ETV Bharat / bharat

SC acquits man of murder charge: শিক্ষিত হলেই তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গঠিত হয় না, মত শীর্ষ আদালতের - Supreme Court

একটি মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ ও জেবি পার্দিওয়ালা জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ও চরিত্রের বিষয়টি এক নয় ৷ মানুষের চরিত্র গঠিত হয়, কিন্তু ভাবমূর্তি অর্জন করে হয় ৷ লিখলেন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি সুমিত সাক্সেনা ৷

ETV Bharat
সুপ্রিম কোর্ট
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 14, 2023, 10:43 PM IST

নয়াদিল্লি, 14 অক্টোবর: তিনি শিক্ষিত এবং ভগবানকে ভয় পান, কোনও ব্যক্তির শুধুমাত্র এরকম দাবির উপর ভিত্তি করে আদালত কোনও ব্যক্তির ভাবমূর্তি নির্ধারণ করতে পারে না ৷ সম্প্রতি এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ ও জেবি পার্দিওয়ালার পর্যবেক্ষণ, কোনও ব্যক্তির ভাবমূর্তি বিবেচিত হওয়া উচিত কোনও গোষ্ঠীর তাঁকে নিয়ে কী ভাবছে তার ভিত্তিতে ৷ অন্যদিকে, চরিত্র থেকে ওই মানুষটি সম্পর্কে বোঝা যায় ৷

আদালতের কথায়, মানুষের চরিত্র গঠিত হয়, কিন্তু ভাবমূর্তি অর্জন করে হয় ৷ চরিত্র কোনও ব্যক্তির ভাবমূর্তি অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে কিন্তু তা বলে এই দুটি বিষয় এক নয় ৷ অনেক আভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর নির্ভর করে ভাবমূর্তি বিষয়টি গড়ে ওঠে, তাই যাঁদের মতামতের ভিত্তিতে এই ভাবমূর্তির বিষয়টি গড়ে ওঠে, তাদের মানদণ্ডেই এই বিষয়টি বিবেচিত হওয়া উচিত ৷ বিচারপতি সুন্দরেশের মতে, যখন খ্যাতির বিষয়টিকে একটি প্রাসঙ্গিক সত্যি হিসেবে গ্রহণ করা হয় তখন এর মান সীমাবদ্ধ হয়ে যায় ৷ কোনও একটি ইস্যুতে যখন খ্যাতির বিষয়টি সত্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে ওঠে তখন আদতে তা একটি দুর্বল প্রমাণ হিসেবেই গণ্য হয় ৷

খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হরবিন্দর সিং নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট ৷ এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান ওই ব্যক্তি ৷ এর আগে নিম্ন আদালত ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেও হাইকোর্টে ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল ৷ ঘটনা হল, যে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট হরবিন্দর সিং নামে ওই ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছিল, সেই প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছিলেন তিনি শিক্ষিত ও ভগবানে ভয় পান, তাই তিনি সত্যি কথা বলছেন ৷ তাঁর এই কথার উপর ভিত্তি করেই হাইকোর্ট ওই নির্দেশ দেয় ৷

এই মামলার রায় দিতে গিয়েই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ওই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তিনি শিক্ষিত এবং ভগবানকে ভয় পান, কোনও ব্যক্তির শুধুমাত্র এরকম দাবির উপর ভিত্তি করে আদালত কোনও ব্যক্তির স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নির্ধারণ করতে পারে না ৷ কোনও ব্যক্তির নিজেকে নিয়ে এহেন কোনও দাবি তাঁর ভাবমূর্তি প্রমাণও হতে পারে না ৷

আরও পড়ুন: 'বিচারপতিরা দেবতা নন, হাত জোর করবেন না'; পর্যবেক্ষণ কেরল হাইকোর্টের

আদালতের মতে, যখন কোনও ব্যক্তির ব্যবহার তা আর পাঁচটা মানবিক ব্যবহারের থেকে আলাদা হয়, তখন ভাবমূর্তি পিছনের সারিতে চলে যায় ৷ এরপরেই এই আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে খারিজ করে দেয় এবং ট্রায়াল কোর্টের রায়কেই বহাল রাখার নির্দেশ দেয় ৷ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অভিযোগকারী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ আনতে পারেননি, এমনকি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টও পাওয়া যায়নি ৷ তাই বেনিফিট অফ ডাউট দিয়ে ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হল ৷ চলতি বছরের 17 জুন হরবিন্দর সিং নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক দম্পতির বাড়িতে হামলা চালানো ও মহিলা ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ উঠেছিল ৷

