নয়াদিল্লি, 13 জানুয়ারি: লাফিয়ে লাফিয়ে নামছে পারদ। ঠান্ডায় ঠক্ঠক্ করে কাঁপছে সমগ্র উত্তর ভারত। আর শনিবার তো তীব্র ঠান্ডার প্রকোপে হাড়হিম হাল রাজাধানীবাসীর ৷ মৌসম ভবন জানিয়েছে, শনিবার সকালে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 3.6 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মরশুমের শীতলতম দিন। সেইসঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে রয়েছে দিল্লি ৷ রয়েছে শৈত্যপ্রবাহও ৷ তাই জারি হয়েছে সতর্কতা ৷ কম্বল-হিটার জ্বালিয়ে কোনওক্রমে দিন গুজরান হচ্ছে দিল্লিবাসীর। যেন ভূস্বর্গ কাশ্মীরের আবহাওয়া নেমে এসেছে দিল্লিতে।
শুক্রবারই চার ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছিল দিল্লির তাপমাত্রা। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 3.9 ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা আরও নামল ৷ তাপমাত্রা হু হু করে নামতে থাকায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে রাজধানী জুড়ে। তার সঙ্গে ঘন কুয়াশাও দিল্লির স্বাভাবিক জীবনে প্রভাব ফেলেছে। সকাল 7টা 30 মিনিটে সাফদারজংয়ে 300 মিটারের সর্বনিম্ন দৃশ্যমানতার সঙ্গে রাজধানী ঘন থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢেকে যায় ৷ ঠান্ডার কামড় তো আছেই, তার সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে রেল, সড়ক এবং বিমান পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরেই। শুক্রবার দিল্লির বেশ কয়েকটি জায়গায় দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে গিয়েছিল। তবে সেই পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে শনিবার।
মৌসম ভবন কুয়াশার এই তীব্রতাকে চারভাগে শ্রেণিবদ্ধ করেছে ৷ অগভীর, মাঝারি, ঘন এবং খুব ঘন কুয়াশা। দৃশ্যমানতা যথাক্রমে 999 মিটার থেকে 500 মিটার, 499 মিটার থেকে 200 মিটার, 199 মিটার থেকে 50 মিটার এবং 50 মিটারের কম। এদিকে ঘন কুয়াশার জেরে ভারতীয় রেলওয়ের মতে কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে মোট 18টি ট্রেন দেরিতে চলছে।
মৌসম ভবন পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে উত্তর ভারতে ঘন থেকে খুব ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে। দিল্লির পার্শ্ববর্তী পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, দক্ষিণ রাজস্থান, উত্তর মধ্য প্রদেশের বেশিরভাগ অংশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 3-7 ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে ৷
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
আরও পড়ুন: