ETV Bharat / bharat

চার দশকের প্রথা ভাঙল কেরল - west bengal

40 বছরের ইতিহাসে কেরালা কেন এবার রীতি ভেঙে প্রতিষ্ঠানমুখী হল? তাহলে কি গোটা 'দক্ষিণপন্থী' শিবিরকেই বর্জন করতে চেয়েছেন রাজ্যের সচেতন ও সুশিক্ষিত ভোটার-কূল? নাকি এর পিছনে অন্য কিছু? উত্তর খুঁজলেন অভিজিৎ সিরাজ ৷

কেরলে জয়ী পিনারাই বিজয়ন ৷
কেরলে জয়ী পিনারাই বিজয়ন ৷
author img

By

Published : May 2, 2021, 10:37 PM IST

Updated : May 4, 2021, 4:46 PM IST

"যতই গাঁয়ে গঞ্জে ঘোরো না কেন, আদর্শ গ্রাম দেখতে হলে কেরালা যেতে হবে । গ্রাম সম্পর্কে ধারণাটাই পাল্টে যাবে তোমার ।"...

সাতের দশকে একবার আমাকে বলেছিলেন সত্তরের নামী সাংবাদিক ও সংগঠন-কর্মী নিরঞ্জন হালদার ।

নিরঞ্জনবাবু তখন আনন্দবাজার থেকে অবসর নিয়ে ঘরে বসেই লেখালেখি করছেন । যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন সমাজসেবামূলক সংঠনের সঙ্গে । বিশেষত, তখন নর্মদা প্রকল্প নিয়ে মেধা পাটকরের পরিবেশ ও আদিবাসী পুনর্বাসন আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বাইরেও । নিরঞ্জন হালদারের যোগাযোগ ছিল মেধার সঙ্গেও । প্রায়শই তিনি ছুটে যেতেন গুজরাতে । যোগ ছিল তাঁর মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গেও ।

এই অধম সেই মুহূর্তে 'যুগান্তর' দৈনিকের সদ্য কর্মহারা সাংবাদিক । 1991 সালে সেই প্রাচীন ও সুখ্যাত দৈনিকটি শ্রমিক আন্দোলন ও আর্থিক অনটনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । ফলে আমার মতো প্রায় শ'তিনেক সাংবাদিক ও অ-সাংবাদিক কর্মী বিপাকে পড়েন । স্বভাবতই আমার মতো এক বেকার তরুণকে অর্থকরী কিছু পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন বর্ষীয়ান নিরঞ্জন । তাঁর পরামর্শ ছিল, কেরলের গ্রাম ঘুরে এসে কিছু সচিত্র প্রতিবেদন তৈরি করতে পারলে তা থেকে রোজগারের ব্যবস্থা হতে পারে । মুম্বইয়ে তাঁর পরিচিত একটি ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক সেরকমই বরাত দিতে চেয়েছিলেন কোনও নিরপেক্ষ নবীনতর লেখককে । তো সে-কাজে আমি যাতে বহাল হতে পারি, তাই এহেন নির্দেশ ।

কিন্তু কেরল কেন? - আমার এমন প্রশ্নের জবাবে গান্ধিবাদী নিরঞ্জন হালদার বলেছিলেন, "এদেশে যথার্থ সংসদীয় গণতন্ত্রের চেহারাটা ওখানেই পাবে । নাগরিক সুশিক্ষিত না হলে তার ভোটদানের অধিকার অপাত্রে প্রযুক্ত হয় । তাকে পরিচালিত করে স্বার্থান্বেষী রাজনীতি । সোজা কথায়, সে বনে যায় তাদের হাতের পুতুল । কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রম কেরলের ভোটাররা । তাই তাঁরা সদাই প্রতিষ্ঠান-বিরোধী । দীর্ঘদিনের ক্ষমতায় থাকার যে ঘুণ, তা সাফসুতরো করার দায়িত্ব বোধ থেকেই তাঁদের এই চেতনা । এ কারণেই প্রত্যেক ভোটেই বদলে যায় সরকার । সুস্থ গণতন্ত্রের নমুনা এটাই । এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলিকে দায়বদ্ধ থাকতে হয় তাদের ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি ।"...

