ক্ষেতে যাচ্ছিলেন, কেউ বা প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়েছিলেন (Elephant attack in Angul Odisha) ৷

People die due to Elephant Attack
হাতির আক্রমণে মৃত্যু
author img

By

Published : Jan 8, 2023, 1:53 PM IST

আঙ্গুল, 8 জানুয়ারি: চারজনের মৃত্যু হয়েছে হাতির আক্রমণে ৷ শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার আঙ্গুল জেলায় ৷ মৃতদের মধ্যে একজন প্রৌঢ় ছিলেন ৷ তাঁর নাম সুভাষ সাহু ৷ চেলিয়াপাড়া গ্রামে তিনি তাঁর মাঠে কাজ করছিলেন ৷ সে সময় হাতি এসে তাঁর উপর হামলা করে ৷ অঙ্গরাবান্ধা গ্রামে অনিরুদ্ধ সাহু নামের আরেক ব্যক্তিও ওই এক হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন (4 died due to Elephant Attack) ৷

অনিরুদ্ধ সাহু তাঁর ক্ষেতে যাচ্ছিলেন ৷ সে সময় হাতি তাঁকে আক্রমণ করে ৷ একইভাবে বড়সিংহ গ্রামের বাসিন্দা রমেশ সোয়াইন ৷ প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়েছিলেন তিনি ৷ তখন তিনিও হাতির হানায় প্রাণ খুইয়েছেন ৷ দাঁতালটি সান্ত্রি গ্রামের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছিল ৷ তিনটি গ্রামে মোট 4 জনকে হত্যা করে সে ৷

স্থানীয় এক ব্যক্তি বন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ৷ তিনি বলেন, "বন দফতর এই দাঁতালটি কোথায় যাচ্ছে, তা জানতে ব্যর্থ হয়েছে ৷ তার ফলে এই দুর্ভাগ্যজনক একের পর এক মৃত্যু ৷ তারা যদি কোনও ভাবে মানুষকে সতর্ক করতেন এবং হাতির গতিবিধি সম্পর্কে জানাতেন, তাহলে এই চারজনের প্রাণ বাঁচত ৷" সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দাঁতালটি হয়তো কোনও ভাবে তার দল থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে ৷ দলছুট এখন ওই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷

আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে বিনা অনুমতিতে কাঠ কুড়োতে গিয়ে হাতির হামলায় মৃত 2 মহিলা

বন দফতরের কোনও কর্মী গ্রামে আসেননি এবং হাতির আনাগোনা নিয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি ৷ তাই গ্রামবাসীও এ বিষয়ে কিছু জানত না ৷ শনিবার ভোর ভোর, চেলিয়াপাড়া গ্রামের সুভাষ বিসওয়াল তাঁর ভাইকে নিয়ে ক্ষেতে গিয়েছিলেন ফসলের অবস্থা কী, তা খতিয়ে দেখতে ৷ হঠাৎ কোত্থেকে হাতিটা এসে তাঁদের উপর হামলা চালায় ৷ প্রৌঢ় সুভাষের ভাই পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন ৷ কিন্তু সুভাষকে সামনে পেয়ে হাতিটি তাঁকে তুলে আছাড় মারে ও তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান ৷

এর পরপরই হাতিটা অঙ্গরাবান্ধা, বড়সিংহ এবং সান্ত্রি- প্রত্যেকটি গ্রামে একজন করে মারা যান হাতির আক্রমণে ৷ আরেক গ্রামবাসীও এ নিয়ে বলেন, "এই প্রথম আমাদের গ্রামে এমন কোনও ঘটনা ঘটল ৷ কোনও হাতি অথবা দাঁতালকে কখনও গ্রামগুলির কাছে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়নি ৷ এই প্রথম ৷" তিনিও আক্ষেপের সুরে বলেন, "বনবিভাগ যদি এ নিয়ে কোনও ঘোষণা করত ৷ গ্রামবাসী সজাগ থাকত ৷ তাই, আমরা এই মৃত্যুর জন্য বনদফতরকেই দায়ী করব ৷"

