বক্সার, 13 জুলাই: জনপ্রিয় রেস্তোরাঁকে সাড়ে তিন হাজার টাকা জরিমানা করল বিহার প্রশাসন ৷ অভিযোগ, মশলা ধোসার সঙ্গে সাম্বার দেয়নি ওই রেস্তোরাঁটি ৷ হ্যাঁ, এমন ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বক্সার জেলায় ৷ অভিযোগকারী মণীশ পাঠকনগর পুলিশ থানা একালার বাংলা ঘাটের বাসিন্দা ৷ জানা গিয়েছে, প্রায় 11 মাস আগে তিনি ডিস্ট্রিক্ট কমিশন অফ বক্সারে এই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ৷
ঘটনার সূত্রপাত 2022 সালের 15 অগস্ট ৷ অভিযোগকারী মণীশ পাঠক ওই রেস্তোরাঁয় বিশেষ মশলা ধোসা অর্ডার দেন ৷ বাড়িতে অনুষ্ঠান থাকায় মশলা ধোসা বাড়িতে পাঠানোর কথা জানান ৷ এর জন্য মণীশ পাঠক 140 টাকার বিলও মিটিয়েছেন ৷ তাঁর অভিযোগের চিঠি থেকে জানা গিয়েছে, রেস্তোরাঁ থেকে আসা মশলা ধোসার পার্সেলে সাম্বার ছিল না ৷ মশলা ধোসা এলে তার সঙ্গে সম্বর থাকা আবশ্যিক ৷ তাই সেটি না-থাকায় চটে যান ক্রেতা মণীশ ৷
এরপর তিনি রেস্তোরাঁয় অভিযোগ জানান। জানতে চান, কেন তারা মশলা ধোসার সঙ্গে সাম্বার পাঠায়নি ৷ তবে রেস্তোরাঁ তাঁর অভিযোগকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি ৷ আরও পরে মণীশ রেস্তোরাঁর ম্যানেজারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন ৷ সেখান থেকেও কোনও উত্তর পাননি ৷ এবার একজন ক্রেতা হিসেবে নিজের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে নামেন মণীশ ৷ তিনি জেলার ক্রেতা কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷
আরও পড়ুন: নিয়ম-বহির্ভূত পার্কিং ফি আদায়, ক্রেতার সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে 61 হাজার টাকা খোয়ালো কফি সংস্থা!
এই অভিযোগের শুনানি হয় ৷ তাতে রেস্তোরাঁর গাফিলতি ধরা পড়ে ৷ তারপর কমিশনের প্রধান বিচারপতি জে জয়প্রকাশের ডিভিশন বেঞ্চ কড়া পদক্ষেপ করেন রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে ৷ ক্রেতাকে মানসিক দিক দিয়ে হয়রান করার জন্য 2 হাজার টাকা, শারীরিক ও আর্থিক দিক দিয়ে হেনস্থার জন্য 1 হাজার 500 টাকা জরিমানা করা হয় রেস্তোরাঁটিকে ৷ সব মিলিয়ে 45 দিনের মধ্যে ক্রেতাকে 3 হাজার 500 টাকা দিতে হবে ওই রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে ৷ আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জরিমানা দিতে না পারলে 8 শতাংশ সুদে ওই টাকা আদায় করা হবে বলে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত ওই রেস্তোরাঁকে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ৷