মুম্বই, 7 সেপ্টেম্বর: ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবি নারায়ণকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED Arrests Former NSE CEO Ravi Narain) ৷ দুর্নীতির অভিযোগে হাওয়ালা আইনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ রবি নারাইনের বিরুদ্ধে দু’টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ সংস্থার কর্মীদের ফোনে আড়িপাতা এবং কো-লোকেশন দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করছে ইডি ৷ এই দুই মামলায় রবি নারাইনের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর ৷
1994 সাল থেকে 2013 সাল পর্যন্ত ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন রবি নারাইন ৷ পরবর্তী সময়ে তিনি নন-এক্সিকিউটিভ হিসাবে ভাইস চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন ৷ 2017 সাল পর্যন্ত রবি নারাইন এই পদে ছিলেন ৷ তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, 1997 সাল থেকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মীদের ফোনে আড়িপাতা হচ্ছিল ৷ রেড সার্ভার নামে একটি যন্ত্রের সাহায্যে এই আড়িপাতার কাজ করা হত ৷ আর এর দায়িত্বে ছিলেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডে ৷ তাঁকেও কয়েকমাস আগে গ্রেফতার করেছে ইডি ৷
এই মামলায় একই সঙ্গে সিবিআই তদন্তও চলছে ৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসই’র আরেক প্রাক্তন সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণাকে আগেই গ্রেফতার করেছে ৷ অভিযোগ, তিনিও এই আড়িপাতা এবং কো-লোকেশন দুর্নীতি কাণ্ডে যুক্ত ৷ তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ ও এনএসই’র গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ রয়েছে ৷ সিবিআই চিত্রা রামকৃষ্ণার বিরুদ্ধে তদন্ত করার সময় এক সাধুর খোঁজ পায় ৷ অভিযোগ সেই সাধুর নির্দেশ মতোই নাকি চিত্রা এনএসই’র কাজ কর্ম চালাতেন এবং নিয়োগও হত ওই সাধুর কথাতেই ৷
আরও পড়ুন: মণীশ সিসোদিয়াদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি হয়নি, জানাল সিবিআই
তদন্তে নেমে সেই সাধুর খোঁজ শুরু করেন সিবিআই এর আধিকারিকরা ৷ কিন্তু, প্রথমটায় এই সাধুর কোনও খোঁজ পাচ্ছিল না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷ পরবর্তী সময়ে জানা যায়, সেই সাধু আর কেউ নন, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের আরেক প্রাক্তন সিইও আনন্দ সুব্রহ্মণ্যম ৷ এই বছরেই চেন্নাই থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