ETV Bharat / bharat

Delhi High Court: 15 দিন ছুটি নিয়ে চাকরি হারিয়েছিলেন, 30 বছর পর আইনি লড়াইয়ে জয় মৃত কন্ডাক্টরের - চাকরি

তিনি যে ভুল ছিলেন না তা প্রমাণিত হল 30 বছরের আইনি লড়াইয়ের পর ৷ তবে যাকে ঘিরে এত আয়োজন তিনি জেনে যেতে পারলেন না যে তাঁর চাকরি যাওয়া ছিল বেআইনি পদক্ষেপ ৷ সব ফিরে পেলেন। শুধু দেখে যেতে পারলেন না কন্ডাক্টর ৷

Etv Bharat
দিল্লি হাইকোর্ট
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 15, 2023, 8:11 AM IST

Updated : Nov 15, 2023, 8:39 AM IST

নয়াদিল্লি, 15 নভেম্বর: আগাম না জানিয়ে 15 দিনের ছুটি নিয়েছিলেন ৷ তার জন্য চাকরি চলে গিয়েছিল ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে বকেয়া-সহ সব ফিরে পেলেন 30 বছর পর ৷ এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে ৷ দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (ডিটিসি)-এ কর্মরত এক কন্ডাক্টর 15 দিনের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন ৷ এরপরই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ডিটিসি ৷ চাকরি ফিরে পেতে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে 30 বছর ধরে আইনি লড়াই লড়তে হয় ৷ দিল্লি হাইকোর্ট, কন্ডাকটরের পরিবারের পক্ষে রায় দেওয়ার সময় তাঁর 31 বছরের বকেয়া বেতন এবং অন্য বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে । তবে এই এতকিছু জেনে যেতে পারলেন না তিনি । 2007 সালে তাঁর মৃত্যু হয়।

দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সঞ্জীব নরুলার বেঞ্চ তাঁদের সিদ্ধান্তে বলেছে, কন্ডাক্টর দীর্ঘদিন ধরে তাঁর অধিকারের জন্য লড়াই করছিলেন । তিনি আর বেঁচে নেই । কিন্তু নথিপ্রমাণ করে যে অভিযোগকারীর দাবি সঠিক ছিল । মাত্র 15 দিনের ছুটি নেওয়ায় তাঁকে বেআইনিভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল । এছাড়াও, বেঞ্চ 2003 সালে শ্রম আদালত কর্তৃক অভিযোগকারীর পক্ষে দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রাখে । এই পিটিশনের নিষ্পত্তি করার সময়, বেঞ্চ বলেছিল যে দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনকে এখনও পর্যন্ত বকেয়া অর্থ কন্ডাক্টরের বিধবা স্ত্রী এবং সন্তানদের দিতে হবে ।

উল্লেখ্য, 1992 সালে 15 দিনের ছুটি নেওয়ায় কন্ডাক্টরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল ডিটিসি । অধিদফতর অভিযোগ করেছে যে তিনি 31 মার্চ 1991 থেকে 14 এপ্রিল 1991 পর্যন্ত কোনও আগাম খবর ছাড়াই ছুটিতে ছিলেন । কন্ডাক্টরের মৃত্যুর পর এই আইনি লড়াই এগিয়ে নিয়ে যান নিহতের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানরা । মৃত্যুর 16 বছর পর পরিবারের পক্ষে রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট ।

হাইকোর্টের বেঞ্চ বলেছে যে 2003 সালের 31 মে শ্রম আদালত কন্ডাক্টরকে ক্লিনচিট দিয়েছিল ৷ ডিটিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে পুনরায় চাকরিতে ফেরাতে। পাশাপাশি, তাঁর অতীতের বকেয়া পরিশোধ করে দেওয়ার নির্দেশও ছিল ৷ এই আদেশকে দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বিচারকের বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেছিল ডিটিসি । বেঞ্চ 2007 সালে শ্রম আদালতের আদেশ বহাল রাখে । পাশাপাশি কন্ডাক্টরকে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দেয় । তা সত্ত্বেও ডিটিসি এই আদেশকে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে । এখন ডিভিশন বেঞ্চও কন্ডাক্টরের পক্ষে দেওয়া সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মেনে নিয়েছে । এখন কন্ডাক্টরের 31 বছরের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য ভাতা-সহ সব টাকা ডিটিসিকে পরিশোধ করতে হবে ।

