নয়াদিল্লি, 22 সেপ্টেম্বর: দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি শনিবার প্রথম বৈঠক করেছে ৷ কমিটির প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে এদিন জানা গিয়েছে, একযোগে দেশে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ একইসঙ্গে, সারা দেশে একসঙ্গে ভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক দল এবং আইন কমিশনকে তাদের মতামত জানাতে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, প্রাক্তন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিং, প্রাক্তন লোকসভা মহাসচিব সুভাষ কাশ্যপ এবং প্রাক্তন মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রখ্যাত আইনজীবী হরিশ সালভে ভার্চুয়ালি এদিনের বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠকের প্রথমদিনে কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নির্বাচন কমিশন স্বীকৃত সবকটি সর্বভারতীয় দল, রাজ্যে সরকারে থাকা দলগুলি, সংসদে তাদের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য স্বীকৃত আঞ্চলিক দলগুলিকে গোটা দেশে একযোগে নির্বাচনের বিষয়ে পরামর্শ এবং ভিউ পয়েন্ট চাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ কমিটি একই সঙ্গে নির্বাচনের বিষয়ে পরামর্শ এবং দৃষ্টিভঙ্গির জন্য আইন কমিশনকেও আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আইনমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
লোকসভার বিরোধী দলের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে আগে কমিটির সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি তা অস্বীকার করেছিলেন ৷ চিঠি দিয়ে তিনি আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন এই কমিটিতে তিনি থাকতে পারবেন না ৷ সেই মতো এদিনের প্রথম বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন না অধীর চৌধুরী ৷ কেন্দ্রীয় সরকার 2 সেপ্টেম্বর ঘোষণা করেছে যে, দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷ যে কমিটি লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা, পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলির একযোগে নির্বাচনের জন্য পরীক্ষামূলক আলোচনা করে সুপারিশ করবে ৷
আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবন নিয়ে কংগ্রেসের কটাক্ষ, পালটা আক্রমণ বিজেপির
সূত্রের খবর, বৈঠকে ত্রিশঙ্কু সংসদ, অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ বা একযোগে নির্বাচনের ক্ষেত্রের সঙ্গেই অন্য যেকোনও পরিস্থিতিগুলির সম্ভাব্য সমাধানগুলিও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বৈঠকে স্টেকহোল্ডার, সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি অন্যান্যদের সঙ্গে কীভাবে আলোচনা করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 2024 সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে 'এক দেশ, এক ভোট' নীতি মূলত বাস্তবায়ন করতে চাইছেন।