বাগালাকোট (কর্ণাটক), 30 সেপ্টেম্বর: মন থেকে চাইলে সব সমস্যারই সমাধান সম্ভব ৷ সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন কর্ণাটকের বাগালাকোটের কৃষকরা ৷ দশকের পর দশক ধরে জামখান্দি তালুকের বাসিন্দাদের নদীপথে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল ৷ এবার তাই কৃষ্ণা নদীর উপর নিজেদের টাকায় একটা সেতুই তৈরি করে ফেলেছেন স্থানীয় কৃষকরা ৷
কৃষ্ণা নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পেলে আখচাষিদের যাতায়াতে অসুবিধে হয় ৷ বাধ্য হয়ে নদীপথে নৌকায় বাজারে যেতে হয় ৷ আখ বোঝাই ট্র্যাক্টর নৌকায় চাপিয়ে বাজারে নিয়ে যান কৃষকরা ৷ এতে যাতায়াতের জন্য 800 থেকে 1 হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত খরচ হয় ৷ পাশাপাশি নদীতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে ৷
তাই সমস্যা সমাধানে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে এই সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেন ৷ 200 জন গ্রামবাসী নিজেরাই সেতু নির্মাণে টাকা তোলার ব্যবস্থা করেন ৷ নদীর উপর দিয়ে একটি ব্যারেলের সেতু তৈরি করে ফেলেন ৷ সেতুটি 600 ফুট লম্বা এবং 8 ফুট চওড়া ৷ এখন এই ব্য়ারেলের তৈরি সেতু দিয়েই কৃষকরা যাতায়াত করছেন ৷ এটা তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় 7 লক্ষ 25 হাজার টাকা ৷
এই প্রসঙ্গে কঙ্কনওয়াড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য রাজু নাদাফ ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে বলেন, "ব্যারেলের তৈরি সেতু খুবই সুবিধেজনক ৷ কৃষ্ণা নদীতে জল বাড়ছিল ৷ তাই কৃষকরা নিজেরাই টাকা তুলে 700 মিটার লম্বা সেতু তৈরি করেন ৷ সেতুটি দিয়ে বাইক, সাইকেল, গবাদি পশু নিয়ে যাওয়া যাবে ৷ এর জন্য সরকারের থেকে কোনও সাহায্য় মেলেনি ৷"
তিনি আরও জানালেন, 500 একর জমি নিয়ে এই গ্রামটি একটা দ্বীপের মতো ৷ চারদিকে কৃষ্ণা নদীর জল ৷ নদীপথে যাতায়াতই রাস্তা ৷ গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য আরও বলেন, "কোথাও যেতে হলে নৌকা করেই যেতে হয় ৷ অন্ধকার নামলে রাতে আর কোথাও যাওয়া যায় না ৷ এবার যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধে হল ৷" একশোটিরও বেশি ব্যারেল লেগেছে এই অভিনব সেতু তৈরিতে ৷ এই সেতুটি ভাসমান অবস্থায় থাকে ৷ তাই হাঁটাচলা করা থেকে হালকা কোনও যানবাহন সহজেই এর উপর দিয়ে যেতে পারে ৷
আরও পড়ুন: কুনুর সেতুতে ফের ফাটল, সংস্কারের জন্য রাস্তা বন্ধে বিপাকে বহু মানুষ