বগহা (পশ্চিম চম্পারণ, বিহার), 6 অক্টোবর : ঘুমন্ত বালিকাকে তুলে নিয়ে গেল বাঘ ৷ বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বিহারে ৷ সেখানকার পশ্চিম চম্পারণ জেলার সিংহি গ্রামে 12 বছরের ওই বালিকার বাড়ি ৷ সেখানেই ঘটনাটি ঘটেছে ৷
পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে যে মেয়েটির নাম বাগদি ৷ তার বাবার নাম রমাকান্ত মাঞ্ঝি ৷ তিনি জানিয়েছেন, বুধবার রাত 12টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ৷ বাঘে তাঁর মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের অন্য সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পারে ৷ তাঁরা হইচই করলে বাড়ির অদূরে বাগদির দেহ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় বাঘটি (Tiger Kills Girl) ৷
বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলাতেই রয়েছে বাল্মিকী টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট (Valmiki Reserve Forest) ৷ বাঘটি সেখান থেকেই এসেছিল বলে অনুমান করছে প্রশাসন ৷ তবে এই প্রথম নয়, গত এক মাসে এই নিয়ে তিনটি এই ধরনের ঘটনা ঘটল ৷ ফলে বিষয়টি প্রশাসনের কাছে ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে ৷
এই নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷ স্থানীয়দের দাবি, বাল্মিকী টাইগার রিজার্ভের মধ্যে যে গ্রামগুলি রয়েছে, সেই গ্রামের অন্তত সাতজন গত পাঁচ মাসে বাঘের হানার মুখে পড়েছেন ৷ এর আগে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ বাগদির ঘটনায় সব মিলিয়ে ছ’জনের মৃত্যু হল ৷
বন দফতরের দাবি, তারা মানুষখেকো ওই বাঘটিকে (Man Eater Tiger) ধরার চেষ্টা করছে গত কয়েকমাস ধরেই ৷ কিন্তু এখনও সেটিকে চিহ্নিত করা যায়নি ৷ কারণ বাঘটি ক্রমাগত জায়গা বদল করছে ৷ বাঘটির সন্ধানে জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছেন অন্তত 150 জন বনকর্মী ৷ গুলি চালাতে দক্ষ কর্মীদের পটনা ও হায়দরাবাদ থেকে নিয়ে এসেছে বন বিভাগ (Forest Department) ৷ ফাঁদও পাতা হয়েছে একাধিক জায়গায় ৷ তার পরও কাজ হয়নি ৷
ফলে নতুন করে আবার অন্য কোনও গ্রামে এই বাঘ হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ তাই প্রশাসনের তরফে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে ৷ এখন দেখার কবে ধরা পড়ে এই মানুষ খেকো বাঘ !
আরও পড়ুন : লোকালয়ে বাঘ আটকাতে সুন্দরবনকে লোহার জালে ঘেরার দাওয়াই বনমন্ত্রীর