আমার অবশ্য কেরল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আজও হয়নি । তবু গত সাতাশ বছরে কর্মসূত্রে কেরল সংক্রান্ত খবরাখবরে হামেশাই নজর রাখতে হয়েছে । সারা দেশে শতকরা একশো ভাগ সাক্ষরতা সৃষ্টির সাফল্যে প্রথম নজির গড়েছে একমাত্র কেরল নামক রাজ্যটিই । সেখানে কৃষি ও শিল্পের বিকাশ আশ্চর্য রকমের সুসমাহারে বিন্যস্ত । গ্রামীণ পরিবেশ ও পরিজনকে অক্ষুণ্ণ রেখেই রাজ্যজুড়ে উন্নয়ন পর্ব সমাধা করা হয়েছে । দীর্ঘদিনের বাম-শাসন পর্বেও সেখানে জমি অধিগ্রহণে নন্দীগ্রামের মতো কোনও বীভৎস কাণ্ডের গোলযোগ দেখা যায়নি । পাশাপাশি বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে রাজ্যের উন্নত পর্যটন শিল্পও ।

আরও পড়ুন : কাজে এল না সিদ্দিকি টনিক, এই প্রথম বিধানসভা বাম-কংগ্রেসহীন

'ভগবানের আপন রাজ্য' কেরল নিয়ে এমনতরো ভাবনা ও স্মৃতিকথনের সূত্রপাত ঘটাতে হল আজকে বিধানসভা ভোটের ফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে । তবে এবারের ভোটে অতীতের যাবতীয় পরম্পরাকে ছিন্ন করে কোনও সরকার বদলের নজির সৃষ্টি হল না । এটাই এবারের আশ্চর্য ও ব্যতিকর্মী ঘটনা । গত চার দশক ধরে কেরলে বাম নেতৃত্বাধীন জোট 'এল ডি এফ' এবং কংগ্রেসের 'ইউ ডি এফ' যুগপৎ পালা করে সরকার গঠন করে আসছে । কিন্তু এই প্রথমবার বাম জোট-ই ফের ক্ষমতায় আসীন হল । 140 আসনের বিধানসভায় তারা এবারেও নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়ে লাভ করতে চলেছে 100টি আসন । বিরোধী কং জোট পেতে পারে 40টি আসন । মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন নিজে 50 হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে ধরাশায়ী করেছেন প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের রঘুনাথনকে । তৃতীয় পক্ষ বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট 'এন ডিএ'-র ঝুলি শূন্যই রয়ে গেল । ওদিকে এবারের লড়াইয়ে বহু জাঁক ও চমক সৃষ্টি করেও পরাস্ত হলেন 'মেট্রো-ম্যান' নামে পরিচিত নামী প্রযুক্তিবিদ ই শ্রীধরণ । 40 বছরের এই প্রবীণ বিজেপি প্রার্থী পালাক্কাড় কেন্দ্রে রীতিমতো দফতর বানিয়ে ঘাঁটি গেঁড়ে বসেছিলেন । তবু শেষরক্ষা হল না তাঁর । হার মানলেন ওই কেন্দ্রেরই বিদায়ী বিধায়ক কংগ্রেসের শফি পরমবিলের কাছে । এই পরাজয় গেরুয়া শিবিরের কাছে মুখ পোড়ানোর শামিল বলা যায় । এমন কী বহুখ্যাত শবরীমালা মন্দিরের ইস্যুটিও তেমন প্রভাব বিস্তারে সমর্থ হয়নি ।

অতঃপর প্রশ্ন একটিই । 40 বছরের ইতিহাসে কেরলবাসী কেন এবার রীতি ভেঙে প্রতিষ্ঠানমুখী হলেন ? তাহলে কি গোটা 'দক্ষিণপন্থী' শিবিরকেই বর্জন করতে চেয়েছেন রাজ্যের সচেতন ও সুশিক্ষিত ভোটার-কূল? চরমতম দক্ষিণপন্থা তো বটেই, ন্যূনতম দক্ষিণপন্থী তকমাতেই হয়তো আগাম আপত্তি জানিয়ে রাখলেন তাঁরা । কে না জানে, নেহরু-ইন্দিরা-সোনিয়ার দলটি তো দক্ষিণপন্থী রাজনীতির পরিপোষক হিসাবে বরাবরই চিহ্নিত । তার উপরে নরসিংহ রাও থেকে মনমোহন পর্যন্ত নেতাদের সংস্কারপন্থী কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ত্রস্ত করেছে রাজ্যবাসীকে । বিলগ্নি ও বেসরকারিকরণের অগ্রদূত তো তাঁরাই । গত সাত বছরে সেই ঐতিহ্যের আরও নিপুণ শরিক হয়ে উঠেছেন পরাক্রমশালী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি । সুতরাং আজকের আর্থিক নীতির নিরিখে ব্রাত্য হয়ে উঠেছে উভয় শিবিরই । ফলত 'বাম বিনা গতি নাই' ভাবনায় আবিষ্ট হয়ে উঠেছেন ভোটাররাও ।

একেই বলে, ঘর পোড়া গরুর সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরানো ! অন্তত কেরলের ফল থেকে তেমনই ধারণা হতে পারে আমাদের ।

(প্রতিবেদক : অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও লেখক)

"যতই গাঁয়ে গঞ্জে ঘোরো না কেন, আদর্শ গ্রাম দেখতে হলে কেরালা যেতে হবে । গ্রাম সম্পর্কে ধারণাটাই পাল্টে যাবে তোমার ।"...

