নয়াদিল্লি, 7 এপ্রিল : গাড়িতে একা থাকলেও পরতে হবে মাস্ক ৷ বুধবার এই নির্দেশই দিল দিল্লির উচ্চ আদালত ৷ আর এই নির্দেশ দিতে গিয়ে দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে যে যেখানে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করা থাকবে, সেখানে একটা গাড়িকেও ‘পাবলিক প্লেস’ হিসেবে ধরতে হবে ৷ আদালতের মতে, মাস্ক হচ্ছে একটা সুরক্ষা কবচ ৷ যা একজন মানুষ তাঁর নিজের জন্য এবং তাঁর চারপাশে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য পরেন ৷
এক ব্যক্তি একা গাড়িতে ছিলেন ৷ তিনি মাস্ক না পরায় তাঁকে জরিমানা করা হয় ৷ সেই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করা হয় ৷ মোট তিনজন মামলা করেন ৷ তার মধ্যে ছিলেন আইনজীবী সৌরভ শর্মা ৷ তাঁকে মাস্ক না পরায় 500 টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল ৷ সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি প্রতিভা এম সিং ৷
তিনি বলেন, ‘‘যদি আপনি একাই গাড়িতে থাকেন, তাহলেও কেন মাস্ক পরতে আপত্তি তুলছেন ? এটা তো আপনার নিজের সুরক্ষার জন্য৷ প্যানডেমিকের সংকট বেড়ে গিয়েছে ৷ কোনও ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হোক না হোক, তাঁর মাস্ক পরা উচিত ৷’’ সারা বিশ্বের বিজ্ঞানী এবং সরকারের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি জানান যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুরক্ষিত থাকতে এটা অন্তত করা যেতেই পারে ৷
কিন্তু গাড়িতে একা থাকলে, কেন মাস্ক পরতে হবে ? এই বিষয়টিও ওই নির্দেশে স্পষ্ট করেছে দিল্লি হাই কোর্ট ৷ আদালতের মতে, যখন কোনও গাড়ি ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়ায়, তখন অনেক সময় চালক জানলা খোলেন ৷ যেহেতু করোনা ভাইরাস সংক্রামক, তাই ওই সময় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন ৷
উল্লেখ্য, দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার এই নিয়ে গত বছর এপ্রিলেই একটি নিয়ম তৈরি করেছিল ৷ যেখানে বলা হয়েছিল যে গণপরিবহণ হোক বা ব্যক্তিগত গাড়ি, মাস্ক পরতেই হবে যাত্রী ও চালককে ৷
কিন্তু আবেদনকারীদের দাবি, ওই একই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যে গাড়িতে একা থাকলে মাস্ক পরার দরকার নেই ৷ তাই তাঁরা মামলা করেছেন ৷ আর এই ‘মানসিক হেনস্তা’র জন্য তাঁরা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন ৷
আরও পড়ুন : দেশে সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ, আক্রান্ত 1 লাখ 15 হাজারের বেশি
এদিকে এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে হাই কোর্টকে জানানো হয় যে গাড়িতে চালক একা থাকলে, মাস্ক পরতেই হবে বলে কোনও নিয়ম তৈরি করা হয়নি ৷ তবে কোনও রাজ্য এই নিয়ে আলাদা কোনও নিয়ম করতেই পারে ৷