মুম্বই, 14 অক্টোবর: সম্প্রতি ভারতে 5জি পরিষেবার সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ৷ ভারতের বাছাই করা কয়েকটি শহরে এই দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করা হচ্ছে ৷ ধাপে ধাপে সেই সব শহরগুলিতে 5জি পরিষেবা (5G Service) শুরু করছে সংশ্লীষ্ট টেলিকম সংস্থা ৷ 5জি পরিষেবা পেতে ইচ্ছুক সব গ্রাহকই ৷ কিন্তু, 5জি পরিষেবার জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে নারাজ অধিকাংশ গ্রাহক ৷ সংখ্যাটা প্রায় 43 শতাংশ (Every Indian Not Willing to Pay Extra for 5G) ৷ এই বিপুল সংখ্যক গ্রাহক 4জি পরিষেবার দামেই 5জি পেতে ইচ্ছুক ৷
আবার অনেক গ্রাহক যাঁরা ইতিমধ্যে, 4জি থেকে 5জি কানেকশন নিয়েছেন, তাঁদের তরফেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে ৷ 5জি পরিষেবায় কল ড্রপের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে ৷ পাশাপাশি, ইন্টারনেট পরিষেবার মাঝে মধ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ এমনকি নেটওয়ার্ক না পাওয়া এবং ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ডাউন হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ এই সব সমস্যার মধ্যে আবার, অন্য 43 শতাংশ গ্রাহক 5জি পরিষেবার জন্য 4জি’র তুলনায় অতিরিক্ত 10 শতাংশ পর্যন্ত খরচ করতে রাজি আছেন ৷ এমনটাই একটি গেবষণা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
আর মাত্র 2 শতাংশ মানুষ যাঁরা, ট্যারিফ প্ল্যানে 20-25 শতাংশ বেশি খরচ করতে রাজি 5জি পরিষেবার পাওয়ার জন্য ৷ ভারতে 4জি পরিষেবার জন্য ভারতের একটি এলাকায় 40-50 এমবিপিএস বা মেগা বাইট পার সেকেন্ড ব্যান্ডইউথের স্পিড থাকে ৷ সেখানে 5জি পরিষেবা দিতে ব্যান্ডউইথ স্পিড অন্তত পক্ষে 300 এমবিপিএস হওয়া প্রয়োজন ৷
আরও পড়ুন: আজ কলকাতা-সহ এই শহরগুলিতে যাত্রা শুরু 5জি-র, কারা পাবেন ?
আর রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেল আমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, বারাণসী, কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চণ্ডীগড়, জামনগর, গান্ধিনগর, পুনে, শিলিগুড়ি এবং হায়দরাবাদে 5জি পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছে ৷ হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, 2022 সালের মধ্যে মাত্র 5 শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী গ্রাহক 5জি পরিষেবা গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে ৷ ভারতের বাকি বিপুল পরিমাণ গ্রাহকরা এখনই নতুন এই 5জি পরিষেবা নিতে রাজি নন ৷ এর অন্যতম কারণ, পরিষেবা সংক্রান্ত অনিশ্চিয়তা এবং অবশ্যই আর্থিক বিষয়টিও অন্যতম বড় কারণ ৷