সাতের দশকে একবার আমাকে বলেছিলেন সত্তরের নামী সাংবাদিক ও সংগঠন-কর্মী নিরঞ্জন হালদার ।

নিরঞ্জনবাবু তখন আনন্দবাজার থেকে অবসর নিয়ে ঘরে বসেই লেখালেখি করছেন । যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন সমাজসেবামূলক সংঠনের সঙ্গে । বিশেষত, তখন নর্মদা প্রকল্প নিয়ে মেধা পাটকরের পরিবেশ ও আদিবাসী পুনর্বাসন আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বাইরেও । নিরঞ্জন হালদারের যোগাযোগ ছিল মেধার সঙ্গেও । প্রায়শই তিনি ছুটে যেতেন গুজরাতে । যোগ ছিল তাঁর মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গেও ।

এই অধম সেই মুহূর্তে 'যুগান্তর' দৈনিকের সদ্য কর্মহারা সাংবাদিক । 1991 সালে সেই প্রাচীন ও সুখ্যাত দৈনিকটি শ্রমিক আন্দোলন ও আর্থিক অনটনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । ফলে আমার মতো প্রায় শ'তিনেক সাংবাদিক ও অ-সাংবাদিক কর্মী বিপাকে পড়েন । স্বভাবতই আমার মতো এক বেকার তরুণকে অর্থকরী কিছু পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন বর্ষীয়ান নিরঞ্জন । তাঁর পরামর্শ ছিল, কেরলের গ্রাম ঘুরে এসে কিছু সচিত্র প্রতিবেদন তৈরি করতে পারলে তা থেকে রোজগারের ব্যবস্থা হতে পারে । মুম্বইয়ে তাঁর পরিচিত একটি ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক সেরকমই বরাত দিতে চেয়েছিলেন কোনও নিরপেক্ষ নবীনতর লেখককে । তো সে-কাজে আমি যাতে বহাল হতে পারি, তাই এহেন নির্দেশ ।

কিন্তু কেরল কেন? - আমার এমন প্রশ্নের জবাবে গান্ধিবাদী নিরঞ্জন হালদার বলেছিলেন, "এদেশে যথার্থ সংসদীয় গণতন্ত্রের চেহারাটা ওখানেই পাবে । নাগরিক সুশিক্ষিত না হলে তার ভোটদানের অধিকার অপাত্রে প্রযুক্ত হয় । তাকে পরিচালিত করে স্বার্থান্বেষী রাজনীতি । সোজা কথায়, সে বনে যায় তাদের হাতের পুতুল । কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রম কেরলের ভোটাররা । তাই তাঁরা সদাই প্রতিষ্ঠান-বিরোধী । দীর্ঘদিনের ক্ষমতায় থাকার যে ঘুণ, তা সাফসুতরো করার দায়িত্ব বোধ থেকেই তাঁদের এই চেতনা । এ কারণেই প্রত্যেক ভোটেই বদলে যায় সরকার । সুস্থ গণতন্ত্রের নমুনা এটাই । এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলিকে দায়বদ্ধ থাকতে হয় তাদের ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি ।"...

আমার অবশ্য কেরল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আজও হয়নি । তবু গত সাতাশ বছরে কর্মসূত্রে কেরল সংক্রান্ত খবরাখবরে হামেশাই নজর রাখতে হয়েছে । সারা দেশে শতকরা একশো ভাগ সাক্ষরতা সৃষ্টির সাফল্যে প্রথম নজির গড়েছে একমাত্র কেরল নামক রাজ্যটিই । সেখানে কৃষি ও শিল্পের বিকাশ আশ্চর্য রকমের সুসমাহারে বিন্যস্ত । গ্রামীণ পরিবেশ ও পরিজনকে অক্ষুণ্ণ রেখেই রাজ্যজুড়ে উন্নয়ন পর্ব সমাধা করা হয়েছে । দীর্ঘদিনের বাম-শাসন পর্বেও সেখানে জমি অধিগ্রহণে নন্দীগ্রামের মতো কোনও বীভৎস কাণ্ডের গোলযোগ দেখা যায়নি । পাশাপাশি বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে রাজ্যের উন্নত পর্যটন শিল্পও ।

