সাহারানপুর, 21 ফেব্রুয়ারি: দাড়ি কেটে ফেলায় শাস্তি হিসাবে চার ছাত্রকে বহিষ্কার করল ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম (Darul Uloom Deoband expelled students for cutting beard)। চার শিক্ষার্থী ক্ষমা চাইলেও তা কর্ণপাত করেনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। উপরন্তু, উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, দারুল উলূমের সকল ছাত্রকে এখন থেকে বাধ্যতামূলক দাড়ি রাখতে হবে। তাই দাড়ি না-রাখায় তাই বহিষ্কার করা হয়েছে ওই চার ছাত্রকে ৷ দারুল উলূমের এই পদক্ষেপ মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একইসঙ্গে এই বড় ঘোষণার পর ফের শিরোনামে উঠে এসেছে দারুল উলূম ।
কর্তৃপক্ষের তরফে ছাত্রদের দাড়ি কামানোর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান সম্পর্কে অবহিত করে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে, কোনও শিক্ষার্থী দাড়ি কাটলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সরাসরি তাকে বহিষ্কার করা হবে। একই মাসে দাড়ি কাটার অভিযোগে চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তথ্যও কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকায় জানিয়েছে ।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিশ্ববিখ্যাত ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম ৷ এখানে শুধুমাত্র সারা বিশ্বের মুসলিম শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগ্রহণ করে না, বরং দারুল উলূমের সিদ্ধান্ত সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় । এই কারণেই দারুল উলূম দেওবন্দকে ফতোয়ার শহর বলা হয় । দারুল উলূম কর্তৃপক্ষের তরফে মাদ্রাসায় পড়া সকল ছাত্রদের জন্য এই বড় ঘোষণা করা হয়েছে । ছাত্রদের জন্য দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক করেছেন কর্তৃপক্ষ। সেজন্য যথাযথ নির্দেশিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
শিক্ষা বিভাগের ইনচার্জ মৌলানা হুসেইন আহমেদ হরিদ্বারীর তরফে দেওয়া নির্দেশিকায় শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । বিশেষ করে দাড়ি কাটা শিক্ষার্থীদের জন্য কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়। একইসঙ্গে দাড়ি কেটে প্রতিষ্ঠানে আসা কোনও শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন: কেন পালন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ? এবারের থিম কী ?