ETV Bharat / bharat

Body Carried on Bicycle: মিলল না অ্যাম্বুলেন্স কিংবা শববাহী যান, হাসপাতাল থেকে সাইকেলেই বৃদ্ধার দেহ নিয়ে গেল পরিবার - Body Carried on Bicycle

সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে পাওয়া যায়নি ৷ তাই সাইকেলে করে বৃদ্ধার দেহ বাড়ি নিয়ে গেল পরিজনেরা ৷ ওড়িশার সুবর্ণপুরের ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায় ৷

Body Carried on Bicycle in Odisha ETV BHARAT
Body Carried on Bicycle in Odisha
author img

By

Published : Jun 17, 2023, 6:15 PM IST

অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে হাসপাতাল থেকে সাইকেলে নিয়ে যাওয়া হল বৃদ্ধার দেহ

সুবর্ণপুর (ওড়িশা), 17 জুন: সাইকেলের কেরিয়ারে দেহ বেঁধে নিয়ে যাচ্ছেন তিনজন ব্যক্তি ৷ তাও আবার হাসপাতালের ভিতর থেকে বেরোচ্ছেন তারা ৷ সোশাল মিডিয়ায় এমনি একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা ইটিভি ভারত যাচাই করেনি) ৷ ঘটনাটি ওড়িশার সুবর্ণপুর জেলার বিনিকা এলাকার কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৷ আর সাইকেলে বাঁধা মৃতদেহ বিনিকার মেঘালা গ্রামের বৃদ্ধা রুক্মিনি সাহুর ৷ হাসপাতালে মৃত্যুর পর তাঁর দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স বা শববাহী যানের ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করে দেয়নি ৷ তাই বাধ্য হয়ে পরিজনেরা সাইকেলে করে তাঁর দেহ নিয়ে যান ৷

জানা গিয়েছে, সুবর্ণপুর জেলা ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নীরঞ্জনা পুরীর ৷ তাঁর জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর এই বেহাল দশা দেখে চোখ কপালে উঠেছে আমজনতার ৷ প্রশ্ন উঠেছে, খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেলায় চিকিৎসা-সহ অন্যান্য পরিষেবার যদি এই হাল হয়, তাহলে বাকি জেলাগুলির অবস্থা কেমন ? একজন মানুষ মৃত্যুর পর তাঁর যোগ্য সম্মানটুকু পাচ্ছেন না ! পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, চিকিৎসক রুক্মিনি সাহুকে মৃত ঘোষণার পর তাঁর দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অ্যাম্বুলেন্স বা শববাহী গাড়ি চাওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু, হাসপাতালের কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি ৷

রুক্মিনি দেবীকে বয়সজনিত রোগের কারণে হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৷ সেই সময় হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিতে বলা হয় পরিবারের তরফে ৷ কিন্তু, কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি বলে অভিযোগ ৷ যদিও, হাসপাতালে রুক্মিনি সাহুর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাক্তার সন্তোষ বিভোর দাবি করেছেন, রোগী মারা যাওয়ার পর তিনি পরিবারের সদস্যদের দেহ নিয়ে যেতে বলেছিলেন ৷ কিন্তু, কখনই সাইকেলে করে নিয়ে যেতে বলেননি ৷

আরও পড়ুন: অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের নিতে হবে নির্ধারিত ভাড়াই, জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে

তবে, কেন হাসপাতালে শববাহী দেহ বা অ্যাম্বুলেন্স থাকবে না ? কেন সরকারি হাসপাতালে রোগীর পরিবারের সদস্যদের বাইরে থেকে শববাহী গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হবে ? এমনই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে এই ঘটনায় ৷ তবে, এমন অমানবিক ঘটনার জন্য কোনও তদন্ত সরকার শুরু করেছে কি না, তা জানা যায়নি ৷

অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে হাসপাতাল থেকে সাইকেলে নিয়ে যাওয়া হল বৃদ্ধার দেহ

সুবর্ণপুর (ওড়িশা), 17 জুন: সাইকেলের কেরিয়ারে দেহ বেঁধে নিয়ে যাচ্ছেন তিনজন ব্যক্তি ৷ তাও আবার হাসপাতালের ভিতর থেকে বেরোচ্ছেন তারা ৷ সোশাল মিডিয়ায় এমনি একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা ইটিভি ভারত যাচাই করেনি) ৷ ঘটনাটি ওড়িশার সুবর্ণপুর জেলার বিনিকা এলাকার কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৷ আর সাইকেলে বাঁধা মৃতদেহ বিনিকার মেঘালা গ্রামের বৃদ্ধা রুক্মিনি সাহুর ৷ হাসপাতালে মৃত্যুর পর তাঁর দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স বা শববাহী যানের ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করে দেয়নি ৷ তাই বাধ্য হয়ে পরিজনেরা সাইকেলে করে তাঁর দেহ নিয়ে যান ৷

জানা গিয়েছে, সুবর্ণপুর জেলা ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নীরঞ্জনা পুরীর ৷ তাঁর জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর এই বেহাল দশা দেখে চোখ কপালে উঠেছে আমজনতার ৷ প্রশ্ন উঠেছে, খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেলায় চিকিৎসা-সহ অন্যান্য পরিষেবার যদি এই হাল হয়, তাহলে বাকি জেলাগুলির অবস্থা কেমন ? একজন মানুষ মৃত্যুর পর তাঁর যোগ্য সম্মানটুকু পাচ্ছেন না ! পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, চিকিৎসক রুক্মিনি সাহুকে মৃত ঘোষণার পর তাঁর দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অ্যাম্বুলেন্স বা শববাহী গাড়ি চাওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু, হাসপাতালের কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি ৷

রুক্মিনি দেবীকে বয়সজনিত রোগের কারণে হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৷ সেই সময় হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিতে বলা হয় পরিবারের তরফে ৷ কিন্তু, কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি বলে অভিযোগ ৷ যদিও, হাসপাতালে রুক্মিনি সাহুর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাক্তার সন্তোষ বিভোর দাবি করেছেন, রোগী মারা যাওয়ার পর তিনি পরিবারের সদস্যদের দেহ নিয়ে যেতে বলেছিলেন ৷ কিন্তু, কখনই সাইকেলে করে নিয়ে যেতে বলেননি ৷

আরও পড়ুন: অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের নিতে হবে নির্ধারিত ভাড়াই, জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে

তবে, কেন হাসপাতালে শববাহী দেহ বা অ্যাম্বুলেন্স থাকবে না ? কেন সরকারি হাসপাতালে রোগীর পরিবারের সদস্যদের বাইরে থেকে শববাহী গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হবে ? এমনই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে এই ঘটনায় ৷ তবে, এমন অমানবিক ঘটনার জন্য কোনও তদন্ত সরকার শুরু করেছে কি না, তা জানা যায়নি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.