বারমের (রাজস্থান), 2 সেপ্টেম্বর: মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রাজস্থানের বারমের। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, গম ভাঙানোর মেশিন চালু করতেই দুই সন্তান-সহ এক মহিলা এবং তাঁর বাবার প্রাণ যায়। মেশিনটিতে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বারমেরের রামদেবপুরের একটি গ্রামে পরিবার নিয়ে থাকতেন হাথে সিং। ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি প্রাণ গিয়েছে মেয়ে চাইলু কানোয়ার এবং তাঁর দুই ছেলে যশবন্ত এবং প্রতাপেরও। মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কর্তারাও। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, গম ভাঙানোর মেশিন থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তার জেরে একে একে চারজনের প্রাণ গিয়েছে। স্থানীয়দের থেকেই ঘটনার কথা জানতে পারে পুলিশ।
বারমেরের পুলিশ সুপার দিগন্ত আনন্দ জানিয়েছেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গম ভাঙানোর মেশিনটিকে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তাতে কী ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল তা জানতে পারলে এই চারজনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে তদন্তকারীদের অনুমান।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন কিছু নয়। বর্ষাকালে এই ধরনের ঘটনা অনেক বেশি পরিমাণে ঘটে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ যায় মুর্শিদাবাদের তিন বাসিন্দার। রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গাজিয়াবাদে গিয়েছিলেন গোকুল মণ্ডল, শুভঙ্কর রায় এবং ইসরাইল শেখ। মাত্র মাস দুয়েক কাজ করার পরই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ যায় এই তিনজনের। এবার রাজস্থানের বারমেরও সাক্ষী রইল এই মর্মান্তিক ঘটনার। প্রাণ গেল একই পরিবারের চারজনের।
আরও পড়ুন: গাজিয়াবাদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের তিন পরিযায়ী শ্রমিকের