নয়াদিল্লি, 14 অক্টোবর: তিনি শিক্ষিত এবং ভগবানকে ভয় পান, কোনও ব্যক্তির শুধুমাত্র এরকম দাবির উপর ভিত্তি করে আদালত কোনও ব্যক্তির ভাবমূর্তি নির্ধারণ করতে পারে না ৷ সম্প্রতি এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ ও জেবি পার্দিওয়ালার পর্যবেক্ষণ, কোনও ব্যক্তির ভাবমূর্তি বিবেচিত হওয়া উচিত কোনও গোষ্ঠীর তাঁকে নিয়ে কী ভাবছে তার ভিত্তিতে ৷ অন্যদিকে, চরিত্র থেকে ওই মানুষটি সম্পর্কে বোঝা যায় ৷

আদালতের কথায়, মানুষের চরিত্র গঠিত হয়, কিন্তু ভাবমূর্তি অর্জন করে হয় ৷ চরিত্র কোনও ব্যক্তির ভাবমূর্তি অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে কিন্তু তা বলে এই দুটি বিষয় এক নয় ৷ অনেক আভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর নির্ভর করে ভাবমূর্তি বিষয়টি গড়ে ওঠে, তাই যাঁদের মতামতের ভিত্তিতে এই ভাবমূর্তির বিষয়টি গড়ে ওঠে, তাদের মানদণ্ডেই এই বিষয়টি বিবেচিত হওয়া উচিত ৷ বিচারপতি সুন্দরেশের মতে, যখন খ্যাতির বিষয়টিকে একটি প্রাসঙ্গিক সত্যি হিসেবে গ্রহণ করা হয় তখন এর মান সীমাবদ্ধ হয়ে যায় ৷ কোনও একটি ইস্যুতে যখন খ্যাতির বিষয়টি সত্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে ওঠে তখন আদতে তা একটি দুর্বল প্রমাণ হিসেবেই গণ্য হয় ৷

খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হরবিন্দর সিং নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট ৷ এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান ওই ব্যক্তি ৷ এর আগে নিম্ন আদালত ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেও হাইকোর্টে ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল ৷ ঘটনা হল, যে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট হরবিন্দর সিং নামে ওই ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছিল, সেই প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছিলেন তিনি শিক্ষিত ও ভগবানে ভয় পান, তাই তিনি সত্যি কথা বলছেন ৷ তাঁর এই কথার উপর ভিত্তি করেই হাইকোর্ট ওই নির্দেশ দেয় ৷

এই মামলার রায় দিতে গিয়েই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ওই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তিনি শিক্ষিত এবং ভগবানকে ভয় পান, কোনও ব্যক্তির শুধুমাত্র এরকম দাবির উপর ভিত্তি করে আদালত কোনও ব্যক্তির স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নির্ধারণ করতে পারে না ৷ কোনও ব্যক্তির নিজেকে নিয়ে এহেন কোনও দাবি তাঁর ভাবমূর্তি প্রমাণও হতে পারে না ৷

আরও পড়ুন: 'বিচারপতিরা দেবতা নন, হাত জোর করবেন না'; পর্যবেক্ষণ কেরল হাইকোর্টের

আদালতের মতে, যখন কোনও ব্যক্তির ব্যবহার তা আর পাঁচটা মানবিক ব্যবহারের থেকে আলাদা হয়, তখন ভাবমূর্তি পিছনের সারিতে চলে যায় ৷ এরপরেই এই আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে খারিজ করে দেয় এবং ট্রায়াল কোর্টের রায়কেই বহাল রাখার নির্দেশ দেয় ৷ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অভিযোগকারী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ আনতে পারেননি, এমনকি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টও পাওয়া যায়নি ৷ তাই বেনিফিট অফ ডাউট দিয়ে ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হল ৷ চলতি বছরের 17 জুন হরবিন্দর সিং নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক দম্পতির বাড়িতে হামলা চালানো ও মহিলা ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ উঠেছিল ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.