বিজয়পুরা (কর্ণাটক), 20 অক্টোবর: অনিয়মিত বিদ্যুৎ পরিষেবে ও লোডশেডিং, এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বিদ্যুৎ সংস্থার দফতরে আস্ত কুমির নিয়ে হাজির হলেন কৃষকরা ! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি শুক্রবার ঘটেছে কর্ণাটকের বিজয়পুরার কোলহারা তালুকের রনিহাল গ্রামে ৷ এই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব হুবলি ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (HESCOM) উপর ৷ বিদ্যুতের দাবি জানিয়ে এদিন এখানেই এই অভিনব পন্থায় বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা ৷
কৃষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা তিন দফায় বিদ্যুৎ পান চাষের কাজের জন্য ৷ কিন্তু রাতে অনিয়মিত বিদ্যুৎ আসায় তাঁদের সমস্যা হচ্ছে ৷ চাষের জমিতে সেচের কাজ ঠিকমতো করা যাচ্ছে না, ফলে সমস্যা হচ্ছে ৷ অন্ধকারে জমিতে হিংস্র জীবজন্তুর আনাগোনাও বাড়ে ৷ চাষের জমিতে পর্যান্ত সেচ ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তা ঠিকমতো না হলে ফসলের ক্ষতি হয় ৷
এখানকার কৃষকদের অভিযোগ, সন্ধ্যায় চাষের জমিতে সেচের জন্য আলোর প্রয়োজন ৷ এখানকার চাষের জমিতে কুমির-সহ অন্যান্য হিংস্র জীবজন্তুর আনাগোনা আছে ৷ তাই রাতে এখানে আলোর প্রয়োজন ৷ তিন দফায় এখানে রাতে আলো দেওয়া হয় ৷ কিন্তু তা ক্রমে অনিয়মিত হয়ে পড়ছে ৷ ফলে সমস্যা বাড়ছে ৷ যদি রাতের অন্ধকারে কাজ করতে গিয়ে কোনও ক্ষতি হয়, তাহলে তার দায় কে নেবে এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন কৃষকরা ৷ তাই কুমির নিয়ে গিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে প্রতিবাদ দেখান হল, যাতে বিদ্যুৎ কর্তাদের টনক নড়ে ৷
আরও পড়ুন: স্বামীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রী'র বিরুদ্ধে
বৃহস্পতিবার অন্ধকারে চাষের জমিতে কাজ করতে গিয়ে এক কৃষক তাঁর জমিতে একটি কুমিরকে দেখতে পান ৷ এরপর এলাকার কৃষকরা মিলে ওই কুমিরটিকে ধরেন ৷ এরপরেই এদিন সকালে সেটিকে নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের সামনে চলে যান কৃষকরা ৷ এই ঘটনায় হকচকিয়ে যান বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা, ডাকা হয় বন দফতরের কর্মীদের ৷ এরপর বনকর্মীরা গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে, সেখান থেকে কুমিরটিকে নিয়ে যান ৷