ETV Bharat / bharat

মেডিকেল অক্সিজেনের চাহিদা কমাবে ডিআরডিওর ওষুধ

গোটা দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়ছে ৷ অক্সিজেন নিয়ে হাহাকার চারিদিকে ৷ হাসপাতালগুলিতে বেড পাওয়া যাচ্ছে না ৷ আর ঠিক এই কঠিন সময়েই এই ওষুধটি নিয়ে এল ডিআরডিও ৷ এমন এক ওষুধ যা অনেক দ্রুত সুস্থ করে তুলছে ৷ একইসঙ্গে মেডিকেল অক্সিজেনের উপর নির্ভরতাও কমাচ্ছে ৷

মেডিকেল অক্সিজেনের চাহিদা
মেডিকেল অক্সিজেনের চাহিদা
author img

By

Published : May 18, 2021, 9:14 PM IST

নয়াদিল্লি, 18 মে : গোটা দেশ যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়ছে, তখন কিছুটা হলেও স্বস্তির দিচ্ছে ডিআরডিওর তৈরি অ্যান্টি-কোভিড ওষুধ ৷ পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ডিআরডিওর এই ওষুধের ব্যবহারে অনেক দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন রোগীরা ৷ অক্সিজেনের দরকারও কম হচ্ছে ৷

2-ডিঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ় ৷ সংক্ষেপে 2-ডিজি ৷ ডিআরডিওর ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস ও ডাক্তার রেড্ডির ল্যাবরেটরির যৌথ উদ্যোগে ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে ৷ ডিজিসিআই চলতি মাসেই মাঝারি ও অত্যাধিক উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই ওষুধের আপদকালীন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ৷

কীভাবে কাজ করে এই ওষুধ ?

সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ওষুধটি ভাইরাস সংক্রমিত কোষে গিয়ে কাজ করে ৷ ভাইরাল সিনথেসিস ও এনার্জি প্রোডাকশন বন্ধ করে দেয় ৷ ফলে ভাইরাসের আর বৃদ্ধি হয় না ৷

ডিআরডিওর চেয়ারপার্সন চিকিৎসক ডি সতীশ রেড্ডি বলছেন, এই ওষুধ করোনার বিভিন্ন স্ট্রেনগুলির ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে ৷

কীভাবে এই ভাইরাসের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয় ?

2020 সালের এপ্রিলে ডিআরডিওর বিজ্ঞানীরা সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির সহায়তায় একটি পরীক্ষা চালান ৷ পরীক্ষায় দেখা যায়, এটি করোনার বিরুদ্ধে বেশ কার্যকর এবং ভাইরাসের বৃদ্ধি আটকাতে সাহায্য করে ৷

এরপর ডিজিসিআইয়ের সেন্ট্রাল ড্রাগস কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার অনুমতি দেয় ৷

2020 সালের মে থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে 110 জন রোগীর শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করা হয় এবং কারও শরীরে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি ৷ যে করোনা রোগীদের শরীরে এটি প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের উপসর্গগুলিও অন্য পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলা রোগীদের তুলনায় অনেক দ্রুত কমে যায় ৷

এরপর তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয় 220 জন রোগীর মধ্যে ৷ 2020 সালের ডিসেম্বর থেকে 2021 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্য মিলিয়ে 27টি কোভিড হাসপাতালে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালানো হয় ৷ এই পর্যায়ে দেখা যায়, রোগীদের উপসর্গগুলি কমে যাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত অক্সিজেনের উপর নির্ভরতাও কমেছে ৷ যাঁদের বয়স 65 বছরের বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রেও একইরকম সাফল্য দেখা যায় ৷

কত দাম হবে এই ওষুধের ? কবে থেকে বাজারে পাওয়া যাবে ?

এই ওষুধ খুব সহজেই উৎপাদন করা সম্ভব ৷ ছোট প্যাকেটের মধ্যে পাউডারের আকারে পাওয়া যায় বলে এটি খাওয়াও সহজ ৷ জলে গুলেও খাওয়া যেতে পারে এই ওষুধ ৷

ওষুধের দাম কত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিআরডিও-র চিকিৎসক সুধীর চন্দনা বলেন, ‘‘কতটা উৎপাদন করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে এর দাম ঠিক হবে ৷ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই যাতে ওষুধটি বাজারে এসে যায়, সেই চেষ্টা চলছে ৷’’

কোন কোন ক্ষেত্রে এই ওষুধ কার্যকর হবে ?

