মাইসোর (কর্ণাটক), 19 অক্টোবর: কান্না থামাতে না পেরে দেড় বছরের শিশুপুত্রকে লেকের জলে ছুড়ে ফেলল বাবা ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত গণেশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ মাইসোর এলাকার পিরিয়াপট্টনা তালুকের মাকোদু গ্রামের ঘটনা ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, 2014 সালে গণেশ দেবনাহল্লি তালুকের দোদসন্না গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মীর সঙ্গে গণেশের বিয়ে হয়েছিল । এই দম্পতির দু’টি কন্যা সন্তান আাছে ৷ নাম হরিকা এবং দীক্ষা । বছর দেড়েক আগে পরবর্তীতে লক্ষ্মী আরেকটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ৷ সন্তান জন্মের পরেই মত্যু হয় তাঁর ৷ তার পর থেকেই গণেশ দেবনাহল্লি থেকে পিরিয়াপট্টনায় তার নিজের গ্রাম মাকোদিতে বসবাস শুরু করেন ৷ দুই মেয়ে শাশুড়ির কাছে থাকত ৷ তবে দেড় বছরের ছেলেকে গণেশ তার সঙ্গে রাখতেন ৷ বহস্পতিবার ছেলেটি হঠাৎই কান্নাকাটি শুরু করে ৷ দীর্ঘ চেষ্টা পরই কান্না না-থামায় ছেলেকে লেকে ফেলে খুনের চেষ্টা করে ৷
আরও পড়ুন: হাতের শিরা কাটা অবস্থায় মা ও 2 শিশুর দেহ উদ্ধার, পণের দাবিতে ব্ল্যাক ম্যাজিক স্বামীর ?
গণেশের শাশুড়ি অঞ্জনাম্মা পিরিয়াপট্টনা পুলিশে গণেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন । সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গণেশকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে । পুলিশি জেরেয়া গণেশ শিশুকে লেকে ছঁড়ে ফেলার কথা স্বীকার করেছে ৷ গণশের দাবি, তার মা এবং শাশুড়ি ঠিকমতো শিশুদের যত্ন নিতে পারছিলেন না । এটা সবসময় কান্নাকাটি করত শিশুটি ৷ তাছাড়া তার দেড় বছরের শিশুর যত্ন নেওয়া কঠিন ছিল। তাই শিশুটিকে লেকে ফেলে দেয় ৷
জেলা পুলিশ সুপার সীমা লাটকার বলেন, '' শিশুটিকে হত্যার ঘটনাটি পিরিয়াপট্টনায় ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করে শিশুটির বাবাকে আটক করেছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ ওই ব্যক্তি মানসিক ভাবে সুস্থ কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সীমা লাটকার ৷