রাঁচি, 2 জুন: রাঁচির খালারিতে নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু ৷ পরিবারেরে দাবি, নাবিলিকা আত্মঘাতী হয়েছে। গত বুধবার রাতের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত নাবালিকারা বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে একটি ভিনধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম করছিল ৷ আর সেই ছেলেটি তাঁর মেয়েকে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ দিচ্ছিল ৷ সেই কারণেই নাকি নাবালিকা আত্মঘাতী হয়েছে ৷ এই দু'জনের একটি সন্তানও রয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে মৃত নাবালিকার বাবা ৷ পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
খালারি থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত নাবালিকার প্রেমিকও অপ্রাপ্তবয়স্ক ৷ মৃতের বাবা পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, 2 বছর আগে ওই নাবালক পরিচয় লুকিয়ে তাঁর মেয়েকে খালারির একটি পাহাড়ি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ৷ বিষয়টি পরে প্রকাশ্যে আসে ৷ ওই নাবালিকা একটি সন্তান প্রসব করেছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানতে পারে পুলিশ ৷ তাঁদের দাবি সন্তানটি অভিযুক্ত নাবালকের ৷ মৃতের বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, গত 31 মে রাতে তাঁর মেয়ে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিল এবং কান্নাকাটি করছিল ৷ তিনি সেটি দেখে ফেলেন ৷
পুলিশকে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, নাবালিকা তার বাবাকে জানায়, ছেলেটি তাকে ধর্ম পরিবর্তনের চাপ দিচ্ছে ৷ তা না হলে তাকে ও সন্তানকে সে নিজের কাছে রাখতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় ৷ আর তার জেরেই নাকি নাবালিকা গত বুধবার রাতে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশে অভিযোগ করেছেন তার বাবা ৷ এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ৷ তবে, ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত নিজেও নাবালক ৷
আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক মৃত্যু নাবালিকার ! পঞ্চায়েত সদস্যের মদতে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই তড়িঘড়ি দাহ করল পরিবার
পুলিশ নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ৷ সেই রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে ৷ নাবালককে পুলিশ গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার জুভেনাইল আদালতে পেশ করে ৷ বিচারক তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মামলাটি সংবেদনশীল উপায়ে তারা তদন্ত করছে ৷ এর বাইরে বেশি কিছু বলতে চায়নি পুলিশ ৷