ETV Bharat / bharat

Manipur Violence: চলছে বেআইনি অস্ত্রের রমরমা কারবার, মণিপুর কি নতুন কাম্বোডিয়া ?

মণিপুরে দেদার বিকোচ্ছে নানা ধরনের অস্ত্র থেকে শুরু করে গুলি ৷ রমরমিয়ে বেআইনি কারবার চলছে রাজ্যজুড়ে ৷ কয়েক মাস ধরে অশান্ত মণিপুরের কপালে কী অপেক্ষা করছে? পড়ুন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি গৌতম দেবরায়ের বিশেষ রিপোর্ট ৷

ETV Bharat
মণিপুরে বেআইনি অস্ত্র ব্যবসার রমরমা
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 21, 2023, 9:38 AM IST

নয়াদিল্লি ও ইম্ফল, 21 সেপ্টেম্বর: হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুর ৷ উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে হাতের কাছেই মিলছে বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র ৷ শুধু টাকা দিলেই হল ৷ দিন বা রাত-যে কোনও সময় চাহিদা মতো অস্ত্র পেতে পারেন যে কেউ ৷ মণিপুরের এই ভয়াবহ ৃ পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে ৷ তাতে দাবি করা হয়েছে, মণিপুরের পরিস্থিতি যেন কাম্বোডিয়ার মতো হয়ে উঠছে ৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার স্বর্গরাজ্য বলেই পরিচিত ৷ মে মাসের পর থেকে মণিপুরের হাল কার্যত তেমনটাই ৷

এই প্রসঙ্গে নিরাপত্তা সংস্থার এক উচ্চাধিকারিক জানান, মণিপুরে বেআইনি অস্ত্রের কারবারির নেপথ্যে রয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ অবৈধভাবে এই ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে উত্তর-পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ন্যাশনাল সোশালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগালিম-আইস্যাক-মুইভাহ বা এনএসসিএন-আইএমের বিরুদ্ধে ৷ এই সংগঠনের এক ক্যাডার বেআইনিভাবে বন্দুক বিক্রি করছে ৷

তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তার নাম শিনিংগসন চিলহাং ৷ এর সঙ্গে জড়িয়ে সামরিক বাহিনীর অস্ত্রের ভাণ্ডার লুঠ ৷ 3 মে থেকে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর ৷ সেদিনই পুলিশ স্টেশন থেকে 4 হাজারেরও বেশি অস্ত্র এবং 6 লক্ষ রাউন্ড গুলি খোয়া যায় ৷ পরে জানা যায়, অস্ত্রাগার লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা ৷

চলতি মাসের প্রথম দিকে অসম রাইফেলস, সেনাবাহিনী এবং মণিপুর পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এম চিলহাং গ্রেফতার হয়েছে ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক আধিকারিক ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে জানান, চিলহাংয়ের কাছ থেকে একটি 9এমএম কার্বাইন, পাঁচ রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছে ৷ জেরায় চিলহাং স্বীকার করেছে, সে ওই কার্বাইন, অস্ত্র পেয়েছে উপত্যকারই এক ব্যক্তির থেকে ৷ এর জন্য তাকে 3 লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে ৷

আধিকারিক আরও জানান, ওই অস্ত্রগুলি মণিপুর পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে লুঠ করা হয়েছিল ৷ অতীতেও চিলহাং বন্দুক নিয়ে হামলা চালিয়েছে ৷ তাই মণিপুর পুলিশ তার গতিবিধির উপর নজর রাখছিল ৷ পুলিশ এবং কেন্দ্রীয়বাহিনী গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল, লুঠ করা অস্ত্রশস্ত্রগুলি বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের কাছে বিক্রি করা হয়েছে ৷ এছাড়া প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও পাচার হয়েছে ৷

ওই 4 হাজারেরও বেশি সংখ্যক লুঠ হওয়া অস্ত্রের মধ্যে 5 অগস্ট পর্যন্ত সময়ে নিরাপত্তারক্ষীরা মাত্র 1 হাজার 195টি অস্ত্র এবং 14 হাজার 322 গুলি উদ্ধার করতে পেরেছেন ৷ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন রঞ্জন মুখোপাধ্যায় ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে জানান, অশান্ত মণিপুর এখন বেআইনি অস্ত্র ব্যবসার স্বর্গরাজ্য ৷ এ যেন এক নতুন কাম্বোডিয়া ৷ অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট জেনারেল উত্তরপূর্বের কম্যান্ডার ছিলেন ৷ তিনি এখন কলকাতার একটি নিরাপত্তা সংস্থায় উচ্চপদে কর্মরত ৷

