নয়াদিল্লি ও কলকাতা, 21 ডিসেম্বর: দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) আপাতত কিছুটা স্বস্তি পেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি তথা গরুপাচার কাণ্ডের (WB Cattle Smuggling Scam) অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ৷ আগামী 9 জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি ৷ বুধবার তেমনটাই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট ৷
তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি (ED) ৷ অথচ, অনুব্রত বাংলা ছেড়ে যেতে নারাজ ৷ আর এ নিয়েই চলছে আইনি টানাপোড়েন ৷ এর আগে দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ আদালত (Rouse Avenue District Court) অনুব্রতকে বাংলা থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল ৷ তার বিরোধিতায় মামলা রুজু হয় দিল্লি হাইকোর্টে ৷ বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি ৷ কিন্তু, সূত্রের দাবি, এদিনের শুনানিতে ইডির আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারেননি ৷ বদলে ইডির পক্ষ থেকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেওয়া হয় ৷ এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট বিচারপতি জসমিত সিং আগামী 9 জানুয়ারি পর্যন্ত মামলার শুনানি স্থগিত করে দেন ৷ পাশাপাশি, তিনি জানিয়ে দেন, ওই দিন পর্যন্ত অনুব্রতকে দিল্লিতে আনা যাবে না ৷ অর্থাৎ ওই দিন পর্যন্ত রাউস অ্য়াভিনিউ আদালতের জারি করা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (Production Warrant) অনুব্রতর বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে না ইডি ৷
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় অনুব্রতর নামে অভিযোগ শিবঠাকুরের ! গাড়িতেই স্বাস্থ্যপরীক্ষা বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য, এদিনের ঘটনার জেরে হাতে আরও খানিকটা সময় পেয়ে গেলেন অনুব্রত ও তাঁর আইনজীবীরা ৷ উল্লেখ্য, গত সোমবার অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয় ৷ ইডি-র দাবি মেনে অনুব্রতকে বাংলা থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত ৷ কিন্তু, মঙ্গলবারই ঘটনার মোড় ঘুরে যায় ৷ জানা যায়, অনুব্রতর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন বীরভূমেরই এক তৃণমূলকর্মী ৷ তাঁর দাবি, 2021 সালে অনুব্রত মণ্ডল গলা টিপে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন ৷ কিন্তু, এতদিন এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করার সাহস পাননি বলে দাবি করেছেন শিবঠাকুর মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি ৷ কিন্তু, এখন 'বীরভূমে বাঘ' অনুব্রত জেলে ৷ তাই সাহস করে কেষ্টর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন শিব !
ঘটনাচক্রে সোমবারই বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় শিবঠাকুর এই অভিযোগটি দায়ের করেন ৷ তার ভিত্তিতে মঙ্গলবার তাঁকে স্থানীয় আদালতে পেশ করে পুলিশ ৷ আদালত অনুব্রতকে সাতদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ৷ ফলে অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা সাতদিনের জন্য পিছিয়ে যায় ৷ কিন্তু, বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের পর সেই সময়সীমা আরও বাড়ল ৷ আপাতত আগামী 9 জানুয়ারি পর্যন্ত ইডি অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ৷ যদি না এই মামলার নতুন করে কোনও অগ্রগতি হয় ৷