নয়াদিল্লি, 1 এপ্রিল: আদানি ইস্যুতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে ক্রমশ একছাতার তলায় আসতে দেখা যাচ্ছিল ৷ রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর সেই বিরোধী ঐক্য আরও মজবুত হয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতেই 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে তৎপর হল কংগ্রেস ৷
দলের সর্বভারতীয় সভাপতি খুব শীঘ্রই এই নিয়ে একটি বৈঠক ডাকতে চলেছেন ৷ সেখানে কংগ্রেসের সম-মনস্ক সব রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে ৷ এই নিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলির শীর্ষনেতাদের নিয়ে বৈঠক ডাকার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে ৷ সেই নিয়ে কাজ চলছে ৷
কংগ্রেসের অন্দরমহলের খবর, গত 27 মার্চ বিরোধী সম-মনস্ক দলগুলিকে নিয়ে যে নৈশভোজের আয়োজন খাড়গে করেছিলেন, সেখানেই এই বৈঠকের বিষয়টি উঠেছিল ৷ তার পরই এই নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে ৷ বিশেষ করে আদানি ইস্যুতে তৃণমূলের মতো কয়েকটি দলও কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিবাদ চালাচ্ছিল ৷ কিন্তু গত 24 মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হতেই কংগ্রেসের সঙ্গেই দেখা যাচ্ছে বাংলার শাসক দলকে ৷ ফলে এই বিরোধী রাজৈনতিক ঐক্য সাম্প্রতিক অতীতের প্রেক্ষিতে একেবারেই বিরল ৷
এআইসিসির যে নেতারা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের দাবি যে ওই নৈশভোজের আসরে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে ৷ তবে তা তাঁরা এখনই প্রকাশ করতে নারাজ ৷ তবে তাঁরা জানিয়েছেন যে সেদিন রাহুল গান্ধি বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সামনে জানান যে এই লড়াই শুধু তাঁর নয়, এই লড়াই গণতন্ত্র বাঁচানোর ৷ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, 19টি বিজেপি বিরোধী দল তাঁদের সঙ্গে রয়েছে ৷ শিবসেনাও তাঁদের সঙ্গেই আছে বলে তাঁর দাবি ৷
তবে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির ওই নৈশভোজে ছিল না ৷ কারণ, তার আগেই রাহুল গান্ধির সাভারকরকে নিয়ে করা মন্তব্য়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল ৷ সেই নিয়ে শিবসেনার উদ্ধব অনুগামী নেতারা উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন ৷ যদিও পরের দিন রাহুল ও সোনিয়ার সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয় ৷ তার পর সব ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে বলে খবর ৷
বেণুগোপাল বলেন, ‘‘রাজ্যগুলিতে কয়েকটি রাজনৈতিক দল একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে । রাজ্যগুলির মধ্যে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, তারা সকলেই গণতন্ত্র ও দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে বাঁচাতে একত্রিত হচ্ছে । স্পষ্টতই, এটি আমাদের সকলের জন্য এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি মহান অনুপ্রেরণা । নিশ্চয়ই এসব কারণে নির্বাচনী সম্ভাবনাও থাকবে ৷’’
তাছাড়া কংগ্রেস দেখাতে চাইছে যে আদানি ইস্যুতে সরব হওয়ায় রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে ৷ এটা দলের নেতা জয়রাম রমেশের বক্তব্যে স্পষ্ট ৷ আগামী সোমবারও আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে বিরোধীরা সরব হবে বলে তিনি জানিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: এক ব্যক্তি এক পদে মান্যতা, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়লেন খাড়গে