ETV Bharat / bharat

Rahul Gandhi: খারিজ হওয়া সাংসদ পদ ফিরে পেতে কী কী বিকল্প রয়েছে রাহুলের হাতে ?

দু’বছরের সাজা হওয়ায় রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে শুক্রবার (Rahul Gandhi Disqualified from Parliament) ৷ এর ফলে কী কী পরিবর্তন আসতে চলেছে রাহুলের জন্য ? সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার জন্য তাঁর কাছে বিকল্প কী উপায় রয়েছে ?

Rahul Gandhi
Rahul Gandhi
author img

By

Published : Mar 24, 2023, 6:20 PM IST

নয়াদিল্লি, 24 মার্চ: মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ফৌজদারি মানহানির মামলায় (Criminal Defamation Case) শাস্তি হয়েছে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধির ৷ দু’বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় 1951 সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী শুক্রবার লোকসভার সচিবলায় থেকে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের ঘোষণা করা হয়েছে ৷ যা নিয়ে এদিন দুপুর থেকেই জাতীয় রাজনীতি সরগরম ৷

যদিও আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে দু’বছরের কারাদণ্ড (Rahul Gandhi Sentence) হওয়ায় রাহুলের সাংসদ পদ স্বাভাবিকভাবেই খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত ৷ এর জন্য আলাদা কোনও ঘোষণার প্রয়োজন পড়ে না ৷ তবে বিশেষজ্ঞদের অন্য একটি অংশের মতে এখনও সাংসদ পদ বজায় রাখার বৈধ উপায় খুঁজে বের করার সুযোগ রয়েছে রাহুলের কাছে ৷

ভারতে বিজেপির (BJP) প্রধান বিরোধী দলের নেতার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার কারণ এবং তা ফিরে পাওয়া নিয়ে সম্ভাব্য কী কী উপায় রয়েছে, এখানে তারই ব্যাখ্যা দেওয়া হল ৷

কেন রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হল ?

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে বৃহস্পতিবার ভারতের সংবিধানের 102(1)(ই) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি মানহানির মামলার অধীনে দোষী ঘোষণা করা হয়েছে ৷ যা 1951 সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন 8 নম্বর ধারার সঙ্গে সংযুক্ত । 2019 সালে কর্ণাটকে একটি নির্বাচনী সমাবেশের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির পদবি নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন তার জন্য এই শাস্তি পেয়েছেন রাহুল ৷ সুরাতের জেলা আদালত তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ৷ মানহানির মামলায় এটাই সর্বোচ্চ সাজা ।

যদিও রাহুলকে জামিন দেওয়া হয়েছে ৷ আর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য 30 দিনের সময় দেওয়া হয়েছে ৷ এই নির্দেশের ফলেই স্বাভাবিক ভাবেই রাহুলের সাংসদপদ বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা ৷ 1951 সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইনের 8(3) ধারা অনুযায়ী দুই বা তার বেশি বছরের কারাদণ্ড হলে কোনও জন প্রতিনিধির পদ নিজে থেকেই বাতিল হয়ে যাবে ৷ ফলে, শুক্রবার লোকসভা সচিবালয় সংসদ সদস্য হিসাবে তাঁর পদ খারিজ করার নোটিশ দিয়েছে ৷

সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর কী পরিবর্তন হবে ?

সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় রাহুল আর সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না ৷ তাছাড়া কেরালার ওয়েনাড় আসন, যে আসন থেকে তিনি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেই আসনটিও খালি হয়ে গেল ৷ এখন নির্বাচন কমিশন (ECI) ওই আসনের জন্য বিশেষ নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারে । তাছাড়া রাহুলকে নয়াদিল্লিতে তাঁর সরকারি বাংলোও খালি করতে বলা হতে পারে ।

এর পর রাহুল কী করবেন ?

