তিরুপুর (তামিলনাড়ু), 4 সেপ্টেম্বর: পুরনো শত্রুতার জেরে দুই মহিলা-সহ একটি পরিবারের চার সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা তিনজনের ৷ ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর তিরুপুর জেলার পাল্লাদামে ৷ সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে ।তবে নিহতদের দেহগুলি ময়নাতদন্তের পর গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা ৷ তাদের দাবি, সব দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তারা দেহগুলির সৎকার করবে না । এমনকী এই দাবিতে মৃতের আত্মীয়রা পাল্লাদমে বিক্ষোভও শুরু করে । এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সেন্থিল কুমার, তাঁর মা পুষ্পবতী, কাকাতো ভাই মোহন এবং পরিবারের অন্য এক সদস্য রথিনাম্বল ৷ পাল্লাদামের কাল্লাকিনারুতে সেন্থিল কুমারের দোকানের কাছে অবস্থিত তাঁর বাড়ি ৷ সেই বাড়ির কাছ থেকেই তাঁদের দেহগুলি উদ্ধার হয়েছে ৷ দেহে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানা গিয়েছে । তাঁদের দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাল্লাদম সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
পুলিশ আটক করা ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, ভেঙ্কটেশ নামে এক ব্যক্তি সেন্থিল কুমারের গাড়ির চালক ছিলেন এক সময় ৷ বেশি টাকা চাওয়ায় তাঁকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন সেন্থিল ৷ 3 সেপ্টেম্বর রাতে সেন্থিল কুমারের দোকানের কাছে ভেঙ্কটেশ তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দু'জনকে নিয়ে মদ্যপান করছিলেন ৷ সেসময় সেন্থিল তাঁদের ওখানে মদ্যপান করতে বারণ করেন এবং তাঁদের সেখান চলে যেতে বলেন ৷
আরও পড়ুন: পোষ্যকে নিয়ে সমস্যা, রাগে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে খুন! আত্মঘাতী অভিযুক্ত
এ কথা শুনে রেগে যান ভেঙ্কটেশ ৷ তারপরেই সেন্থিলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে তিনজনে ৷ সেন্থিল চিৎকার করতে থাকেন ৷ তাঁর আওয়াজ শুনে বাড়ি থেকে ছুটে আসেন মা ও কাকাতো ভাই এবং আর এক পরিবারের সদস্য ৷ অভিযুক্তরা এরপর চারজনকেই কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ । ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে ৷
(সংবাদ সংস্থা -পিটিআই)