নয়াদিল্লি, 17 ডিসেম্বর : জাতীয় সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কমিশনের (NCMEI) এক সদস্যের নিয়োগ নিয়ে চলা মামলার ভিত্তিতে কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court issues Notice to Centre) ৷ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নিয়োগে প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয় ৷ তারই ভিত্তিতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস পাঠায় উচ্চ আদালত ৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী 14 ফেরব্রুয়ারি ৷ ওই দিনের মধ্যেই কেন্দ্র, কমিশন, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট ড. শাহিদ আখতারকে আদালতের কাছে নোটিসের জবাব পেশ করতে হবে ৷ সেইসঙ্গে গোটা বিষয়টি নিয়ম মাফিক আদালতের তালিকাভুক্তও করতে হবে ৷
আরও পড়ুন : SC on Rakesh Asthana Appointment : নিয়োগ বিতর্কে রাকেশ আস্থানা ও কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
যাঁর নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে এই মামলা রুজু করা হয়েছে, তাঁরই নাম ড. শাহিদ আখতার ৷ মামলাকারীর বক্তব্য অনুসারে, ওই ব্যক্তি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার সেন্টার ফর ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক ৷ তাঁকেই এনসিএমইআই-এর সদস্য পদে নিযুক্ত করা হয় ৷ চলতি বছরেরই 17 অগাস্ট একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়োগ করে ৷
এই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন জারমিনা ইসরার খান ৷ তিনি নিজে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আফ্রিকান স্টাডিজের একজন গবেষক ৷ তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী শ্যাম কৃষ্ণন এবং আইনজীবী ইরম পীরজাদা ৷ মামলাটি চলছে বিচারপতি ভি কামেশ্বর রাওয়ের এজলাসে ৷ মামলাকারীর দাবি, শাহিদ আখতারের নিয়োগ আইন মেনে হয়নি ৷ তাই কেন্দ্রের কাছে থাকা এই নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : Salman Khurshid's book : খুরশিদের বই নিষিদ্ধ করার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা
জারমিনার অভিযোগ, এই নিয়োগের ফলে ভারতীয় সংবিধানের 14 এবং 16 নম্বর ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে ৷ একইসঙ্গে শাহিদের নিয়োগে অস্বচ্ছতারও অভিযোগ তুলেছেন তিনি ৷ মামলাকারীর বক্তব্য শোনার পরই এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষককে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আদালত ৷ সব পক্ষের বক্তব্য জানার পরই এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে ৷