আরও পড়ুন : কাজে এল না সিদ্দিকি টনিক, এই প্রথম বিধানসভা বাম-কংগ্রেসহীন

'ভগবানের আপন রাজ্য' কেরল নিয়ে এমনতরো ভাবনা ও স্মৃতিকথনের সূত্রপাত ঘটাতে হল আজকে বিধানসভা ভোটের ফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে । তবে এবারের ভোটে অতীতের যাবতীয় পরম্পরাকে ছিন্ন করে কোনও সরকার বদলের নজির সৃষ্টি হল না । এটাই এবারের আশ্চর্য ও ব্যতিকর্মী ঘটনা । গত চার দশক ধরে কেরলে বাম নেতৃত্বাধীন জোট 'এল ডি এফ' এবং কংগ্রেসের 'ইউ ডি এফ' যুগপৎ পালা করে সরকার গঠন করে আসছে । কিন্তু এই প্রথমবার বাম জোট-ই ফের ক্ষমতায় আসীন হল । 140 আসনের বিধানসভায় তারা এবারেও নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়ে লাভ করতে চলেছে 100টি আসন । বিরোধী কং জোট পেতে পারে 40টি আসন । মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন নিজে 50 হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে ধরাশায়ী করেছেন প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের রঘুনাথনকে । তৃতীয় পক্ষ বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট 'এন ডিএ'-র ঝুলি শূন্যই রয়ে গেল । ওদিকে এবারের লড়াইয়ে বহু জাঁক ও চমক সৃষ্টি করেও পরাস্ত হলেন 'মেট্রো-ম্যান' নামে পরিচিত নামী প্রযুক্তিবিদ ই শ্রীধরণ । 40 বছরের এই প্রবীণ বিজেপি প্রার্থী পালাক্কাড় কেন্দ্রে রীতিমতো দফতর বানিয়ে ঘাঁটি গেঁড়ে বসেছিলেন । তবু শেষরক্ষা হল না তাঁর । হার মানলেন ওই কেন্দ্রেরই বিদায়ী বিধায়ক কংগ্রেসের শফি পরমবিলের কাছে । এই পরাজয় গেরুয়া শিবিরের কাছে মুখ পোড়ানোর শামিল বলা যায় । এমন কী বহুখ্যাত শবরীমালা মন্দিরের ইস্যুটিও তেমন প্রভাব বিস্তারে সমর্থ হয়নি ।

অতঃপর প্রশ্ন একটিই । 40 বছরের ইতিহাসে কেরলবাসী কেন এবার রীতি ভেঙে প্রতিষ্ঠানমুখী হলেন ? তাহলে কি গোটা 'দক্ষিণপন্থী' শিবিরকেই বর্জন করতে চেয়েছেন রাজ্যের সচেতন ও সুশিক্ষিত ভোটার-কূল? চরমতম দক্ষিণপন্থা তো বটেই, ন্যূনতম দক্ষিণপন্থী তকমাতেই হয়তো আগাম আপত্তি জানিয়ে রাখলেন তাঁরা । কে না জানে, নেহরু-ইন্দিরা-সোনিয়ার দলটি তো দক্ষিণপন্থী রাজনীতির পরিপোষক হিসাবে বরাবরই চিহ্নিত । তার উপরে নরসিংহ রাও থেকে মনমোহন পর্যন্ত নেতাদের সংস্কারপন্থী কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ত্রস্ত করেছে রাজ্যবাসীকে । বিলগ্নি ও বেসরকারিকরণের অগ্রদূত তো তাঁরাই । গত সাত বছরে সেই ঐতিহ্যের আরও নিপুণ শরিক হয়ে উঠেছেন পরাক্রমশালী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি । সুতরাং আজকের আর্থিক নীতির নিরিখে ব্রাত্য হয়ে উঠেছে উভয় শিবিরই । ফলত 'বাম বিনা গতি নাই' ভাবনায় আবিষ্ট হয়ে উঠেছেন ভোটাররাও ।

একেই বলে, ঘর পোড়া গরুর সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরানো ! অন্তত কেরলের ফল থেকে তেমনই ধারণা হতে পারে আমাদের ।

(প্রতিবেদক : অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও লেখক)

Last Updated : May 4, 2021, 4:46 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.