আরও পড়ুন :

1 স্ত্রী স্নাতক বলে চাকরি করতে বাধ্য করা যাবে না, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের

2 ট্রাফিকের জরিমানার 22 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ! চাকরি গেল কলকাতা পুলিশের 2 কনস্টেবলের

নয়াদিল্লি, 15 নভেম্বর: আগাম না জানিয়ে 15 দিনের ছুটি নিয়েছিলেন ৷ তার জন্য চাকরি চলে গিয়েছিল ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে বকেয়া-সহ সব ফিরে পেলেন 30 বছর পর ৷ এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে ৷ দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (ডিটিসি)-এ কর্মরত এক কন্ডাক্টর 15 দিনের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন ৷ এরপরই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ডিটিসি ৷ চাকরি ফিরে পেতে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে 30 বছর ধরে আইনি লড়াই লড়তে হয় ৷ দিল্লি হাইকোর্ট, কন্ডাকটরের পরিবারের পক্ষে রায় দেওয়ার সময় তাঁর 31 বছরের বকেয়া বেতন এবং অন্য বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে । তবে এই এতকিছু জেনে যেতে পারলেন না তিনি । 2007 সালে তাঁর মৃত্যু হয়।

দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সঞ্জীব নরুলার বেঞ্চ তাঁদের সিদ্ধান্তে বলেছে, কন্ডাক্টর দীর্ঘদিন ধরে তাঁর অধিকারের জন্য লড়াই করছিলেন । তিনি আর বেঁচে নেই । কিন্তু নথিপ্রমাণ করে যে অভিযোগকারীর দাবি সঠিক ছিল । মাত্র 15 দিনের ছুটি নেওয়ায় তাঁকে বেআইনিভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল । এছাড়াও, বেঞ্চ 2003 সালে শ্রম আদালত কর্তৃক অভিযোগকারীর পক্ষে দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রাখে । এই পিটিশনের নিষ্পত্তি করার সময়, বেঞ্চ বলেছিল যে দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনকে এখনও পর্যন্ত বকেয়া অর্থ কন্ডাক্টরের বিধবা স্ত্রী এবং সন্তানদের দিতে হবে ।

উল্লেখ্য, 1992 সালে 15 দিনের ছুটি নেওয়ায় কন্ডাক্টরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল ডিটিসি । অধিদফতর অভিযোগ করেছে যে তিনি 31 মার্চ 1991 থেকে 14 এপ্রিল 1991 পর্যন্ত কোনও আগাম খবর ছাড়াই ছুটিতে ছিলেন । কন্ডাক্টরের মৃত্যুর পর এই আইনি লড়াই এগিয়ে নিয়ে যান নিহতের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানরা । মৃত্যুর 16 বছর পর পরিবারের পক্ষে রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট ।

হাইকোর্টের বেঞ্চ বলেছে যে 2003 সালের 31 মে শ্রম আদালত কন্ডাক্টরকে ক্লিনচিট দিয়েছিল ৷ ডিটিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে পুনরায় চাকরিতে ফেরাতে। পাশাপাশি, তাঁর অতীতের বকেয়া পরিশোধ করে দেওয়ার নির্দেশও ছিল ৷ এই আদেশকে দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বিচারকের বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেছিল ডিটিসি । বেঞ্চ 2007 সালে শ্রম আদালতের আদেশ বহাল রাখে । পাশাপাশি কন্ডাক্টরকে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দেয় । তা সত্ত্বেও ডিটিসি এই আদেশকে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে । এখন ডিভিশন বেঞ্চও কন্ডাক্টরের পক্ষে দেওয়া সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মেনে নিয়েছে । এখন কন্ডাক্টরের 31 বছরের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য ভাতা-সহ সব টাকা ডিটিসিকে পরিশোধ করতে হবে ।

আরও পড়ুন :

1 স্ত্রী স্নাতক বলে চাকরি করতে বাধ্য করা যাবে না, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের

2 ট্রাফিকের জরিমানার 22 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ! চাকরি গেল কলকাতা পুলিশের 2 কনস্টেবলের

Last Updated : Nov 15, 2023, 8:39 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.