দিল্লি, 7 ফেব্রুয়ারি : শনিবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত কেন্দ্রকে কৃষি আইন বাতিলের জন্য নির্দিষ্ট সময় দেন ৷ এই হুঙ্কারের পর নতুন করে প্রাণ পাচ্ছে কৃষক আন্দোলন ৷ যে সব আন্দোলনকারী সাধারণতন্ত্রের দিবসের দিন ট্রাক্টর মিছিলের ঘটনার পর বিক্ষোভ থেকে পিছিয়ে গেছিলেন ধীর ধীরে তাঁরা অনেকেই ফিরে আসতে শুরু করেছেন ৷ উল্লেখ্য, সাধারণতন্ত্রের দিবসের ঘটনার পর বহু কৃষক আন্দোলন ছেড়ে যান ৷ এরপর তাঁরা ফিরে আসেন যখন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত সাংবাদিক সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার পরেই ৷ এবার চাক্কা জ্যাম ও কেন্দ্রকে রাকেশের আইন বাতিলের সময় বেঁধে দেওয়ার পর ফের নতুন করে প্রাণ পাচ্ছে আন্দোলন ৷
গতকাল চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি শেষে ভারতীয় কিষান ইউনিয়ান নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়ে দেন, চাপ সৃষ্টি করে তাঁদের সরকারের সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় বসানো যাবে না । তিনি আরও বলেন, আগামী গান্ধি জয়ন্তী অর্থাৎ 2 অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্রকে নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে, না হলে ভবিষ্যতে আন্দোলন নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথা ভাবা হবে । দাবি পূরণ না হলে কৃষকরা যে বাড়ি ফিরছেন না, দিল্লিতে একই ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তা এই দিন স্পষ্ট কথায় জানান কিষান ইউনিয়ান নেতা ।
কার্যত গোটা দেশে সাড়া পড়ে চাক্কা জ্যামের । দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় কুণ্ডলি থেকে পালওয়াল, পাঠানকোট-জম্মু সড়কে এই কর্মসূচি পালন করা হয় ৷ এছাড়াও পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় একাধিক রাস্তা চাক্কা জ্যামের জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় ৷ তবে অ্যাম্বুল্যান্স এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবায় কোনও সমস্যা হয়নি । শনিবারের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সামিল হয় পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের কৃষকরা ৷ একাধিক রাজ্যে যান চলাচলে প্রভাব পড়ে । পূর্ব কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে একাধিক ব্যবস্থা রাখা হয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে । নিরাপত্তা বাড়ানো হয় বিভিন্ন এলাকায়, ব্যবস্থা রাখা হয় জলকামানেরও । তবে কিছু স্থানে বিক্ষিপ্ত জমায়েত ছাড়া অশান্তি হয়নি ।
আরও পড়ুন : কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিদেশি টুইটে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ বিদেশমন্ত্রীর