বালি, 16 নভেম্বর: ডিজিটাল রূপান্তর (Digital transformation) আমাদের যুগের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ৷ বালিতে জি20 শীর্ষ সম্মেলনে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM at G20 summit)৷ তিনি বলেন, "কয়েক দশক দীর্ঘ দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় শক্তি হতে পারে ডিজিটাল প্রযুক্তির যথোপযুক্ত ব্যবহার ৷"
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "পরের বছর জি20 প্রেসিডেন্সির সময় ভারত এই লক্ষ্যে জি20 অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে । 'উন্নয়নের জন্য ডেটা' নীতিটি আমাদের প্রেসিডেন্সির সামগ্রিক থিম 'এক পৃথিবী, একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যত'-এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হবে ৷"
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "ভারতে আমরা ডিজিটাল অ্যাক্সেসকে সর্বজনীন করছি, কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে এখনও একটি বিশাল ডিজিটাল বিভাজন রয়েছে । বিশ্বের অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশের নাগরিকদের কোনও ডিজিটাল পরিচয় নেই । শুধুমাত্র 50টি দেশেই ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে ৷ আমরা কি একসঙ্গে অঙ্গীকার করতে পারি যে, আগামী দশ বছরে আমরা প্রতিটি মানুষের জীবনে ডিজিটাল রূপান্তর আনব, যাতে বিশ্বের কোনও মানুষ ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন ।"
আরও পড়ুন: জি20 সম্মেলনের নৈশভোজে মুখোমুখি মোদি-জিনপিং
প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল রূপান্তরকে আমাদের যুগের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে বর্ণনা করে বলেন যে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার কয়েক দশক ধরে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের একটি শক্তি হয়ে উঠতে পারে । তিনি বলেন, "ডিজিটাল সমাধানগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সহায়ক হতে পারে ৷ কিন্তু এই সুবিধাগুলি তখনই পাওয়া যাবে যখন ডিজিটাল অ্যাক্সেস সত্যিই অন্তর্ভুক্ত হবে এবং যখন ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সত্যিই ব্যাপক হবে ৷ দুর্ভাগ্যবশত, এখনও পর্যন্ত আমরা এই শক্তিশালী হাতিয়ারটিকে কেবলমাত্র সহজ ব্যবসার মাপকাঠি থেকে দেখেছি, এই ক্ষমতাকে লাভ-লোকসানের খাতায় বেঁধে রেখেছি ৷"
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন যে, "আমাদের জি20 নেতাদের দায়িত্ব যে, ডিজিটাল রূপান্তরের সুবিধাগুলি মানব জাতির একটি ছোট অংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় । গত কয়েক বছরে ভারতের অভিজ্ঞতা আমাদের দেখিয়েছে যে আমরা যদি ডিজিটাল আর্কিটেকচারকে অন্তর্ভুক্ত করি, তাহলে তা আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন আনতে পারে ।"