রাহুল গান্ধি উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন ৷ সেখানে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আদেশের উপর স্থগিতাদেশ চাইতে পারেন ৷ তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে ৷ আর এই আবেদন করার জন্য তাঁকে 30 দিন সময় দেওয়া হয়েছে । তিনি রাষ্ট্রপতির কাছেও আবেদনও করতে পারেন ৷ কংগ্রেসের দাবি নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ নিয়ে একমাত্র রাষ্ট্রপতি কোনও সাংসদের পদ খারিজ করতে পারেন ৷ সংবিধানের 103 অনুচ্ছেদের অধীনে, রাষ্ট্রপতি কোনও সাংসদের পদ খারিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ৷ সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে রাহুলের কাছে ৷

আরও পড়ুন: সাজা পাওয়ার পরদিনই সাংসদ পদ খারিজ রাহুল গান্ধির

নয়াদিল্লি, 24 মার্চ: মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ফৌজদারি মানহানির মামলায় (Criminal Defamation Case) শাস্তি হয়েছে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধির ৷ দু’বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় 1951 সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী শুক্রবার লোকসভার সচিবলায় থেকে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের ঘোষণা করা হয়েছে ৷ যা নিয়ে এদিন দুপুর থেকেই জাতীয় রাজনীতি সরগরম ৷

যদিও আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে দু’বছরের কারাদণ্ড (Rahul Gandhi Sentence) হওয়ায় রাহুলের সাংসদ পদ স্বাভাবিকভাবেই খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত ৷ এর জন্য আলাদা কোনও ঘোষণার প্রয়োজন পড়ে না ৷ তবে বিশেষজ্ঞদের অন্য একটি অংশের মতে এখনও সাংসদ পদ বজায় রাখার বৈধ উপায় খুঁজে বের করার সুযোগ রয়েছে রাহুলের কাছে ৷

ভারতে বিজেপির (BJP) প্রধান বিরোধী দলের নেতার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার কারণ এবং তা ফিরে পাওয়া নিয়ে সম্ভাব্য কী কী উপায় রয়েছে, এখানে তারই ব্যাখ্যা দেওয়া হল ৷

কেন রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হল ?

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে বৃহস্পতিবার ভারতের সংবিধানের 102(1)(ই) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি মানহানির মামলার অধীনে দোষী ঘোষণা করা হয়েছে ৷ যা 1951 সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন 8 নম্বর ধারার সঙ্গে সংযুক্ত । 2019 সালে কর্ণাটকে একটি নির্বাচনী সমাবেশের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির পদবি নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন তার জন্য এই শাস্তি পেয়েছেন রাহুল ৷ সুরাতের জেলা আদালত তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ৷ মানহানির মামলায় এটাই সর্বোচ্চ সাজা ।

যদিও রাহুলকে জামিন দেওয়া হয়েছে ৷ আর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য 30 দিনের সময় দেওয়া হয়েছে ৷ এই নির্দেশের ফলেই স্বাভাবিক ভাবেই রাহুলের সাংসদপদ বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা ৷ 1951 সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইনের 8(3) ধারা অনুযায়ী দুই বা তার বেশি বছরের কারাদণ্ড হলে কোনও জন প্রতিনিধির পদ নিজে থেকেই বাতিল হয়ে যাবে ৷ ফলে, শুক্রবার লোকসভা সচিবালয় সংসদ সদস্য হিসাবে তাঁর পদ খারিজ করার নোটিশ দিয়েছে ৷

সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর কী পরিবর্তন হবে ?

সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় রাহুল আর সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না ৷ তাছাড়া কেরালার ওয়েনাড় আসন, যে আসন থেকে তিনি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেই আসনটিও খালি হয়ে গেল ৷ এখন নির্বাচন কমিশন (ECI) ওই আসনের জন্য বিশেষ নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারে । তাছাড়া রাহুলকে নয়াদিল্লিতে তাঁর সরকারি বাংলোও খালি করতে বলা হতে পারে ।

এর পর রাহুল কী করবেন ?

রাহুল গান্ধি উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন ৷ সেখানে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আদেশের উপর স্থগিতাদেশ চাইতে পারেন ৷ তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে ৷ আর এই আবেদন করার জন্য তাঁকে 30 দিন সময় দেওয়া হয়েছে । তিনি রাষ্ট্রপতির কাছেও আবেদনও করতে পারেন ৷ কংগ্রেসের দাবি নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ নিয়ে একমাত্র রাষ্ট্রপতি কোনও সাংসদের পদ খারিজ করতে পারেন ৷ সংবিধানের 103 অনুচ্ছেদের অধীনে, রাষ্ট্রপতি কোনও সাংসদের পদ খারিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ৷ সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে রাহুলের কাছে ৷

আরও পড়ুন: সাজা পাওয়ার পরদিনই সাংসদ পদ খারিজ রাহুল গান্ধির

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.