আরও পড়ুন: সরকারি হিসেবে 4 মাসে মণিপুরে 175 জনের মৃত্যু, আহত হাজার পার; নিখোঁজ 32

নয়াদিল্লি ও ইম্ফল, 21 সেপ্টেম্বর: হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুর ৷ উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে হাতের কাছেই মিলছে বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র ৷ শুধু টাকা দিলেই হল ৷ দিন বা রাত-যে কোনও সময় চাহিদা মতো অস্ত্র পেতে পারেন যে কেউ ৷ মণিপুরের এই ভয়াবহ ৃ পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে ৷ তাতে দাবি করা হয়েছে, মণিপুরের পরিস্থিতি যেন কাম্বোডিয়ার মতো হয়ে উঠছে ৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার স্বর্গরাজ্য বলেই পরিচিত ৷ মে মাসের পর থেকে মণিপুরের হাল কার্যত তেমনটাই ৷

এই প্রসঙ্গে নিরাপত্তা সংস্থার এক উচ্চাধিকারিক জানান, মণিপুরে বেআইনি অস্ত্রের কারবারির নেপথ্যে রয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ অবৈধভাবে এই ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে উত্তর-পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ন্যাশনাল সোশালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগালিম-আইস্যাক-মুইভাহ বা এনএসসিএন-আইএমের বিরুদ্ধে ৷ এই সংগঠনের এক ক্যাডার বেআইনিভাবে বন্দুক বিক্রি করছে ৷

তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তার নাম শিনিংগসন চিলহাং ৷ এর সঙ্গে জড়িয়ে সামরিক বাহিনীর অস্ত্রের ভাণ্ডার লুঠ ৷ 3 মে থেকে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর ৷ সেদিনই পুলিশ স্টেশন থেকে 4 হাজারেরও বেশি অস্ত্র এবং 6 লক্ষ রাউন্ড গুলি খোয়া যায় ৷ পরে জানা যায়, অস্ত্রাগার লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা ৷

চলতি মাসের প্রথম দিকে অসম রাইফেলস, সেনাবাহিনী এবং মণিপুর পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এম চিলহাং গ্রেফতার হয়েছে ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক আধিকারিক ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে জানান, চিলহাংয়ের কাছ থেকে একটি 9এমএম কার্বাইন, পাঁচ রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছে ৷ জেরায় চিলহাং স্বীকার করেছে, সে ওই কার্বাইন, অস্ত্র পেয়েছে উপত্যকারই এক ব্যক্তির থেকে ৷ এর জন্য তাকে 3 লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে ৷

আধিকারিক আরও জানান, ওই অস্ত্রগুলি মণিপুর পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে লুঠ করা হয়েছিল ৷ অতীতেও চিলহাং বন্দুক নিয়ে হামলা চালিয়েছে ৷ তাই মণিপুর পুলিশ তার গতিবিধির উপর নজর রাখছিল ৷ পুলিশ এবং কেন্দ্রীয়বাহিনী গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল, লুঠ করা অস্ত্রশস্ত্রগুলি বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের কাছে বিক্রি করা হয়েছে ৷ এছাড়া প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও পাচার হয়েছে ৷

ওই 4 হাজারেরও বেশি সংখ্যক লুঠ হওয়া অস্ত্রের মধ্যে 5 অগস্ট পর্যন্ত সময়ে নিরাপত্তারক্ষীরা মাত্র 1 হাজার 195টি অস্ত্র এবং 14 হাজার 322 গুলি উদ্ধার করতে পেরেছেন ৷ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন রঞ্জন মুখোপাধ্যায় ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে জানান, অশান্ত মণিপুর এখন বেআইনি অস্ত্র ব্যবসার স্বর্গরাজ্য ৷ এ যেন এক নতুন কাম্বোডিয়া ৷ অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট জেনারেল উত্তরপূর্বের কম্যান্ডার ছিলেন ৷ তিনি এখন কলকাতার একটি নিরাপত্তা সংস্থায় উচ্চপদে কর্মরত ৷

আরও পড়ুন: সরকারি হিসেবে 4 মাসে মণিপুরে 175 জনের মৃত্যু, আহত হাজার পার; নিখোঁজ 32

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.