গোটা দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়ছে ৷ অক্সিজেন নিয়ে হাহাকার চারিদিকে ৷ হাসপাতালগুলিতে বেড পাওয়া যাচ্ছে না ৷ আর ঠিক এই কঠিন সময়েই এই ওষুধটি নিয়ে এল ডিআরডিও ৷ এমন এক ওষুধ যা অনেক দ্রুত সুস্থ করে তুলছে ৷ একইসঙ্গে মেডিকেল অক্সিজেনের উপর নির্ভরতাও কমাচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে এই ওষুধ বাজারে এসে গেল, আইসিইউ-সিসিইউগুলিতে রোগীর চাপ অনেকটা কমাবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ একইসঙ্গে গোটা দেশে করোনা চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে যে কালোবাজারি চলছে সেটাও বন্ধ হবে ৷

নয়াদিল্লি, 18 মে : গোটা দেশ যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়ছে, তখন কিছুটা হলেও স্বস্তির দিচ্ছে ডিআরডিওর তৈরি অ্যান্টি-কোভিড ওষুধ ৷ পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ডিআরডিওর এই ওষুধের ব্যবহারে অনেক দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন রোগীরা ৷ অক্সিজেনের দরকারও কম হচ্ছে ৷

2-ডিঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ় ৷ সংক্ষেপে 2-ডিজি ৷ ডিআরডিওর ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস ও ডাক্তার রেড্ডির ল্যাবরেটরির যৌথ উদ্যোগে ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে ৷ ডিজিসিআই চলতি মাসেই মাঝারি ও অত্যাধিক উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই ওষুধের আপদকালীন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ৷

কীভাবে কাজ করে এই ওষুধ ?

সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ওষুধটি ভাইরাস সংক্রমিত কোষে গিয়ে কাজ করে ৷ ভাইরাল সিনথেসিস ও এনার্জি প্রোডাকশন বন্ধ করে দেয় ৷ ফলে ভাইরাসের আর বৃদ্ধি হয় না ৷

ডিআরডিওর চেয়ারপার্সন চিকিৎসক ডি সতীশ রেড্ডি বলছেন, এই ওষুধ করোনার বিভিন্ন স্ট্রেনগুলির ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে ৷

কীভাবে এই ভাইরাসের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয় ?

2020 সালের এপ্রিলে ডিআরডিওর বিজ্ঞানীরা সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির সহায়তায় একটি পরীক্ষা চালান ৷ পরীক্ষায় দেখা যায়, এটি করোনার বিরুদ্ধে বেশ কার্যকর এবং ভাইরাসের বৃদ্ধি আটকাতে সাহায্য করে ৷

এরপর ডিজিসিআইয়ের সেন্ট্রাল ড্রাগস কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার অনুমতি দেয় ৷

2020 সালের মে থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে 110 জন রোগীর শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করা হয় এবং কারও শরীরে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি ৷ যে করোনা রোগীদের শরীরে এটি প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের উপসর্গগুলিও অন্য পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলা রোগীদের তুলনায় অনেক দ্রুত কমে যায় ৷

এরপর তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয় 220 জন রোগীর মধ্যে ৷ 2020 সালের ডিসেম্বর থেকে 2021 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্য মিলিয়ে 27টি কোভিড হাসপাতালে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালানো হয় ৷ এই পর্যায়ে দেখা যায়, রোগীদের উপসর্গগুলি কমে যাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত অক্সিজেনের উপর নির্ভরতাও কমেছে ৷ যাঁদের বয়স 65 বছরের বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রেও একইরকম সাফল্য দেখা যায় ৷

কত দাম হবে এই ওষুধের ? কবে থেকে বাজারে পাওয়া যাবে ?

এই ওষুধ খুব সহজেই উৎপাদন করা সম্ভব ৷ ছোট প্যাকেটের মধ্যে পাউডারের আকারে পাওয়া যায় বলে এটি খাওয়াও সহজ ৷ জলে গুলেও খাওয়া যেতে পারে এই ওষুধ ৷

ওষুধের দাম কত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিআরডিও-র চিকিৎসক সুধীর চন্দনা বলেন, ‘‘কতটা উৎপাদন করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে এর দাম ঠিক হবে ৷ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই যাতে ওষুধটি বাজারে এসে যায়, সেই চেষ্টা চলছে ৷’’

কোন কোন ক্ষেত্রে এই ওষুধ কার্যকর হবে ?

গোটা দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়ছে ৷ অক্সিজেন নিয়ে হাহাকার চারিদিকে ৷ হাসপাতালগুলিতে বেড পাওয়া যাচ্ছে না ৷ আর ঠিক এই কঠিন সময়েই এই ওষুধটি নিয়ে এল ডিআরডিও ৷ এমন এক ওষুধ যা অনেক দ্রুত সুস্থ করে তুলছে ৷ একইসঙ্গে মেডিকেল অক্সিজেনের উপর নির্ভরতাও কমাচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে এই ওষুধ বাজারে এসে গেল, আইসিইউ-সিসিইউগুলিতে রোগীর চাপ অনেকটা কমাবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ একইসঙ্গে গোটা দেশে করোনা চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে যে কালোবাজারি চলছে সেটাও বন্ধ হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.