আঙ্গুল, 8 জানুয়ারি: চারজনের মৃত্যু হয়েছে হাতির আক্রমণে ৷ শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার আঙ্গুল জেলায় ৷ মৃতদের মধ্যে একজন প্রৌঢ় ছিলেন ৷ তাঁর নাম সুভাষ সাহু ৷ চেলিয়াপাড়া গ্রামে তিনি তাঁর মাঠে কাজ করছিলেন ৷ সে সময় হাতি এসে তাঁর উপর হামলা করে ৷ অঙ্গরাবান্ধা গ্রামে অনিরুদ্ধ সাহু নামের আরেক ব্যক্তিও ওই এক হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন (4 died due to Elephant Attack) ৷

অনিরুদ্ধ সাহু তাঁর ক্ষেতে যাচ্ছিলেন ৷ সে সময় হাতি তাঁকে আক্রমণ করে ৷ একইভাবে বড়সিংহ গ্রামের বাসিন্দা রমেশ সোয়াইন ৷ প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়েছিলেন তিনি ৷ তখন তিনিও হাতির হানায় প্রাণ খুইয়েছেন ৷ দাঁতালটি সান্ত্রি গ্রামের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছিল ৷ তিনটি গ্রামে মোট 4 জনকে হত্যা করে সে ৷

স্থানীয় এক ব্যক্তি বন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ৷ তিনি বলেন, "বন দফতর এই দাঁতালটি কোথায় যাচ্ছে, তা জানতে ব্যর্থ হয়েছে ৷ তার ফলে এই দুর্ভাগ্যজনক একের পর এক মৃত্যু ৷ তারা যদি কোনও ভাবে মানুষকে সতর্ক করতেন এবং হাতির গতিবিধি সম্পর্কে জানাতেন, তাহলে এই চারজনের প্রাণ বাঁচত ৷" সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দাঁতালটি হয়তো কোনও ভাবে তার দল থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে ৷ দলছুট এখন ওই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷

আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে বিনা অনুমতিতে কাঠ কুড়োতে গিয়ে হাতির হামলায় মৃত 2 মহিলা

বন দফতরের কোনও কর্মী গ্রামে আসেননি এবং হাতির আনাগোনা নিয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি ৷ তাই গ্রামবাসীও এ বিষয়ে কিছু জানত না ৷ শনিবার ভোর ভোর, চেলিয়াপাড়া গ্রামের সুভাষ বিসওয়াল তাঁর ভাইকে নিয়ে ক্ষেতে গিয়েছিলেন ফসলের অবস্থা কী, তা খতিয়ে দেখতে ৷ হঠাৎ কোত্থেকে হাতিটা এসে তাঁদের উপর হামলা চালায় ৷ প্রৌঢ় সুভাষের ভাই পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন ৷ কিন্তু সুভাষকে সামনে পেয়ে হাতিটি তাঁকে তুলে আছাড় মারে ও তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান ৷

এর পরপরই হাতিটা অঙ্গরাবান্ধা, বড়সিংহ এবং সান্ত্রি- প্রত্যেকটি গ্রামে একজন করে মারা যান হাতির আক্রমণে ৷ আরেক গ্রামবাসীও এ নিয়ে বলেন, "এই প্রথম আমাদের গ্রামে এমন কোনও ঘটনা ঘটল ৷ কোনও হাতি অথবা দাঁতালকে কখনও গ্রামগুলির কাছে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়নি ৷ এই প্রথম ৷" তিনিও আক্ষেপের সুরে বলেন, "বনবিভাগ যদি এ নিয়ে কোনও ঘোষণা করত ৷ গ্রামবাসী সজাগ থাকত ৷ তাই, আমরা এই মৃত্যুর জন্য বনদফতরকেই দায়ী করব ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.