আগ্রা, 17 জুলাই: ফুঁসছে যমুনা নদী। গত 45 বছরের রেকর্ড ভেঙে বেড়েছে যমুনা নদীর জলস্তর ৷ বিপদসীমা অতিক্রম করে ফুঁসছে সেটি ৷ সেইসঙ্গে 45 বছরে এই প্রথমবার তাজমহলের প্রাচীর ছুঁল যমুনা নদীর জল ৷ এমনকী, আশংকা করা হচ্ছে যে তাজমহল সংলগ্ন কৈলাশ ঘাট-সহ 28টিরও বেশি এলাকা যমুনা নদীর জল বৃদ্ধির কারণে ডুবে যেতে পারে ৷ ফলত, আশপাশের অঞ্চলে 144 ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
বিপদসীমা পেরিয়ে যমুনার কোপ বসিয়েছে পোয়াঘাট ও তাজগঞ্জ শ্মশানেও ৷ সেখানেও নদীর জল ঢুকে পড়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়ানক ৷ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রিয়জনদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে আসা সাধারণ মানুষ ৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় তাজমহলের সামনে কৈলাশ ঘাটের মতো স্মৃতিস্তম্ভ এবং আশেপাশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ 28টি এলাকা বানভাসি হতে পারে। বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লিতে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর জলস্তর। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আশংকা, যমুনা নদীর জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করে 208 মিটার পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। যা দিল্লির বাসিন্দাদের জন্য ভীষণই উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।
সেচ দফতর বন্যাপ্রবণ এলাকার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ৷ যার মধ্যে রয়েছে নাগলা বুধি, অমরবিহার, দয়ালবাগ, বলকেশ্বর, সরস্বতী নগর, রাধা নগর, জীবন মান্ডি, কৃষ্ণা কলোনি, বেদান্ত মন্দির থেকে ফোর্ট, স্ট্রেচি ব্রিজ ৷ এছাড়া চট্টা বাজার-সহ গোকুলপুরা, মাড়োয়ারি বস্তি, মতি মহল, যমুনা ব্রিজ কলোনি, রামবাগ বস্তি, অপ্সরা টকিজ এবং অন্যান্য এলাকাও বানভাসি হওয়ার সম্ভাবনা। এই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের অবিলম্বে অন্য কোথাও সরে যেতে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রসাসনের তরফে।
বৃষ্টিতে আটকে পড়া ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বন্যায় কৃষি জমিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সেখানে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে প্রশাসন ও দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী। যমুনার জলস্তর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন আতঙ্কের প্রহর গুনছে রাজধানী। নদী সংলগ্ন নীচু এলাকায় সবচেয়ে বেশি বিপদের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিমাচল-উত্তরাখণ্ড-সহ 4 রাজ্যে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, জারি কমলা সতর্কতা