সুকমা (ছত্তিশগড়), 23 ডিসেম্বর: ছত্তিশগড়ের বস্তার বিভাগের নকশাল প্রভাবিত সুকমার গোগুংদা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষ ৷ যে ঘটনায় বাহিনীর গুলিতে তিন মাওবাদী আহত হয়েছেন তিন মাওবাদী ৷ ওই এলাকায় সিআরপিএফের বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ৷
সুকমায় নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের গুলিযুদ্ধ: সুকমার এসপি কিরণ চৌহ্বানের বক্তব্য অনুযায়ী, সুকমা ডিআরজি, দান্তেওয়াড়া ডিআরজি, সিআরপিএফের ব্যাটালিয়ন 2 ও সিআরপিএফ 111 ব্যাটালিয়নের একটি যৌথ দল গোগুংদা এলাকায় তল্লাশি অভিযানে বেরিয়েছিল ৷ সেই অভিযানের সময় জঙ্গলের মধ্যে বাহিনীকে লক্ষ্য করে মাওবাদীরা গুলি চালাতে শুরু করে ৷ দ্রুত বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের আড়ল করেন এবং মাওবাদীদের গুলির পালটা জবাব দেওয়া শুরু করে ৷ জঙ্গলের মধ্যে আধাসেনার জওয়ান ও নকশালদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয় ৷ এই গুলিযুদ্ধে তিন মাওবাদী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুকমার এসপি ৷
তবে, জওয়ানদের পালটা জবাবে মাওবাদীরা ক্রমশ পিছু হটতে শুরু করে ৷ একসময় ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা ৷ তবে, মাওবাদীরা জঙ্গলের মধ্যে বেশি দূর পালিয়ে যেতে পারবে না বলেই মনে করছে বাহিনী ৷ বিশেষত, আহত তিন মাওবাদীকে নিয়ে পালানো সহজ হবে না বলে জানিয়েছে সুকমার এসপি কিরণ চৌহ্বান ৷ তাই মাওবাদীদের জঙ্গলের মধ্যে চারদিক থেকে ঘিরে হামলার পরিকল্পনা করেছে আধাসেনা ৷ সেই মতো তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বাহিনী ৷
উল্লেখ্য, 16-22 ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিরোধ সপ্তাহ ঘোষণা করেছিল মাওবাদীরা ৷ যার জেরে এই 7 দিন ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড় এলাকায় মাওবাদী উপদ্রব যথেষ্ঠ বেশি ছিল ৷ যা এখনও জারি রয়েছে ৷ এমনকি বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ডে হাওড়া-মুম্বই রুটে রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল মাওবাদীরা ৷ এর জেরে দীর্ঘ কয়েকঘণ্টা রেল পরিষেবা বন্ধ ছিল ওই রুটে ৷ বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল ৷ এই পরিস্থিতিতে যাত্রী হয়রানির পাশাপাশি, ট্রেনে সওয়ার যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল ৷ এমনকি ট্রেনের ইঞ্জিনে মাওবাদী পোস্টার লাগানো, জনবসতি এলাকা মাওবাদী পোস্টারে ঢেকে ফেলার মতো ঘটনাও সামনে আসে ৷
আরও পড়ুন: